শ্রদ্ধাঞ্জলি-‘অখ্যাত’ মানুষের মৃত্যু by আসিফ নজরুল
আমার কিছুটা বাড়াবাড়ি ছিল তাঁকে নিয়ে। তাঁর নাম মতিউর রহমান সিদ্দিকী। তাঁর প্রসঙ্গ এলেই আমি বলতাম: ম্যাট্রিকে সাভার অধরচন্দ্র স্কুল থেকে স্ট্যান্ড করেছেন তিনি, ইন্টারমিডিয়েটে স্টার মার্ক! সুদূর অতীতের এসব বর্ণনার যদি কোনো প্রয়োজন নাও থাকত, তবুও বলতাম আমি।
আশা করতাম তাঁর প্রতি মানুষের সম্মান যেন একটু বাড়ে তাতে!
তিনি ছিলেন আমার আট বছরের বড় ভাই। প্রায় শিশুকালে তাঁর কাছে থেকে বৈজ্ঞানিক ল্যাভয়শিয়ে-ল্যাপলাজ, দার্শনিক ফ্রেডারিক নিটেশ, কবি শেলি-কিটস-বায়রনের নাম মুখস্থ হয়ে যায়। তিনি আমাকে লাস্ট ফর লাইভ থেকে ভ্যান গঘের প্রতি ভাইথিও-র ভালোবাসার গল্প শোনাতেন, স্ট্যালিনের সঙ্গে ট্রটস্কির বিরোধের কারণ ব্যাখা করতেন, কিছুই বুঝি না এমন বয়সে সামনে বসিয়ে শোনাতেন জাহিদুর রহিম আর ফাহমিদা খাতুনের রবীন্দ্রসংগীত, বিকেলবেলা খেলার জন্য উন্মুখ আমাকে রাখালের মতো তাড়িয়ে নিয়ে যেতেন পাবলিক লাইব্রেরিতে। আমি ছিলাম তাঁর বাধ্যতামূলক শ্রোতা আর অনুগত পাঠক। ১৬ বছর বয়সে তাঁর সনেট ছাপা হয়েছে অবজারভার-এ, ১৯ বছর বয়সে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়ার সময় তিনি চাকরি করতেন দি ইলাস্ট্রেটেড উইকলিতে, তারও আগে নটর ডেম কলেজে থাকার সময় ইংরেজি বিতর্ক আর উপস্থিত বক্তৃতায় জিতে নিয়েছেন সেরা সব পুরস্কার!
স্কুলজীবনে একবার একটু খারাপ করেছিলাম। ক্লাস সিক্সের রেজাল্ট নিয়ে বাসায় ফিরে তাঁর চড়-থাপড় খেয়ে জ্বর চলে আসে আমার। তারপর যতবারই ফার্স্ট হই, পুরোপুরি মন ভরে না তাঁর। অঙ্কে কেন ৯০ পেলাম না, বাংলায় কেন ৬৮ পেলাম, ইতিহাসে কেন ভালো হলো না এবার! তাঁর মার খেতে খেতে হাড্ডি শক্ত হয়ে যায় আমার, কিন্তু তাঁর মনটা নরম হয় না। ক্লাস নাইনে ওঠার পর বীতশ্রদ্ধ হয়ে আমার শিক্ষকতা ত্যাগ করেন তিনি। কিন্তু যে ভিতের ওপর দাঁড়ালে একাই চলা যায় অবশিষ্ট পথ, তা ইতিমধ্যেই গড়ে দিয়েছিলেন তিনি।
তিনি শেষ পর্যন্ত ত্যাগ করেন নিজেকেও। অপার সম্ভাবনা ছিল তাঁর। এতই নামডাক ছিল তাঁর ঢাকা মেডিকেল কলেজে, ছাত্রলীগ জোর করে দাঁড় করিয়ে দেয় তাঁকে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে। তাঁর মতো হামবড়া, বদরাগী, নিভৃতচারী মানুষকে নির্বাচন মানায় না। তিনি পরাজিত হন। আরও যা অচিন্তনীয় কয়েক সপ্তাহ পর তৃতীয় বর্ষে মেডিকেলে ফেল করে বসেন। তিনি কোনো দিন এই বিপর্যয় থেকে নিজের সম্ভাবনার যাত্রাপথে আর ফিরতে পারেননি। আমাদের অদ্ভুত পরিবারে সীমাহীন ট্র্যাজেডির শুরুও সেখান থেকে।
