রং বেরং
১৯৮৪ সালে শারজায় চার জাতি রথম্যান্স কাপে ভারতকে ১২৫ রানে অলআউট করে দিয়েও জিততে পারেনি পাকিস্তান। তারা অলআউট হয়ে গিয়েছিল ৮৭ রানে। জিততে দেয়নি ভারতের ফিল্ডিং। সুনীল গাভাস্কার একাই নিয়েছিলেন চারটি ক্যাচ।
১৯৯৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্টি রোডস ভেঙে দেওয়ার আগে পর্যন্ত এটি ছিল এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ক্যাচের রেকর্ড।
১৯৯৬ বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুর কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতীয় ইনিংসের ৪৮ ও ৫০তম ওভারে অজয় জাদেজা ওয়াকার ইউনুসের বলে নিয়েছিলেন ১৮ ও ২২ রান। ২৫ বলে ৪৫ রান করেছিলেন জাদেজা। ওয়াকারের ওই দুই ওভারে জাদেজা-ঝড়ই শেষ পর্যন্ত নির্ধারক হয়ে দাঁড়ায় ম্যাচের।
১৯৯৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালেই ভেঙ্কটেশ প্রসাদের পর পর দুই বলে বাউন্ডারি মারার পর ব্যাটসম্যান আমির সোহেল ব্যাট তুলে প্রসাদকে ইঙ্গিত করলেন বল নিয়ে আসতে। পরের বলেই সোহেলকে বোল্ড করে দিলেন প্রসাদ।
১৯৯৭ সালে টরন্টোয় ‘সাহারা ফ্রেন্ডশিপ সিরিজ’ ভারত জিতেছিল বলতে গেলে সৌরভ গাঙ্গুলীর একক অলরাউন্ড নৈপুণ্যে। রান করেছিলেন ২২২, উইকেট নিয়েছিলেন ১৫টি। ওই সিরিজেই টানা চার ম্যাচে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হয়েছিলেন সৌরভ, ওয়ানডে ক্রিকেটে যে রেকর্ড আজও অম্লান।
২০০৩ বিশ্বকাপে সেঞ্চুরিয়নে আকরাম, ওয়াকার, শোয়েব, রাজ্জাকদের নিয়ে গড়া বিশ্বমানের পেস আক্রমণের বিপক্ষেও ২৭৩ রান তাড়া করে জিতেছিল ভারত। তাও কিনা ৪.২ ওভার বাকি থাকতেই!
মহেন্দ্র সিং ধোনি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটি করেছিলেন ২০০৫ সালে বিশাখাপত্তমে পাকিস্তানের বিপক্ষে। খেলেছিলেন ১৪৮ রানের ইনিংস। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাঁর আগমনবার্তা ঘোষণা করা ওই ইনিংসই পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনো ভারতীয়ের সর্বোচ্চ ইনিংস। ভারত ওই ম্যাচে ৯ উইকেটে করেছিল ৩৫৬ রান, যা পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের সর্বোচ্চ।
‘হিরো’ কিংবা ‘ভিলেন’ হওয়ার জন্য কখনো কখনো একটা বলই যথেষ্ট। এর প্রমাণ হয়ে আছে ১৯৮৬ সালে অস্ট্রেলেশিয়া কাপের ফাইনালটি। শেষ বলে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল চার রান। ভারতীয় বোলার চেতন শর্মাকে ছয় মেরে দলকে জিতিয়ে নায়ক হয়ে যান জাভেদ মিয়াঁদাদ। খলনায়ক বোলার চেতন শর্মা।
ব্যাটসম্যানের মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে সাধারণত স্লেজিং করেন উইকেটরক্ষক কিংবা ফিল্ডাররা। কিন্তু ১৯৯২ বিশ্বকাপে উল্টোটা করলেন জাভেদ মিয়াঁদাদ। ভারতীয় উইকেটরক্ষক কিরন মোরের অভ্যাস ছিল লাফিয়ে লাফিয়ে আপিল করা। এটা যে তাঁর পছন্দ হয়নি, মিয়াঁদাদ সেটি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মোরেকে নকল করে—একটা রান নেওয়ার পর মোরের সামনাসামনি হয়ে দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে কয়েকটি লাফ দিয়ে।
