মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন-পানি আইন ভাঙলে পাঁচ বছর জেল
পানিসম্পদ ব্যবহারের শর্ত ভাঙলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জেল ও ৫০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে বাংলাদেশ পানি আইন ২০১২-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, দেশে একটি পানিনীতি আছে। এ নীতির আলোকে পানিসম্পদ খাত পরিচালিত হচ্ছে। প্রস্তাবিত আইনে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা, পানির মালিকানা, বণ্টন, ব্যবহারের অধিকার, নদী সংরক্ষণ, ভরাট ও নিয়ন্ত্রণসহ আরও অনেক দিক বর্ণনা করা হয়েছে।
হিন্দু বিবাহ আইনে নিবন্ধন ঐচ্ছিক: মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন ২০১২’-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, হিন্দুধর্মাবলম্বীদের বিয়ে নিবন্ধনের জন্য দেশে প্রথমবারের মতো আইন হচ্ছে। আইনে নিবন্ধনের বিষয়টি ঐচ্ছিক রাখা হচ্ছে, বাধ্যতামূলক নয়। হিন্দুধর্মাবলম্বীদের কেউ চাইলে বিবাহ নিবন্ধন করতে পারবেন। আর বিবাহ নিবন্ধন না করলেও কোনো সমস্যা হবে না। তিনি আরও বলেন, ভারতে ১৯৫৫ সালে ‘হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট’ হয়েছে। আমাদের দেশে এখনো হয়নি। আইনে হিন্দু বিবাহ নিবন্ধনের পদ্ধতি বলা হয়েছে। তবে শাস্ত্রমতে বিবাহের বৈধতা ক্ষুণ্ন হবে না।
বিশেষ বিবাহ আইন করা হচ্ছে না: মন্ত্রিপরিষদ সচিব ব্রিফিংয়ে বলেন, সরকার আন্তধর্ম বা বিশেষ বিবাহ আইন করছে—এমন ভুল ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। সরকার নতুন কোনো আইন করেনি। আইন মন্ত্রণালয় মন্ত্রিপরিষদকে জানিয়েছে, ১৮৭২ সালের একটি আইন আছে। ওই আইনে যারা কোনো ধর্মে বিশ্বাস করে না, তাদের বিয়ের ক্ষেত্রে একজন রেজিস্ট্রার নিয়োগ করার কথা বলা আছে। আইন মন্ত্রণালয় রেজিস্ট্রার নিয়োগ করেছিল। পরে তা বাতিল করা হয়েছে।
গতকালের মন্ত্রিসভা বৈঠকে অর্পিত সম্পত্তির তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশের সময়সীমা আরও ১৫০ দিন বাড়িয়ে ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন (সংশোধন) ২০১২’-এর খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে। মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা বলেন, বিদ্যমান আইনে ১৫০ দিনের মধ্যে অর্পিত সম্পত্তির মৌজাভিত্তিক জেলাওয়ারি তালিকা প্রস্তুত করে গেজেট প্রকাশ করতে বলা হয়। ওই সময়ের মধ্যে ‘ক’ তফসিলভুক্ত (ইজারা দেওয়া) সম্পত্তির তালিকা প্রকাশ করা হলেও ‘খ’ তফসিলভুক্ত (ইজারা না দেওয়া) অর্পিত সম্পত্তির গেজেট প্রকাশ করতে পারেনি ভূমি মন্ত্রণালয়। দুই কোটির বেশি পাতা ছাপাতে তাদের সময় বেশি লাগছে। এ কারণে আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশের জন্য আরও ১৫০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ গেজেট প্রকাশের জন্য মোট ৩০০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অর্পিত সম্পত্তির মালিকানার দাবি-প্রমাণসহ কাগজপত্র নিয়ে অবমুক্তির আবেদনের সময় গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৯০ দিনের পরিবর্তে ১২০ দিন এবং সম্পত্তি প্রত্যর্পণের আবেদনের সময় ৯০ দিনের পরিবর্তে ১২০ দিন করার প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়েছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (ফৌজদারি কার্যবিধি) (সংশোধন) আইন ২০১২-এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বর্তমান আইনে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা জেলা সদরে বিচারিক কাজ চালাতে পারেন। তবে মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য কখনো কখনো জেলা সদরের বাইরেও কোর্ট করার প্রয়োজন হতে পারে। সংশোধনীর মাধ্যমে এখন থেকে সরকার প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জেলা সদরের বাইরে কোর্ট করার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারবে।
এ ছাড়া গতকালের বৈঠকে নিবন্ধন (সংশোধন) আইন ২০১২-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০০৫ সালের আইন অনুযায়ী হেবা দলিলে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা ১০০ টাকা ফি দিয়ে নিবন্ধন করতে পারেন। কিন্তু অন্যান্য ধর্মাবলম্বী অর্থাৎ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানরা এটা করতে পারতেন না। সংশোধনীর পর তাঁরাও করতে পারবেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (সংশোধন) আইন ২০১২-তে মন্ত্রিসভার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, কয়েক দিন আগে এ আইনটি সংশোধন করে রাষ্ট্রপতি একটি অধ্যাদেশ জারি করেন। এ আইনে এক ট্রাইব্যুনাল থেকে আরেক ট্রাইব্যুনালে মামলা স্থানান্তরের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে আটটি মামলার চারটি স্থানান্তরিত হয়েছে। সংসদ অধিবেশন আহ্বান করায় এখন অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত করা হবে।