সারা জীবন আমার ছা-পোষা বাবা তাঁকে নিয়ে সীমাহীন গর্ব করে বেড়াতেন। এসব গল্প তাঁর ভেতর অবাস্তব এক আত্মমূল্যায়ন তৈরি করেছিল। একটা সময় তিনি সত্যি বিশ্বাস করতে শুরু করেন: আমেরিকায় গিয়ে ফিজিক্স পড়তে হবে তাঁকে, আইনস্টাইনের পর কিছু একটা আবিষ্কারের দায়িত্বটি তাঁরই। মেডিকেলে তিনি ফেরত যাবেন না, ধার-দেনা করে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর পড়াশোনার টাকা জোগাড় করা হয় তাই। তিনি যেদিন যাবেন, সেদিন সকালে তাঁর অনেক শখের ক্যাসেট প্লেয়ার দান করে দেন। আমি সজল কৃতজ্ঞ চোখে তা নেড়েচেড়ে দেখছি। একটু পর তিনি রওনা দেবেন, বাসায় অতিথিরা আসছে বিদায় জানাতে। তখনই কেমন করে যেন জানা গেল ভিসাই আসলে হয়নি তাঁর! এই অকল্পনীয় সত্যকে তিনি স্বীকার করতে পারেননি। কঠিন জীবনের অধিকাংশ বাস্তবতাই তিনি জীবনে কোনো দিনও মেনে নিতে পারেননি।
তাঁর কোনো বন্ধু ছিল না। তিনি যে মেয়েকে ভালোবাসতেন, সে বাসত না; তিনি যে কল্পিত জগতে বিচরণ করতেন, কোথাও তা বিরাজ করত না। ক্রমেই তিনি হয়ে ওঠেন বাইপোলার মানসিক রোগী। শোকে মুহ্যমান হয়ে আমাদের বাবা রাজশাহীতে বদলি নিয়ে পালালেন। আমি পড়ার জানালা দিয়ে তাঁর পাগলামো দেখি, রিকশা থেকে তাঁর হঠাৎ লাফিয়ে পড়ার ভয়ে অস্থির থাকি, মাঝরাতে প্রবল অট্টহাসি শুনে চমকে উঠি। ভালো হয়ে তিনি চাকরি করেন, চাকরি করতে করতে আবার অসুস্থ হন, সুস্থ হয়ে নতুন চাকরি, তারপর আবারও চিকিৎসা। বছরের পর বছর গড়িয়ে যায়, তাঁর সুস্থতার সময় ক্রমেই কমতে থাকে, বাড়তে থাকে অসুস্থতা।
দেড় বছর আগে এক তরুণ ব্যবসায়ী গাড়ি তুলে দেয় তাঁর পায়ের ওপর। বহুদিনের চিকিৎসায়ও সে পা ভালো হয় না পুরোপুরি। এ সময় তাঁর মানসিক অসুস্থতা চরমে ওঠে। তিনি বই পড়া বাদ দেন, রবীন্দ্রসংগীত শোনা ছেড়ে দেন, একসময় এমনকি খাওয়াদাওয়াও। শীর্ণ দেহ, ভেঙে পড়া চোয়াল আর কোটরাগত চোখ নিয়ে তবু তিনি অস্থির হয়ে ঘুরে বেড়াতেন সারা শহর। বুকের ভেতর প্রচণ্ড কষ্ট তিনি সারা জীবন বহন করেছেন, কিন্তু কোনো দিন সেই কষ্ট ঠিকমতো বোঝাতে পারেননি কাউকে। বিশাল প্রতিভার অনলে জ্বলেছেন, গভীর নিঃসঙ্গতায় নিঃস্ব হয়েছেন, প্রবল অতৃপ্তিতে ক্রোধান্ধ হয়েছেন। জীবনের কোনো হিসাব মেলেনি তাঁর।
১৩ মার্চ তিনি ত্যাগ করে চলে গেছেন আমাদের সবাইকে। একসময় তিনি মোটামুটি পরিচিত ছিলেন অনেকের কাছে। চাকরি করেছেন বাংলাদেশ টাইমস, ফিন্যানশিয়াল টাইমস আর বিডিনিউজে। তাঁর গল্প, কবিতা ছাপা হয়েছে ডেইলি স্টারসহ আরও কিছু ইংরেজি দৈনিকে। মৃত্যুর তিন মাস আগে ‘চিলড্রেন অব আব্রাহাম’ নামে শেষ লেখা লিখেছেন তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের ওপর।
আপাদমস্তক সততা, নির্লোভ মানসিকতা আর অতুলনীয় প্রতিভা ছিল তাঁর। কিন্তু তার পরও তিনি এগোতে পারেননি বেশি দূর। রোগ-শোক, দুঃখ-বেদনা আর অসীম হাহাকারে কেটেছে তাঁর জীবন। সেই জীবনের সমাপ্তি ঘটেছে আরও অনুল্লেখ্যভাবে। আমরা কেউ তাঁর প্রতি সুবিচার করতে পারিনি। না তাঁর জীবনকালে, না তাঁর মৃত্যুর সময়।
তাঁর শবযাত্রায় বারবার আকাশের দিকে চোখ চলে যায় আমার। এই মর্ত্যলোকের অনেক ঊর্ধ্বে থাকেন আমাদের ভাগ্যবিধাতা। তাঁর কাছে যাচ্ছেন আমার চিরদুঃখী ভাই। তিনি নিশ্চয়ই একটু শান্তি দেবেন তাঁকে!
