সম্ভাবনার কক্সবাজার
দেশের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজার এখনো অবহেলিত। অনেক সম্ভাবনা রয়েছে কক্সবাজারের। কিন্তু ওই 'থাকা'র মধ্যেই সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। পরিপূর্ণ একটি পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে উঠতে পারেনি কক্সবাজার। একদিকে সদিচ্ছার অভাব, অন্যদিকে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ না দেওয়ায় কক্সবাজার এখন পর্যন্ত মেলে ধরতে পারেনি তার সৌন্দর্য।
আকৃষ্ট করতে পারেনি বিদেশি পর্যটক। পর্যটনশিল্পের সম্ভাবনা এখন পর্যন্ত রয়ে গেছে 'সম্ভাবনা'-র পর্যায়ে। এ সম্ভাবনাকে সঠিকভাবে ব্যবহারের সুযোগ তৈরি করা যায়নি। এখনো ব্যবস্থা নিলে আজকের এ সম্ভাবনা বাংলাদেশের জন্য নতুন দিগন্তের সূচনা করবে।
বাংলাদেশে পর্যটনের প্রধান আকর্ষণ কক্সবাজার। সাগর তীরের এই জেলা শহরে পেঁৗছতে পর্যটকদের লেগে যায় অনেক বেশি সময়। আজ পর্যন্ত এ শহরে কোনো আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর নির্মিত হয়নি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সরকার কক্সবাজার বিমানবন্দরটি নির্মাণ করে। যুদ্ধের পর তা বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৫৬ সালে সংস্কার করে তা চালু করা হয় বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের লক্ষ্যে। পরবর্তী সময়ে দুই দফা বন্ধ থাকার পর ১৯৭২ সালে বিমানবন্দরটি আবার চালু হয়। দীর্ঘদিন ফ্লাইট চলেছে মাত্র একটি করে। এখন কয়েকটি বেসরকারি বিমান সংস্থার ফ্লাইট চলাচল করে সেখানে। যাত্রীবাহী ফ্লাইট ছাড়াও প্রতিদিন ছয়টি কার্গো বিমানে মালামাল পরিবহন হচ্ছে। কক্সবাজারে একসময় প্রচুর বিদেশি পর্যটক আসত, যা অনেক কমে গেছে কেবল একটি আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর না থাকার কারণে। আশা করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালু হলে পুরোপুরি বদলে যাবে কক্সবাজারের দৃশ্যপট।
পর্যটকদের আরেক সমস্যা পর্যটন এলাকাগুলোতে যাওয়া। সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ জেটি অব্যবহৃত রয়ে গেছে অর্ধযুগেরও বেশি সময় ধরে। ফলে সেন্ট মার্টিনগামী পর্যটকদের সীমাহীন দুর্ভোগের পাশাপাশি সরকারি স্থাপনাটি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। পর্যটনকে আকর্ষণীয় করতে পারত যে মেরিন ড্রাইভ, তার নির্মাণকাজ চলছে ধীরগতিতে। একদিকে তীব্র ভাঙন, অন্যদিকে রয়েছে টাকার অভাব। সময়মতো টাকা না পেলে মেরিন ড্রাইভের কাজ আগামী তিন বছরের মধ্যে শেষ করাও সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। পরিকল্পিত ইকো ট্যুরিজম এঙ্ক্লুসিভ জোনের জন্য বহু বছর ধরে অপেক্ষায় রয়েছে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিনের স্থানীয় লোকজন ও পর্যটন খাতের বিনিয়োগকারীরা। পূর্ণাঙ্গ মাস্টারপ্ল্যান না হওয়ায় সেন্ট মার্টিনে অপরিকল্পিতভাবেই ছোট-বড় প্রায় অর্ধশত হোটেল-মোটেল তৈরি হয়েছে। এসবের অধিকাংশেরই অনুমোদন নেই।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজারে প্রতিনিয়তই বাড়ছে দেশি-বিদেশি পর্যটক। ছুটির দিন ছাড়াও বিভিন্ন উৎসবে কয়েক লাখ মানুষের ঢল নামে ছোট্ট এই শহরে। পর্যাপ্ত আবাসন সুবিধা না থাকায় অনেক পর্যটককে যত্রতত্র রাত কাটাতে হয়। লাখো পর্যটকের আবাসন চাহিদার কারণেই সাগর তীরে এখন গড়ে উঠছে অসংখ্য আবাসিক হোটেল। কক্সবাজার শহর থেকে কলাতলী পর্যন্ত এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে তিন শতাধিক হোটেল-মোটেল, কটেজ ও গেস্ট হাউস। এত কিছুর পরও যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় কক্সবাজার সৈকতে বেড়ানোর ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যায় অনেকেরই।
