ঢাকা দুই দলেরই প্রেরণা!
কার্গিল সীমান্তে পরস্পরের দিকে তাক করে রাখা বন্দুকের ধাতব নলগুলো ঠান্ডা হয়ে এসেছে। গগনবিদারী আওয়াজও আর তোলে না পুঞ্চ সেক্টরের কামানগুলো। তবু ক্রিকেট মাঠে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি মানেই উড়ে এসে জুড়ে বসা উত্তেজনা। আকাশে-বাতাসে অনুপম, উপভোগ্য সে উত্তেজনার রেণু ছড়িয়ে ঢাকায় আজ আবার মুখোমুখি দুই প্রতিবেশী।
এমন এক ম্যাচের আগে ভেন্যু ঢাকা প্রেরণা হতে পারে দুই দলের জন্যই।
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের একমাত্র শিরোপাটি এসেছিল ঢাকায়। ২০০০ সালে পাওয়া সাফল্যটি অবশ্য ফাইনালে ভারতকে নয়, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে। তবে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তান দলের জন্য রোমন্থনের স্মৃতি হয়ে আছে ২০০৮ সালের কিটপ্লাই কাপ। ‘হাই স্কোরিং’ ফাইনালে ভারতকে ২৫ রানে হারিয়ে ট্রফি জিতেছিল পাকিস্তান। পাকিস্তানের পক্ষে ওই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন সালমান বাট (১২৯) ও ইউনুস খান (১০৮)। ভারতের বিপক্ষে এ পর্যন্ত ১২০টি ওয়ানডেতে দুই পাকিস্তানির সেঞ্চুরি পাওয়ার ঘটনা আছে চারটি। যার দুটিই ঢাকায়, মাত্র আট ম্যাচে। কিটপ্লাই কাপের ওই ফাইনাল ছাড়াও পাকিস্তানের পক্ষে দুটি সেঞ্চুরি হয়েছিল ১৯৯৭ সালে ইন্ডিপেনডেন্স কাপের ফাইনালের ‘ফাইনালে’। বেস্ট অব থ্রি ফাইনালের শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন সাঈদ আনোয়ার (১৪০) ও ইজাজ আহমেদ (১১৭)। দুই দেশের ওয়ানডে ক্রিকেটে মোট সাতটি সেঞ্চুরি দেখেছে ঢাকা। যার ৫টিই পাকিস্তানের পক্ষে। ভারতের পক্ষে মাত্র দুটি!
জোড়া সেঞ্চুরির ঘটনাটা বাদ দিলে ইন্ডিপেনডেন্স কাপের ফাইনালটি আবার পাকিস্তানের জন্য হতাশার। আর যেখানেই হতাশা পাকিস্তানের, সেখানেই আনন্দ ভারতের। আনোয়ার-ইজাজের তৃতীয় উইকেটে ২৩০ রানের জুটির সুবাদে পাকিস্তান তুলেছিল ৫ উইকেটে ৩১৪। ভাবা যায়নি, এই রান তাড়া করে জিতবে ভারত। এর আগে এত রান তাড়া করে জেতার কোনো ইতিহাসও ছিল না। কিন্তু সব সিলিন্ডারের মুখ খুলে দিয়ে এদিন আকাশে উড়ল ‘টিম ইন্ডিয়া’। ৪৮ ওভারের ম্যাচ এক বল হাতে রেখেই ৩ উইকেটে জিতে গেল ভারত!
ঢাকায় দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের ফলাফলও প্রেরণা হতে পারে ভারতের। আটবারের সাক্ষাতে পাঁচবারই জিতেছে ভারত। সাফল্যের হার ৬৭.৫ শতাংশ! তবে সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচের হিসাব কষে মুখে হাসি আনতে পারে পাকিস্তান। সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছে পাকিস্তান, শেষ তিন ম্যাচের দুটি।
ঢাকায় সর্বোচ্চ ২৩০ রানের জুটিটি পাকিস্তানের হলেও সেঞ্চুরি জুটির হিসাবটা ভারতের জন্যই প্রেরণাদায়ী। আনোয়ার-ইজাজের এই জুটিটি ছাড়া পাকিস্তানের পক্ষে ঢাকায় সেঞ্চুরি জুটি আছে মাত্র আর মাত্র ১টি। কিন্তু ভারতের পক্ষে সেঞ্চুরি জুটি হয়েছে চারটি।
সেরা বোলিংও ভারতের পক্ষে। ১৯৮৮ এশিয়া কাপে অফ স্পিনার আরশাদ আয়ুব ২১ রানে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। দুই দেশের লড়াইয়ে ঢাকায় পাঁচ উইকেট পাওয়া একমাত্র বোলারও তিনি।
