যোগাযোগ-রেলের কালো বিড়াল ও আন্দোলন by তুহিন ওয়াদুদ
রেলব্যবস্থার নানা অনিয়ম নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই কমবেশি জাতীয় এবং স্থানীয় দৈনিকগুলোতে কোনো না কোনো সংবাদ প্রকাশিত হয়। এসব খবরকে রেল প্রশাসন কোনো তোয়াক্কাই করে না, বরং রেল সম্পর্কে নিত্যদিনের এসব লেখা তারা পড়তে অভ্যস্ত। রেলের অনিয়ম আর সীমাবদ্ধতা নিয়ে যদি জাতীয় কোনো দৈনিক ৩২ পৃষ্ঠার বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করে,
তাতেও বলে শেষ করা যাবে না। ৭ মার্চ প্রথম আলো রেল বিভাগের অনিয়মের একটি চিত্র তুলে ধরেছে। রেল নিয়ে বিশেষ আয়োজনে প্রকাশিত যে চিত্র, সেখানে রেলের ভয়াবহ অবস্থা ফুটে উঠেছে। চালকসংকট, ইঞ্জিনসংকট, জনবলসংকট, বাস্তবায়িত হচ্ছে না রেল প্রকল্প, সময়মতো ট্রেন না চলা, দিনের পর দিন বন্ধ হচ্ছে স্টেশন, বন্ধ হচ্ছে ট্রেন, সব টিকিট বিক্রি হলেও লোকসান গুনতে হয় রেল বিভাগকে ইত্যাদি। সেখানে ১৯৭০ সালের রেলবাস্তবতার সঙ্গে বর্তমান সময়ের রেলবাস্তবতার যে পার্থক্য তুলে ধরা হয়েছে, তাতে করে রেলের ক্রমপতনের চিত্রটি সহজে অনুমান করা যায়। ১৯৭০ সালে রেল ছিল লাভজনক খাত, এখন তা হয়েছে লোকসানের খাত। তখন রেলের যে জনবল ছিল, এখন তা কমে আসছে প্রায় অর্ধেকে।
এখন যাঁরা রেলের জনবল, তাঁদের অনেকেই চুক্তিভিত্তিক। সীমাহীন সীমাবদ্ধতা নিয়ে রেল চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যত সরকার এসেছে, তারা কেউই রেলের প্রতি যত্নশীল ছিল না। তার অন্যতম কারণ হতে পারে, সরকারের নেতৃত্বদানকারীদের সড়কপথে চলার জন্য নিজস্ব গাড়ি আছে। আবার সড়কপথ নিয়ে যাঁরা বাণিজ্য করেন, তাঁদের স্বার্থরক্ষার চেষ্টাতেও রেলপথকে অবহেলার শিকার হতে হয়েছে। রেলমন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর হাতে ভাঙা রেল তুলে দিয়েছেন। রেলমন্ত্রী রেল বিভাগের কালো বিড়াল খুঁজে বের করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। রাজনীতিবিদদের আশ্বাসের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের আস্থা নেই বললেই চলে। ভোগান্তির শিকার মানুষ এবার আন্দোলনে নেমেছেন। ১০ মার্চ গাইবান্ধা, বগুড়া, জয়পুরহাট, জয়পুরহাটসহ বেশ কয়েকটি স্থানে রেলব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য এবং দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতীকী অনশন পালন করা হয়েছে। আন্দোলনের যথার্থ কারণ রয়েছে। প্রবীণ রেলশ্রমিক নেতা জসীম উদ্দীন মণ্ডল রেলব্যবস্থার জন্য যে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন, তা ইতিবাচক।
রেলব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হলে হয়তো দেশব্যাপী গণমানুষকেই আন্দোলনে এগিয়ে আসতে হবে। জয়পুরহাট, বগুড়া ও গাইবান্ধার ওপর দিয়ে যে ট্রেনগুলো চলত, তার অনেকগুলোই এখন বন্ধ। যেমন রংপুরে যে ট্রেন চলত, তার অর্ধেকই এখন বন্ধ। ট্রেনগুলো বন্ধ থাকার কারণে শুধু স্থানীয় পর্যায়ে সমস্যা হয়েছে, তা নয়। পার্বতীপুরের ওপর দিয়ে রাজশাহী-খুলনাগামী ট্রেনগুলোর সঙ্গে এবং লালমনি এক্সপ্রেসের সংযোগকারী ট্রেনগুলোও বন্ধ রয়েছে। তাই রংপুর থেকে রেলযোগে দূরপাল্লায় যাওয়ার সুযোগ আর নেই।