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (ন্যাশনাল ইন্টেগ্রিটি স্ট্যাটেজি—এনআইএস) অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হলেও তা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ফেরত পাঠানো হয়। সাত দিনের মধ্যে এটি আবার মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রীর তিন উপদেষ্টা—মসিউর রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও গওহর রিজভীকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁদের মতামতের ভিত্তিতে বিষয়টি আবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।
হিন্দু বিবাহ আইনে নিবন্ধন ঐচ্ছিক: মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘হিন্দু বিবাহ নিবন্ধন আইন ২০১২’-এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, হিন্দুধর্মাবলম্বীদের বিয়ে নিবন্ধনের জন্য দেশে প্রথমবারের মতো আইন হচ্ছে। আইনে নিবন্ধনের বিষয়টি ঐচ্ছিক রাখা হচ্ছে, বাধ্যতামূলক নয়। হিন্দুধর্মাবলম্বীদের কেউ চাইলে বিবাহ নিবন্ধন করতে পারবেন। আর বিবাহ নিবন্ধন না করলেও কোনো সমস্যা হবে না। তিনি আরও বলেন, ভারতে ১৯৫৫ সালে ‘হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্ট’ হয়েছে। আমাদের দেশে এখনো হয়নি। আইনে হিন্দু বিবাহ নিবন্ধনের পদ্ধতি বলা হয়েছে। তবে শাস্ত্রমতে বিবাহের বৈধতা ক্ষুণ্ন হবে না।
বিশেষ বিবাহ আইন করা হচ্ছে না: মন্ত্রিপরিষদ সচিব ব্রিফিংয়ে বলেন, সরকার আন্তধর্ম বা বিশেষ বিবাহ আইন করছে—এমন ভুল ধারণার সৃষ্টি হয়েছে। সরকার নতুন কোনো আইন করেনি। আইন মন্ত্রণালয় মন্ত্রিপরিষদকে জানিয়েছে, ১৮৭২ সালের একটি আইন আছে। ওই আইনে যারা কোনো ধর্মে বিশ্বাস করে না, তাদের বিয়ের ক্ষেত্রে একজন রেজিস্ট্রার নিয়োগ করার কথা বলা আছে। আইন মন্ত্রণালয় রেজিস্ট্রার নিয়োগ করেছিল। পরে তা বাতিল করা হয়েছে।
গতকালের মন্ত্রিসভা বৈঠকে অর্পিত সম্পত্তির তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশের সময়সীমা আরও ১৫০ দিন বাড়িয়ে ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন (সংশোধন) ২০১২’-এর খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে। মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা বলেন, বিদ্যমান আইনে ১৫০ দিনের মধ্যে অর্পিত সম্পত্তির মৌজাভিত্তিক জেলাওয়ারি তালিকা প্রস্তুত করে গেজেট প্রকাশ করতে বলা হয়। ওই সময়ের মধ্যে ‘ক’ তফসিলভুক্ত (ইজারা দেওয়া) সম্পত্তির তালিকা প্রকাশ করা হলেও ‘খ’ তফসিলভুক্ত (ইজারা না দেওয়া) অর্পিত সম্পত্তির গেজেট প্রকাশ করতে পারেনি ভূমি মন্ত্রণালয়। দুই কোটির বেশি পাতা ছাপাতে তাদের সময় বেশি লাগছে। এ কারণে আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশের জন্য আরও ১৫০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ গেজেট প্রকাশের জন্য মোট ৩০০ দিন সময় দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অর্পিত সম্পত্তির মালিকানার দাবি-প্রমাণসহ কাগজপত্র নিয়ে অবমুক্তির আবেদনের সময় গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ৯০ দিনের পরিবর্তে ১২০ দিন এবং সম্পত্তি প্রত্যর্পণের আবেদনের সময় ৯০ দিনের পরিবর্তে ১২০ দিন করার প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদন করা হয়েছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর (ফৌজদারি কার্যবিধি) (সংশোধন) আইন ২০১২-এর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বর্তমান আইনে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা জেলা সদরে বিচারিক কাজ চালাতে পারেন। তবে মানুষকে সেবা দেওয়ার জন্য কখনো কখনো জেলা সদরের বাইরেও কোর্ট করার প্রয়োজন হতে পারে। সংশোধনীর মাধ্যমে এখন থেকে সরকার প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জেলা সদরের বাইরে কোর্ট করার সুযোগ সৃষ্টি করতে পারবে।
এ ছাড়া গতকালের বৈঠকে নিবন্ধন (সংশোধন) আইন ২০১২-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০০৫ সালের আইন অনুযায়ী হেবা দলিলে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা ১০০ টাকা ফি দিয়ে নিবন্ধন করতে পারেন। কিন্তু অন্যান্য ধর্মাবলম্বী অর্থাৎ হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানরা এটা করতে পারতেন না। সংশোধনীর পর তাঁরাও করতে পারবেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) (সংশোধন) আইন ২০১২-তে মন্ত্রিসভার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, কয়েক দিন আগে এ আইনটি সংশোধন করে রাষ্ট্রপতি একটি অধ্যাদেশ জারি করেন। এ আইনে এক ট্রাইব্যুনাল থেকে আরেক ট্রাইব্যুনালে মামলা স্থানান্তরের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে আটটি মামলার চারটি স্থানান্তরিত হয়েছে। সংসদ অধিবেশন আহ্বান করায় এখন অধ্যাদেশটি আইনে পরিণত করা হবে।
জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (ন্যাশনাল ইন্টেগ্রিটি স্ট্যাটেজি—এনআইএস) অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করা হলেও তা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ফেরত পাঠানো হয়। সাত দিনের মধ্যে এটি আবার মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, প্রধানমন্ত্রীর তিন উপদেষ্টা—মসিউর রহমান, তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও গওহর রিজভীকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁদের মতামতের ভিত্তিতে বিষয়টি আবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে।
No comments