একটা ক্ষেত্রে দুই দলের মধ্যে অবশ্য দারুণ ভারসাম্য। আট ম্যাচে সমান চারবার করে টস জিতেছে দুই দলই। আজ কি মহেন্দ্র সিং ধোনির হাত ধরে এগিয়ে যাবে ভারত, নাকি মিসবাহ-উল হক এগিয়ে দেবেন পাকিস্তানকে? তা টসে আজ যেই জিতুন—পরতে পরতে উত্তেজনা নিয়ে জমে উঠবে ম্যাচটি, আয়োজক হিসেবে এটাই কামনা ঢাকার, বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমী মানুষের।
শাহরিয়ার ফিরোজ
এশিয়া কাপে পাকিস্তানের একমাত্র শিরোপাটি এসেছিল ঢাকায়। ২০০০ সালে পাওয়া সাফল্যটি অবশ্য ফাইনালে ভারতকে নয়, শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে। তবে ভারতের বিপক্ষে পাকিস্তান দলের জন্য রোমন্থনের স্মৃতি হয়ে আছে ২০০৮ সালের কিটপ্লাই কাপ। ‘হাই স্কোরিং’ ফাইনালে ভারতকে ২৫ রানে হারিয়ে ট্রফি জিতেছিল পাকিস্তান। পাকিস্তানের পক্ষে ওই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন সালমান বাট (১২৯) ও ইউনুস খান (১০৮)। ভারতের বিপক্ষে এ পর্যন্ত ১২০টি ওয়ানডেতে দুই পাকিস্তানির সেঞ্চুরি পাওয়ার ঘটনা আছে চারটি। যার দুটিই ঢাকায়, মাত্র আট ম্যাচে। কিটপ্লাই কাপের ওই ফাইনাল ছাড়াও পাকিস্তানের পক্ষে দুটি সেঞ্চুরি হয়েছিল ১৯৯৭ সালে ইন্ডিপেনডেন্স কাপের ফাইনালের ‘ফাইনালে’। বেস্ট অব থ্রি ফাইনালের শেষ ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন সাঈদ আনোয়ার (১৪০) ও ইজাজ আহমেদ (১১৭)। দুই দেশের ওয়ানডে ক্রিকেটে মোট সাতটি সেঞ্চুরি দেখেছে ঢাকা। যার ৫টিই পাকিস্তানের পক্ষে। ভারতের পক্ষে মাত্র দুটি!
জোড়া সেঞ্চুরির ঘটনাটা বাদ দিলে ইন্ডিপেনডেন্স কাপের ফাইনালটি আবার পাকিস্তানের জন্য হতাশার। আর যেখানেই হতাশা পাকিস্তানের, সেখানেই আনন্দ ভারতের। আনোয়ার-ইজাজের তৃতীয় উইকেটে ২৩০ রানের জুটির সুবাদে পাকিস্তান তুলেছিল ৫ উইকেটে ৩১৪। ভাবা যায়নি, এই রান তাড়া করে জিতবে ভারত। এর আগে এত রান তাড়া করে জেতার কোনো ইতিহাসও ছিল না। কিন্তু সব সিলিন্ডারের মুখ খুলে দিয়ে এদিন আকাশে উড়ল ‘টিম ইন্ডিয়া’। ৪৮ ওভারের ম্যাচ এক বল হাতে রেখেই ৩ উইকেটে জিতে গেল ভারত!
ঢাকায় দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ের ফলাফলও প্রেরণা হতে পারে ভারতের। আটবারের সাক্ষাতে পাঁচবারই জিতেছে ভারত। সাফল্যের হার ৬৭.৫ শতাংশ! তবে সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচের হিসাব কষে মুখে হাসি আনতে পারে পাকিস্তান। সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছে পাকিস্তান, শেষ তিন ম্যাচের দুটি।
ঢাকায় সর্বোচ্চ ২৩০ রানের জুটিটি পাকিস্তানের হলেও সেঞ্চুরি জুটির হিসাবটা ভারতের জন্যই প্রেরণাদায়ী। আনোয়ার-ইজাজের এই জুটিটি ছাড়া পাকিস্তানের পক্ষে ঢাকায় সেঞ্চুরি জুটি আছে মাত্র আর মাত্র ১টি। কিন্তু ভারতের পক্ষে সেঞ্চুরি জুটি হয়েছে চারটি।
সেরা বোলিংও ভারতের পক্ষে। ১৯৮৮ এশিয়া কাপে অফ স্পিনার আরশাদ আয়ুব ২১ রানে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট। দুই দেশের লড়াইয়ে ঢাকায় পাঁচ উইকেট পাওয়া একমাত্র বোলারও তিনি।
একটা ক্ষেত্রে দুই দলের মধ্যে অবশ্য দারুণ ভারসাম্য। আট ম্যাচে সমান চারবার করে টস জিতেছে দুই দলই। আজ কি মহেন্দ্র সিং ধোনির হাত ধরে এগিয়ে যাবে ভারত, নাকি মিসবাহ-উল হক এগিয়ে দেবেন পাকিস্তানকে? তা টসে আজ যেই জিতুন—পরতে পরতে উত্তেজনা নিয়ে জমে উঠবে ম্যাচটি, আয়োজক হিসেবে এটাই কামনা ঢাকার, বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমী মানুষের।
শাহরিয়ার ফিরোজ
No comments