পৃথিবীব্যাপী যখন রেলব্যবস্থার দিকে মানুষ এগিয়েছে, তখন বাংলাদেশে রেলব্যবস্থাকে চরম অবহেলার মাধ্যমে পতনের শেষ সীমায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তারপর আবার সেই পতিত অবস্থা থেকে উদ্ধারের জন্য সরকারি পর্যায়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে রেল মন্ত্রণালয় গঠন তার অন্যতম প্রচেষ্টা। প্রতিদিন যেখানে সড়কপথে অসংখ্য দুর্ঘটনা আমাদের পথচলাকে বিপৎসংকুল করে তুলেছে, স্বল্প সময়ের ব্যবধানে যখন জ্বালানির মূল্য চড়িয়ে দিয়ে আমাদের যাত্রাব্যয় সামর্থ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে, তখন যোগাযোগব্যবস্থার জন্য রেলের বিকল্প আমাদের থাকার কথা নয়। কিন্তু দিনের পর দিন দেশব্যাপী রেলের প্রতি মানুষকে আকৃষ্ট করার পরিবর্তে বীতশ্রদ্ধ করে তোলা হয়েছে।
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা ট্রেনেরও চাহিদা রয়েছে পর্যাপ্ত। রংপুর এক্সপ্রেস যখন দুই থেকে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্বে ছাড়ত, তখনো রংপুর এক্সপ্রেসের আসন কোনো দিন অবিক্রীত ছিল না। কমলাপুর রেলস্টেশনে গেলে দেখা যায় মানুষের ঢল। রেল যোগাযোগের উন্নয়ন হলে মানুষের প্রথম পছন্দ রেল না হওয়ার কোনো কারণ নেই।
রেলকে আধুনিকায়ন করা অত্যন্ত জরুরি। ট্রেনের টিকিট মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে যেন যাত্রী ক্রয় করতে পারে, সে ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। যদি কোনো কারণে কোনো ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে ছাড়তে না পারে, তাহলে সেই ট্রেনের নতুন সময়সূচি যেন এসএমএস করে যাত্রীদের জানিয়ে দেওয়া হয়। অথবা প্রতিটি স্টেশনে সেবাকেন্দ্র খুলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে টিকিট বিক্রয় এবং ট্রেনবিষয়ক খোঁজখবর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। লোকাল ট্রেনগুলোতে আসনে কোনো নম্বর নেই। একটি লোকাল বাসেও আসন নম্বর থাকে। লোকাল ট্রেনগুলোতেও আসন নম্বর থাকা জরুরি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নতুন রেললাইন স্থাপন করা অত্যন্ত প্রয়োজন। যেমন রংপুর থেকে ঢাকা যেতে সময় প্রয়োজন হয় প্রায় ১১ ঘণ্টা। ট্রেনটিকে অনেক দূর পথ ঘুরে যেতে হয়। যদি রংপুর থেকে বগুড়া পর্যন্ত একটি সোজা লাইন স্থাপন করা যেত, তাহলে অন্তত পাঁচ ঘণ্টা সাশ্রয় করা সম্ভব হতো। বর্তমানে রংপুর থেকে কাউনিয়া হয়ে পীরগাছা দিয়ে অনেকখানি পথ ঘুরতে হয়। যত দিন রংপুর থেকে বগুড়া রেলপথ করা না হয়, তত দিন যদি রংপুর থেকে পীরগাছা পর্যন্ত একটি রেললাইন স্থাপন করা যেত, তাহলেও প্রায় দুই ঘণ্টা কম সময় প্রয়োজন হতো।
বন্ধ ট্রেন, বন্ধ স্টেশন চালু করতে দ্রুত জনবল নিয়োগ করা প্রয়োজন। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ তৎপরতা প্রয়োজন, যে ট্রেনগুলো চলছে সেগুলোতে যতগুলো কোচ সংযোজন করা যায়, ততগুলো কোচ সংযোজন করা জরুরি। সবার আগে প্রয়োজন ট্রেনগুলো সময়মতো ছাড়ার নিশ্চয়তা। সাপ্তাহিক ছুটির পরদিন ট্রেন সময়মতো ছাড়বে, তার পর থেকে বাকি ছয় দিন ক্রমানুসারে বিলম্ব করতে থাকবে, রেলের কালো বিড়াল থাকবে যত্নে আর ভাঙা রেল সুস্থ হবে না—এই যদি হয় অবস্থা, তাহলে রেল মন্ত্রণালয় কী উদ্দেশ্যে গঠন করা? নাকি একজন বিপ্লবী এবং প্রতিবাদী সাংসদকে মন্ত্রী করার জন্যই এই আয়োজন?