১৯৯১ সালে শারজায় উইলস ট্রফির ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেছিলেন আকিব জাভেদ। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সেই হ্যাটট্রিক আজও অনন্য হয়ে আছে দুটি কারণে—এক. সবচেয়ে কম, ১৯ বছর ৮১ দিন, বয়সে হ্যাটট্রিকটি করেছিলেন তিনি। দুই. তিনজন ব্যাটসম্যানকেই এলবিডব্লু করে হ্যাটট্রিক করেছিলেন আকিব, যা ওয়ানডের ইতিহাসে প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র ঘটনা।
১৯৯৭ সালে লাহোরে ভারতের ২১৬ রান তাড়া করে পাকিস্তান ম্যাচ জিতেছিল মাত্র ২৬.২ ওভারে। কৃতিত্বটা ব্যাটসম্যান ইজাজ আহমেদের। ওপেন করতে নেমে ১০টি চার ও ৯টি ছয়ে ৮৪ বলে অপরাজিত ১৩৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ইজাজ।
২০০০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজটি স্মরণীয় হয়ে আছে পাকিস্তানের জন্য। না, তারা টুর্নামেন্ট জিততে পারেনি। তবে রোমন্থনের স্মৃতি হয়ে আছে টুর্নামেন্টে ভারতের বিপক্ষে চার ম্যাচের তিনটিতেই জয়।
২০০০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে ধরাছোঁয়ায় প্রায় বাইরে চলে যাওয়া প্রথম ম্যাচ পাকিস্তানকে জিতিয়ে দিয়েছিলেন দুই টেল এন্ডার ওয়াকার ইউনুস ও সাকলায়েন মুস্তাক। শেষ বলে জয় পাওয়া ওই ম্যাচে অসমাপ্ত নবম উইকেট জুটিতে ৪৩ রান তুলেছিলেন ওয়াকার-সাকলায়েন।
স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে নিষিদ্ধ হওয়ার আগে ওয়ানডে ক্রিকেটে ৮টি সেঞ্চুরি করেছেন সালমান বাট, যার পাঁচটিই ভারতের বিপক্ষে। তাঁর প্রথম সেঞ্চুরিটিও ভারতের বিপক্ষে, ইডেন গার্ডেনে বিসিসিআইয়ের প্লাটিনাম জুবিলি উপলক্ষে আয়োজিত ম্যাচে।
২০০৬ সালে ভারতের বিপক্ষে স্মরণীয় এক সিরিজ জিতেছিল পাকিস্তান। ভারত সফরে ছয় ওয়ানডের সিরিজে প্রথম দুটি ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর পাকিস্তান সিরিজ জেতে ৪-২ ব্যবধানে। অথচ সিরিজ শুরুর আগে বলা হচ্ছিল, এত দুর্বল দল নিয়ে আগে কখনো ভারত সফর করেনি পাকিস্তান!
১৯৯৭ সালে চেন্নাইয়ে সাঈদ আনোয়ারের এক ইনিংসের কাছেই হেরে গিয়েছিল ভারত। ওই ম্যাচে ২২টি চার ও ৫টি ছয়ে ১৪৬ বলে ১৯৪ রান করেছিলেন বাঁহাতি ওপেনার, যেটি ওয়ানডের সর্বোচ্চ ইনিংস হিসেবে টিকে ছিল প্রায় এক যুগ।
১৯৯৬ বিশ্বকাপে বেঙ্গালুরুর কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতীয় ইনিংসের ৪৮ ও ৫০তম ওভারে অজয় জাদেজা ওয়াকার ইউনুসের বলে নিয়েছিলেন ১৮ ও ২২ রান। ২৫ বলে ৪৫ রান করেছিলেন জাদেজা। ওয়াকারের ওই দুই ওভারে জাদেজা-ঝড়ই শেষ পর্যন্ত নির্ধারক হয়ে দাঁড়ায় ম্যাচের।
১৯৯৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালেই ভেঙ্কটেশ প্রসাদের পর পর দুই বলে বাউন্ডারি মারার পর ব্যাটসম্যান আমির সোহেল ব্যাট তুলে প্রসাদকে ইঙ্গিত করলেন বল নিয়ে আসতে। পরের বলেই সোহেলকে বোল্ড করে দিলেন প্রসাদ।
১৯৯৭ সালে টরন্টোয় ‘সাহারা ফ্রেন্ডশিপ সিরিজ’ ভারত জিতেছিল বলতে গেলে সৌরভ গাঙ্গুলীর একক অলরাউন্ড নৈপুণ্যে। রান করেছিলেন ২২২, উইকেট নিয়েছিলেন ১৫টি। ওই সিরিজেই টানা চার ম্যাচে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হয়েছিলেন সৌরভ, ওয়ানডে ক্রিকেটে যে রেকর্ড আজও অম্লান।
২০০৩ বিশ্বকাপে সেঞ্চুরিয়নে আকরাম, ওয়াকার, শোয়েব, রাজ্জাকদের নিয়ে গড়া বিশ্বমানের পেস আক্রমণের বিপক্ষেও ২৭৩ রান তাড়া করে জিতেছিল ভারত। তাও কিনা ৪.২ ওভার বাকি থাকতেই!