পর্যটন নিয়ে অনেক কথাই হয়েছে। পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে অনেক কিছু করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কক্সবাজারের দিকে তাকালেই স্পষ্ট হয় যে সব কিছুই এখন পর্যন্ত কথার পর্যায়েই রয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তই বাস্তবায়িত হয়নি। কক্সবাজারকে ঘিরে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। শুধু পর্যটন নয়, বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্রও হয়ে উঠতে পারে কক্সবাজার। প্রয়োজন সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সেই সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়ন। সংশ্লিষ্টরা সেদিকেই দৃষ্টি দেবেন বলে আমরা আশা করি।
বাংলাদেশে পর্যটনের প্রধান আকর্ষণ কক্সবাজার। সাগর তীরের এই জেলা শহরে পেঁৗছতে পর্যটকদের লেগে যায় অনেক বেশি সময়। আজ পর্যন্ত এ শহরে কোনো আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর নির্মিত হয়নি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সরকার কক্সবাজার বিমানবন্দরটি নির্মাণ করে। যুদ্ধের পর তা বন্ধ হয়ে যায়। ১৯৫৬ সালে সংস্কার করে তা চালু করা হয় বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের লক্ষ্যে। পরবর্তী সময়ে দুই দফা বন্ধ থাকার পর ১৯৭২ সালে বিমানবন্দরটি আবার চালু হয়। দীর্ঘদিন ফ্লাইট চলেছে মাত্র একটি করে। এখন কয়েকটি বেসরকারি বিমান সংস্থার ফ্লাইট চলাচল করে সেখানে। যাত্রীবাহী ফ্লাইট ছাড়াও প্রতিদিন ছয়টি কার্গো বিমানে মালামাল পরিবহন হচ্ছে। কক্সবাজারে একসময় প্রচুর বিদেশি পর্যটক আসত, যা অনেক কমে গেছে কেবল একটি আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর না থাকার কারণে। আশা করা হচ্ছে, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালু হলে পুরোপুরি বদলে যাবে কক্সবাজারের দৃশ্যপট।
পর্যটকদের আরেক সমস্যা পর্যটন এলাকাগুলোতে যাওয়া। সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ জেটি অব্যবহৃত রয়ে গেছে অর্ধযুগেরও বেশি সময় ধরে। ফলে সেন্ট মার্টিনগামী পর্যটকদের সীমাহীন দুর্ভোগের পাশাপাশি সরকারি স্থাপনাটি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। পর্যটনকে আকর্ষণীয় করতে পারত যে মেরিন ড্রাইভ, তার নির্মাণকাজ চলছে ধীরগতিতে। একদিকে তীব্র ভাঙন, অন্যদিকে রয়েছে টাকার অভাব। সময়মতো টাকা না পেলে মেরিন ড্রাইভের কাজ আগামী তিন বছরের মধ্যে শেষ করাও সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। পরিকল্পিত ইকো ট্যুরিজম এঙ্ক্লুসিভ জোনের জন্য বহু বছর ধরে অপেক্ষায় রয়েছে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্ট মার্টিনের স্থানীয় লোকজন ও পর্যটন খাতের বিনিয়োগকারীরা। পূর্ণাঙ্গ মাস্টারপ্ল্যান না হওয়ায় সেন্ট মার্টিনে অপরিকল্পিতভাবেই ছোট-বড় প্রায় অর্ধশত হোটেল-মোটেল তৈরি হয়েছে। এসবের অধিকাংশেরই অনুমোদন নেই।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের শহর কক্সবাজারে প্রতিনিয়তই বাড়ছে দেশি-বিদেশি পর্যটক। ছুটির দিন ছাড়াও বিভিন্ন উৎসবে কয়েক লাখ মানুষের ঢল নামে ছোট্ট এই শহরে। পর্যাপ্ত আবাসন সুবিধা না থাকায় অনেক পর্যটককে যত্রতত্র রাত কাটাতে হয়। লাখো পর্যটকের আবাসন চাহিদার কারণেই সাগর তীরে এখন গড়ে উঠছে অসংখ্য আবাসিক হোটেল। কক্সবাজার শহর থেকে কলাতলী পর্যন্ত এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে তিন শতাধিক হোটেল-মোটেল, কটেজ ও গেস্ট হাউস। এত কিছুর পরও যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় কক্সবাজার সৈকতে বেড়ানোর ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যায় অনেকেরই।
পর্যটন নিয়ে অনেক কথাই হয়েছে। পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে অনেক কিছু করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কক্সবাজারের দিকে তাকালেই স্পষ্ট হয় যে সব কিছুই এখন পর্যন্ত কথার পর্যায়েই রয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তই বাস্তবায়িত হয়নি। কক্সবাজারকে ঘিরে একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। শুধু পর্যটন নয়, বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্রও হয়ে উঠতে পারে কক্সবাজার। প্রয়োজন সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সেই সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়ন। সংশ্লিষ্টরা সেদিকেই দৃষ্টি দেবেন বলে আমরা আশা করি।
No comments