শিক্ষাঙ্গনকে নারীর জন্য নিরাপদ করার দায়িত্ব প্রশাসনেরই-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিপীড়নবিরোধী ব্যবস্থা
বাংলাদেশে নারীর নিরাপত্তা ও মর্যাদা এখনো নাজুক। নারী-শিক্ষার্থীরাও এ থেকে মুক্ত নয়। ছাত্রের দ্বারা ছাত্রীর ওপর নিপীড়নের ঘটনা আমরা অতীতে দেখেছি। প্রায় সব কটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকের হাতে ছাত্রী-নিপীড়নের ঘটনাও ঘটতে দেখা গেছে।
এসবের বিহিত ও প্রতিকারে আন্দোলন হয়েছে, তদন্ত কমিটি হয়েছে, কিন্তু কার্যত অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কোনো শাস্তি হয়নি। অপরাধের বিরুদ্ধে শাস্তি যেখানে ন্যায়ের প্রথম রক্ষাকবচ, সেখানে শাস্তি না হওয়ায় নিপীড়নের মাত্রা ও পরিধি তাই আরও বাড়ছে।
প্রথম আলোর গত বৃহস্পতিবারের সংবাদ অনুযায়ী, দেশের স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যৌন নিপীড়নের ১২টি ঘটনা বিভিন্ন সময়ে আলোচিত হয়েছে। অথচ এগুলোর মধ্যে ১১টি ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের স্থায়ী শাস্তি হয়নি বা হলেও মামুলি সাজার পর তাঁরা পুনরায় পুনর্বাসিত হয়েছেন। কেবল একটি ক্ষেত্রে কিছু ছাত্রের বহিষ্কার এবং একজন শিক্ষকের চাকরিচ্যুতির নজির রয়েছে।
বলা বাহুল্য, শিক্ষক বা ছাত্রদের মধ্যে নগণ্যসংখ্যক ব্যক্তিরই এ ধরনের নৈতিক স্খলন ঘটে। কিন্তু এতে সার্বিক শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীর আস্থার সম্পর্কে চির ধরে। এর সামান্যই বাইরে প্রকাশিত হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে নির্যাতিতকে বিপর্যস্ত মন নিয়ে চুপ হয়ে যেতে হয়। অথচ শাস্তি না হওয়ায় নির্যাতনকারীরা দিব্যি হয়রানিমূলক আচরণ চালিয়ে যেতে থাকে।
শিক্ষকতা বা ক্ষমতাশালী অবস্থানে থাকা ব্যক্তিদের হয়রানির প্রতিকারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পক্ষে সব সময় আদালতে যাওয়া সম্ভব হয় না। আবার বিদ্যমান আইনে নানা ধরনের যৌন হয়রানিকে চিহ্নিত করার ব্যবস্থাও নেই। এ জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নবিরোধী নীতিমালা প্রণয়ন ও অভিযোগ সেল গঠনের দাবি উঠছে এবং তা জনপ্রিয়ও হয়ে উঠেছে। ২০০৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এ রকম একটি নীতিমালা তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠায়। ২০০৯ সালে উচ্চ আদালতও হয়রানিবিরোধী দিকনির্দেশনা দেন। অথচ এ সবই যেন পড়ে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বায়ত্তশাসিত হিমঘরে। ওদিকে নারী-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়নি, ঘটনা ঘটে চলেছে ঘটনার নিয়মে।
আমরা আশা করি, পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যৌন নিপীড়নবিরোধী নীতিমালা কার্যকর করা হবে। পাশাপাশি অভিযোগ দায়ের ও নিরপেক্ষ তদন্তের প্রক্রিয়াও চালু হবে। এ ব্যাপারে সরকার ও আদালতের ভূমিকাই এখন জরুরি।
প্রথম আলোর গত বৃহস্পতিবারের সংবাদ অনুযায়ী, দেশের স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যৌন নিপীড়নের ১২টি ঘটনা বিভিন্ন সময়ে আলোচিত হয়েছে। অথচ এগুলোর মধ্যে ১১টি ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের স্থায়ী শাস্তি হয়নি বা হলেও মামুলি সাজার পর তাঁরা পুনরায় পুনর্বাসিত হয়েছেন। কেবল একটি ক্ষেত্রে কিছু ছাত্রের বহিষ্কার এবং একজন শিক্ষকের চাকরিচ্যুতির নজির রয়েছে।
বলা বাহুল্য, শিক্ষক বা ছাত্রদের মধ্যে নগণ্যসংখ্যক ব্যক্তিরই এ ধরনের নৈতিক স্খলন ঘটে। কিন্তু এতে সার্বিক শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীর আস্থার সম্পর্কে চির ধরে। এর সামান্যই বাইরে প্রকাশিত হয় এবং অনেক ক্ষেত্রে নির্যাতিতকে বিপর্যস্ত মন নিয়ে চুপ হয়ে যেতে হয়। অথচ শাস্তি না হওয়ায় নির্যাতনকারীরা দিব্যি হয়রানিমূলক আচরণ চালিয়ে যেতে থাকে।
শিক্ষকতা বা ক্ষমতাশালী অবস্থানে থাকা ব্যক্তিদের হয়রানির প্রতিকারে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পক্ষে সব সময় আদালতে যাওয়া সম্ভব হয় না। আবার বিদ্যমান আইনে নানা ধরনের যৌন হয়রানিকে চিহ্নিত করার ব্যবস্থাও নেই। এ জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যৌন নিপীড়নবিরোধী নীতিমালা প্রণয়ন ও অভিযোগ সেল গঠনের দাবি উঠছে এবং তা জনপ্রিয়ও হয়ে উঠেছে। ২০০৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এ রকম একটি নীতিমালা তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠায়। ২০০৯ সালে উচ্চ আদালতও হয়রানিবিরোধী দিকনির্দেশনা দেন। অথচ এ সবই যেন পড়ে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্বায়ত্তশাসিত হিমঘরে। ওদিকে নারী-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়নি, ঘটনা ঘটে চলেছে ঘটনার নিয়মে।
আমরা আশা করি, পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থলে যৌন নিপীড়নবিরোধী নীতিমালা কার্যকর করা হবে। পাশাপাশি অভিযোগ দায়ের ও নিরপেক্ষ তদন্তের প্রক্রিয়াও চালু হবে। এ ব্যাপারে সরকার ও আদালতের ভূমিকাই এখন জরুরি।
No comments