মহেন্দ্র সিং ধোনি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটি করেছিলেন ২০০৫ সালে বিশাখাপত্তমে পাকিস্তানের বিপক্ষে। খেলেছিলেন ১৪৮ রানের ইনিংস। আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাঁর আগমনবার্তা ঘোষণা করা ওই ইনিংসই পাকিস্তানের বিপক্ষে কোনো ভারতীয়ের সর্বোচ্চ ইনিংস। ভারত ওই ম্যাচে ৯ উইকেটে করেছিল ৩৫৬ রান, যা পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের সর্বোচ্চ।
‘হিরো’ কিংবা ‘ভিলেন’ হওয়ার জন্য কখনো কখনো একটা বলই যথেষ্ট। এর প্রমাণ হয়ে আছে ১৯৮৬ সালে অস্ট্রেলেশিয়া কাপের ফাইনালটি। শেষ বলে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল চার রান। ভারতীয় বোলার চেতন শর্মাকে ছয় মেরে দলকে জিতিয়ে নায়ক হয়ে যান জাভেদ মিয়াঁদাদ। খলনায়ক বোলার চেতন শর্মা।
ব্যাটসম্যানের মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটাতে সাধারণত স্লেজিং করেন উইকেটরক্ষক কিংবা ফিল্ডাররা। কিন্তু ১৯৯২ বিশ্বকাপে উল্টোটা করলেন জাভেদ মিয়াঁদাদ। ভারতীয় উইকেটরক্ষক কিরন মোরের অভ্যাস ছিল লাফিয়ে লাফিয়ে আপিল করা। এটা যে তাঁর পছন্দ হয়নি, মিয়াঁদাদ সেটি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন মোরেকে নকল করে—একটা রান নেওয়ার পর মোরের সামনাসামনি হয়ে দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে কয়েকটি লাফ দিয়ে।
১৯৯১ সালে শারজায় উইলস ট্রফির ফাইনালে হ্যাটট্রিক করেছিলেন আকিব জাভেদ। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে সেই হ্যাটট্রিক আজও অনন্য হয়ে আছে দুটি কারণে—এক. সবচেয়ে কম, ১৯ বছর ৮১ দিন, বয়সে হ্যাটট্রিকটি করেছিলেন তিনি। দুই. তিনজন ব্যাটসম্যানকেই এলবিডব্লু করে হ্যাটট্রিক করেছিলেন আকিব, যা ওয়ানডের ইতিহাসে প্রথম এবং এখন পর্যন্ত একমাত্র ঘটনা।
১৯৯৭ সালে লাহোরে ভারতের ২১৬ রান তাড়া করে পাকিস্তান ম্যাচ জিতেছিল মাত্র ২৬.২ ওভারে। কৃতিত্বটা ব্যাটসম্যান ইজাজ আহমেদের। ওপেন করতে নেমে ১০টি চার ও ৯টি ছয়ে ৮৪ বলে অপরাজিত ১৩৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ইজাজ।
২০০০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজটি স্মরণীয় হয়ে আছে পাকিস্তানের জন্য। না, তারা টুর্নামেন্ট জিততে পারেনি। তবে রোমন্থনের স্মৃতি হয়ে আছে টুর্নামেন্টে ভারতের বিপক্ষে চার ম্যাচের তিনটিতেই জয়।
২০০০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে ধরাছোঁয়ায় প্রায় বাইরে চলে যাওয়া প্রথম ম্যাচ পাকিস্তানকে জিতিয়ে দিয়েছিলেন দুই টেল এন্ডার ওয়াকার ইউনুস ও সাকলায়েন মুস্তাক। শেষ বলে জয় পাওয়া ওই ম্যাচে অসমাপ্ত নবম উইকেট জুটিতে ৪৩ রান তুলেছিলেন ওয়াকার-সাকলায়েন।
স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে নিষিদ্ধ হওয়ার আগে ওয়ানডে ক্রিকেটে ৮টি সেঞ্চুরি করেছেন সালমান বাট, যার পাঁচটিই ভারতের বিপক্ষে। তাঁর প্রথম সেঞ্চুরিটিও ভারতের বিপক্ষে, ইডেন গার্ডেনে বিসিসিআইয়ের প্লাটিনাম জুবিলি উপলক্ষে আয়োজিত ম্যাচে।
২০০৬ সালে ভারতের বিপক্ষে স্মরণীয় এক সিরিজ জিতেছিল পাকিস্তান। ভারত সফরে ছয় ওয়ানডের সিরিজে প্রথম দুটি ম্যাচ হেরে যাওয়ার পর পাকিস্তান সিরিজ জেতে ৪-২ ব্যবধানে। অথচ সিরিজ শুরুর আগে বলা হচ্ছিল, এত দুর্বল দল নিয়ে আগে কখনো ভারত সফর করেনি পাকিস্তান!
১৯৯৭ সালে চেন্নাইয়ে সাঈদ আনোয়ারের এক ইনিংসের কাছেই হেরে গিয়েছিল ভারত। ওই ম্যাচে ২২টি চার ও ৫টি ছয়ে ১৪৬ বলে ১৯৪ রান করেছিলেন বাঁহাতি ওপেনার, যেটি ওয়ানডের সর্বোচ্চ ইনিংস হিসেবে টিকে ছিল প্রায় এক যুগ।
No comments