দুটি তেলক্ষেত্র আবিষ্কার-বাপেক্সকে আরো শক্তিশালী করা হোক
রাষ্ট্রীয় তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) জাতিকে একটি বড় সুখবর দিয়েছে। পেট্রোবাংলার অধীন তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন কম্পানি (বাপেক্স) পরিচালিত ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপে সিলেটের হরিপুর ও কৈলাসটিলা গ্যাসক্ষেত্র দুটিতে তেলেরও যথেষ্ট পরিমাণ মজুদ রয়েছে।
ফলে তারা একই সঙ্গে গ্যাসক্ষেত্র দুটিকে লাভজনক তেলক্ষেত্র ঘোষণা করেছে। আশা করা হচ্ছে, এই তেলক্ষেত্র দুটি থেকে এক বছরের মধ্যেই তেল উত্তোলন করা সম্ভব হবে। প্রদত্ত তথ্যমতে, ক্ষেত্র দুটি থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি ব্যারেল তেল উত্তোলন করা যাবে, যা দিয়ে বাংলাদেশের পরবর্তী আড়াই বছরের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। আর জ্বালানি তেল আমদানিতে প্রতিবছর যদি বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে না হয়, তাহলে দেশের উন্নয়নের গতি অনেক বেশি ত্বরান্বিত হবে। ভূগর্ভস্থ মাটির স্তর বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, অচিরেই এ ধরনের আরো তেলক্ষেত্র পাওয়া যেতে পারে। পেট্রোবাংলা ও বাপেক্সের এই কৃতিত্বে আমরা গর্বিত। এখানকার বিজ্ঞানী ও কর্মীদের জানাচ্ছি আন্তরিক অভিনন্দন।
জানা যায়, বাপেক্সের অনুসন্ধানে ১৯৮৭ সালেই হরিপুরে তেলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু তখন তেল উত্তোলনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বিদেশি কম্পানি সিমিটারকে। কিন্তু তারা যথাযথ প্রযুক্তি ব্যবহার না করায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তেল উত্তোলন করা যায়নি। এরপর কৈলাসটিলা ক্ষেত্র থেকেও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রকল্পের অধীনে তেল উত্তোলন করা হয়। কিন্তু এবার যেমন ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপের মাধ্যমে পুরো ক্ষেত্রের আকার-আয়তন, তেলের মোট ও উত্তোলনযোগ্য মজুদের পরিমাণ ইত্যাদি নির্ণয় করা হয়েছে, তা আগে কখনো করা হয়নি। তাই বিজ্ঞানীরা একে নতুন আবিষ্কার হিসেবেই গণ্য করছেন। উল্লেখ্য, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাপেক্সের শক্তি বৃদ্ধির দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয় এবং উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সরঞ্জাম ক্রয় করা হয়। বাপেক্সকে শক্তিশালী করলে যে প্রকারান্তরে দেশই উপকৃত হয়, এই আবিষ্কার এরই প্রমাণ। ইতিমধ্যে তারা কয়েকটি গ্যাসক্ষেত্রও আবিষ্কার করেছে। সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সীমানা নির্ধারিত হয়ে গেছে। সেখানেও যেন বাপেক্স অনুসন্ধান ও উত্তোলনকাজ দ্রুতগতিতে চালিয়ে যেতে পারে, সে জন্য বাপেক্সকে আরো শক্তিশালী করাটা খুব জরুরি। নিজেদের খনিজ সম্পদ নিজেরা অনুসন্ধান ও উত্তোলন করতে পারলে অসম চুক্তিতে বিদেশি কম্পানির কাছে সেগুলো লিজ দেওয়ারও প্রয়োজন হবে না। আমরা মনে করি, বর্তমান মহাজোট সরকারের সেই সদিচ্ছা আছে এবং তারা সত্বর এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
জানা যায়, বাপেক্সের অনুসন্ধানে ১৯৮৭ সালেই হরিপুরে তেলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু তখন তেল উত্তোলনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বিদেশি কম্পানি সিমিটারকে। কিন্তু তারা যথাযথ প্রযুক্তি ব্যবহার না করায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে তেল উত্তোলন করা যায়নি। এরপর কৈলাসটিলা ক্ষেত্র থেকেও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রকল্পের অধীনে তেল উত্তোলন করা হয়। কিন্তু এবার যেমন ত্রিমাত্রিক ভূকম্পন জরিপের মাধ্যমে পুরো ক্ষেত্রের আকার-আয়তন, তেলের মোট ও উত্তোলনযোগ্য মজুদের পরিমাণ ইত্যাদি নির্ণয় করা হয়েছে, তা আগে কখনো করা হয়নি। তাই বিজ্ঞানীরা একে নতুন আবিষ্কার হিসেবেই গণ্য করছেন। উল্লেখ্য, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর বাপেক্সের শক্তি বৃদ্ধির দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয় এবং উল্লেখযোগ্য পরিমাণে সরঞ্জাম ক্রয় করা হয়। বাপেক্সকে শক্তিশালী করলে যে প্রকারান্তরে দেশই উপকৃত হয়, এই আবিষ্কার এরই প্রমাণ। ইতিমধ্যে তারা কয়েকটি গ্যাসক্ষেত্রও আবিষ্কার করেছে। সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের সীমানা নির্ধারিত হয়ে গেছে। সেখানেও যেন বাপেক্স অনুসন্ধান ও উত্তোলনকাজ দ্রুতগতিতে চালিয়ে যেতে পারে, সে জন্য বাপেক্সকে আরো শক্তিশালী করাটা খুব জরুরি। নিজেদের খনিজ সম্পদ নিজেরা অনুসন্ধান ও উত্তোলন করতে পারলে অসম চুক্তিতে বিদেশি কম্পানির কাছে সেগুলো লিজ দেওয়ারও প্রয়োজন হবে না। আমরা মনে করি, বর্তমান মহাজোট সরকারের সেই সদিচ্ছা আছে এবং তারা সত্বর এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
No comments