আমরা সোনালি রেলের অপেক্ষায়, নয়তো আন্দোলনই আমাদের পথ।
তুহিন ওয়াদুদ: শিক্ষক, বাংলা বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
wadudtuhin@gmail.com
এখন যাঁরা রেলের জনবল, তাঁদের অনেকেই চুক্তিভিত্তিক। সীমাহীন সীমাবদ্ধতা নিয়ে রেল চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যত সরকার এসেছে, তারা কেউই রেলের প্রতি যত্নশীল ছিল না। তার অন্যতম কারণ হতে পারে, সরকারের নেতৃত্বদানকারীদের সড়কপথে চলার জন্য নিজস্ব গাড়ি আছে। আবার সড়কপথ নিয়ে যাঁরা বাণিজ্য করেন, তাঁদের স্বার্থরক্ষার চেষ্টাতেও রেলপথকে অবহেলার শিকার হতে হয়েছে। রেলমন্ত্রী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর হাতে ভাঙা রেল তুলে দিয়েছেন। রেলমন্ত্রী রেল বিভাগের কালো বিড়াল খুঁজে বের করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। রাজনীতিবিদদের আশ্বাসের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের আস্থা নেই বললেই চলে। ভোগান্তির শিকার মানুষ এবার আন্দোলনে নেমেছেন। ১০ মার্চ গাইবান্ধা, বগুড়া, জয়পুরহাট, জয়পুরহাটসহ বেশ কয়েকটি স্থানে রেলব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য এবং দুর্নীতি বন্ধের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতীকী অনশন পালন করা হয়েছে। আন্দোলনের যথার্থ কারণ রয়েছে। প্রবীণ রেলশ্রমিক নেতা জসীম উদ্দীন মণ্ডল রেলব্যবস্থার জন্য যে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন, তা ইতিবাচক।
রেলব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হলে হয়তো দেশব্যাপী গণমানুষকেই আন্দোলনে এগিয়ে আসতে হবে। জয়পুরহাট, বগুড়া ও গাইবান্ধার ওপর দিয়ে যে ট্রেনগুলো চলত, তার অনেকগুলোই এখন বন্ধ। যেমন রংপুরে যে ট্রেন চলত, তার অর্ধেকই এখন বন্ধ। ট্রেনগুলো বন্ধ থাকার কারণে শুধু স্থানীয় পর্যায়ে সমস্যা হয়েছে, তা নয়। পার্বতীপুরের ওপর দিয়ে রাজশাহী-খুলনাগামী ট্রেনগুলোর সঙ্গে এবং লালমনি এক্সপ্রেসের সংযোগকারী ট্রেনগুলোও বন্ধ রয়েছে। তাই রংপুর থেকে রেলযোগে দূরপাল্লায় যাওয়ার সুযোগ আর নেই।
পৃথিবীব্যাপী যখন রেলব্যবস্থার দিকে মানুষ এগিয়েছে, তখন বাংলাদেশে রেলব্যবস্থাকে চরম অবহেলার মাধ্যমে পতনের শেষ সীমায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তারপর আবার সেই পতিত অবস্থা থেকে উদ্ধারের জন্য সরকারি পর্যায়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলাদেশে রেল মন্ত্রণালয় গঠন তার অন্যতম প্রচেষ্টা। প্রতিদিন যেখানে সড়কপথে অসংখ্য দুর্ঘটনা আমাদের পথচলাকে বিপৎসংকুল করে তুলেছে, স্বল্প সময়ের ব্যবধানে যখন জ্বালানির মূল্য চড়িয়ে দিয়ে আমাদের যাত্রাব্যয় সামর্থ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে, তখন যোগাযোগব্যবস্থার জন্য রেলের বিকল্প আমাদের থাকার কথা নয়। কিন্তু দিনের পর দিন দেশব্যাপী রেলের প্রতি মানুষকে আকৃষ্ট করার পরিবর্তে বীতশ্রদ্ধ করে তোলা হয়েছে।
