জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে-রাজধানীতে গণমাধ্যমকর্মী খুন

কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে হত্যার শিকার হলেন টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ ক্যামেরাম্যান শফিকুল ইসলাম মিঠু। স্ত্রীর সঙ্গে শেষ আলাপে তিনি বলেছিলেন, ‘প্রোগ্রামে আছি। শেষ করেই বাসায় ফিরব।’ কিন্তু তাঁকে ফিরতে হলো লাশ হয়ে। গত রোববার সকালে তুরাগ থানার রোস্তমপুর এলাকা থেকে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে।


তিনি ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে অথবা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়ে থাকতে পারেন বলে পুলিশ ধারণা করছে।
সাম্প্রতিক কালে একের পর এক গুপ্তহত্যা ঘটেছে। গত এক মাসে রাজধানীতে বেশ কয়েকটি খুনের ঘটনা ঘটেছে, পুলিশের একাধিক কর্মকর্তাও খুনের শিকার হয়েছেন। শনিবার কদমতলী থানার পলাশপুরে গৃহবধূ ইয়াসমীন আলম ও তাঁর শিশুকন্যাকে হত্যা করা হয়। একই দিনে শ্যামলীতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী আবদুস সালাম। এসব ঘটনা প্রমাণ করে, রাজধানীতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কতটা নাজুক হয়ে পড়েছে।
দুর্বৃত্তদের এতটা বেপরোয়া হয়ে ওঠার বিপরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যে তৎপরতা প্রয়োজন, তা নিশ্চিতভাবেই যথেষ্ট নয়। এসব খুনের কূলকিনারা করতেও ব্যর্থতা ও দায়িত্বহীনতার পরিচয় পাওয়া যাচ্ছে। পুলিশের কর্মকর্তা গৌতম কুমার রায় হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের পরিচয়-বিভ্রাটের ঘটনা চরম দায়িত্বহীনতাকে স্পষ্ট করে। অপরাধীরা ধরা না পড়ায় জনজীবনে শঙ্কা ও উৎকণ্ঠা বাড়ছে। জনমনে সৃষ্টি হচ্ছে নিরাপত্তাহীনতার বোধ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে নাগরিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেন।
গণমাধ্যমকর্মী শফিকের হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের হাতে সোপর্দ করতে হবে। অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিই পারে অপরাধের মাত্রা ও অপরাধীদের দৌরাত্ম্য কমাতে।

No comments

Powered by Blogger.