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা ট্রেনেরও চাহিদা রয়েছে পর্যাপ্ত। রংপুর এক্সপ্রেস যখন দুই থেকে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্বে ছাড়ত, তখনো রংপুর এক্সপ্রেসের আসন কোনো দিন অবিক্রীত ছিল না। কমলাপুর রেলস্টেশনে গেলে দেখা যায় মানুষের ঢল। রেল যোগাযোগের উন্নয়ন হলে মানুষের প্রথম পছন্দ রেল না হওয়ার কোনো কারণ নেই।
রেলকে আধুনিকায়ন করা অত্যন্ত জরুরি। ট্রেনের টিকিট মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে যেন যাত্রী ক্রয় করতে পারে, সে ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন। যদি কোনো কারণে কোনো ট্রেন নির্দিষ্ট সময়ে ছাড়তে না পারে, তাহলে সেই ট্রেনের নতুন সময়সূচি যেন এসএমএস করে যাত্রীদের জানিয়ে দেওয়া হয়। অথবা প্রতিটি স্টেশনে সেবাকেন্দ্র খুলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে টিকিট বিক্রয় এবং ট্রেনবিষয়ক খোঁজখবর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। লোকাল ট্রেনগুলোতে আসনে কোনো নম্বর নেই। একটি লোকাল বাসেও আসন নম্বর থাকে। লোকাল ট্রেনগুলোতেও আসন নম্বর থাকা জরুরি। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নতুন রেললাইন স্থাপন করা অত্যন্ত প্রয়োজন। যেমন রংপুর থেকে ঢাকা যেতে সময় প্রয়োজন হয় প্রায় ১১ ঘণ্টা। ট্রেনটিকে অনেক দূর পথ ঘুরে যেতে হয়। যদি রংপুর থেকে বগুড়া পর্যন্ত একটি সোজা লাইন স্থাপন করা যেত, তাহলে অন্তত পাঁচ ঘণ্টা সাশ্রয় করা সম্ভব হতো। বর্তমানে রংপুর থেকে কাউনিয়া হয়ে পীরগাছা দিয়ে অনেকখানি পথ ঘুরতে হয়। যত দিন রংপুর থেকে বগুড়া রেলপথ করা না হয়, তত দিন যদি রংপুর থেকে পীরগাছা পর্যন্ত একটি রেললাইন স্থাপন করা যেত, তাহলেও প্রায় দুই ঘণ্টা কম সময় প্রয়োজন হতো।
বন্ধ ট্রেন, বন্ধ স্টেশন চালু করতে দ্রুত জনবল নিয়োগ করা প্রয়োজন। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ তৎপরতা প্রয়োজন, যে ট্রেনগুলো চলছে সেগুলোতে যতগুলো কোচ সংযোজন করা যায়, ততগুলো কোচ সংযোজন করা জরুরি। সবার আগে প্রয়োজন ট্রেনগুলো সময়মতো ছাড়ার নিশ্চয়তা। সাপ্তাহিক ছুটির পরদিন ট্রেন সময়মতো ছাড়বে, তার পর থেকে বাকি ছয় দিন ক্রমানুসারে বিলম্ব করতে থাকবে, রেলের কালো বিড়াল থাকবে যত্নে আর ভাঙা রেল সুস্থ হবে না—এই যদি হয় অবস্থা, তাহলে রেল মন্ত্রণালয় কী উদ্দেশ্যে গঠন করা? নাকি একজন বিপ্লবী এবং প্রতিবাদী সাংসদকে মন্ত্রী করার জন্যই এই আয়োজন?
আমরা সোনালি রেলের অপেক্ষায়, নয়তো আন্দোলনই আমাদের পথ।
তুহিন ওয়াদুদ: শিক্ষক, বাংলা বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।
wadudtuhin@gmail.com
No comments