আসিফ নজরুল
তিনি ছিলেন আমার আট বছরের বড় ভাই। প্রায় শিশুকালে তাঁর কাছে থেকে বৈজ্ঞানিক ল্যাভয়শিয়ে-ল্যাপলাজ, দার্শনিক ফ্রেডারিক নিটেশ, কবি শেলি-কিটস-বায়রনের নাম মুখস্থ হয়ে যায়। তিনি আমাকে লাস্ট ফর লাইভ থেকে ভ্যান গঘের প্রতি ভাইথিও-র ভালোবাসার গল্প শোনাতেন, স্ট্যালিনের সঙ্গে ট্রটস্কির বিরোধের কারণ ব্যাখা করতেন, কিছুই বুঝি না এমন বয়সে সামনে বসিয়ে শোনাতেন জাহিদুর রহিম আর ফাহমিদা খাতুনের রবীন্দ্রসংগীত, বিকেলবেলা খেলার জন্য উন্মুখ আমাকে রাখালের মতো তাড়িয়ে নিয়ে যেতেন পাবলিক লাইব্রেরিতে। আমি ছিলাম তাঁর বাধ্যতামূলক শ্রোতা আর অনুগত পাঠক। ১৬ বছর বয়সে তাঁর সনেট ছাপা হয়েছে অবজারভার-এ, ১৯ বছর বয়সে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়ার সময় তিনি চাকরি করতেন দি ইলাস্ট্রেটেড উইকলিতে, তারও আগে নটর ডেম কলেজে থাকার সময় ইংরেজি বিতর্ক আর উপস্থিত বক্তৃতায় জিতে নিয়েছেন সেরা সব পুরস্কার!
স্কুলজীবনে একবার একটু খারাপ করেছিলাম। ক্লাস সিক্সের রেজাল্ট নিয়ে বাসায় ফিরে তাঁর চড়-থাপড় খেয়ে জ্বর চলে আসে আমার। তারপর যতবারই ফার্স্ট হই, পুরোপুরি মন ভরে না তাঁর। অঙ্কে কেন ৯০ পেলাম না, বাংলায় কেন ৬৮ পেলাম, ইতিহাসে কেন ভালো হলো না এবার! তাঁর মার খেতে খেতে হাড্ডি শক্ত হয়ে যায় আমার, কিন্তু তাঁর মনটা নরম হয় না। ক্লাস নাইনে ওঠার পর বীতশ্রদ্ধ হয়ে আমার শিক্ষকতা ত্যাগ করেন তিনি। কিন্তু যে ভিতের ওপর দাঁড়ালে একাই চলা যায় অবশিষ্ট পথ, তা ইতিমধ্যেই গড়ে দিয়েছিলেন তিনি।
তিনি শেষ পর্যন্ত ত্যাগ করেন নিজেকেও। অপার সম্ভাবনা ছিল তাঁর। এতই নামডাক ছিল তাঁর ঢাকা মেডিকেল কলেজে, ছাত্রলীগ জোর করে দাঁড় করিয়ে দেয় তাঁকে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে। তাঁর মতো হামবড়া, বদরাগী, নিভৃতচারী মানুষকে নির্বাচন মানায় না। তিনি পরাজিত হন। আরও যা অচিন্তনীয় কয়েক সপ্তাহ পর তৃতীয় বর্ষে মেডিকেলে ফেল করে বসেন। তিনি কোনো দিন এই বিপর্যয় থেকে নিজের সম্ভাবনার যাত্রাপথে আর ফিরতে পারেননি। আমাদের অদ্ভুত পরিবারে সীমাহীন ট্র্যাজেডির শুরুও সেখান থেকে।
সারা জীবন আমার ছা-পোষা বাবা তাঁকে নিয়ে সীমাহীন গর্ব করে বেড়াতেন। এসব গল্প তাঁর ভেতর অবাস্তব এক আত্মমূল্যায়ন তৈরি করেছিল। একটা সময় তিনি সত্যি বিশ্বাস করতে শুরু করেন: আমেরিকায় গিয়ে ফিজিক্স পড়তে হবে তাঁকে, আইনস্টাইনের পর কিছু একটা আবিষ্কারের দায়িত্বটি তাঁরই। মেডিকেলে তিনি ফেরত যাবেন না, ধার-দেনা করে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর পড়াশোনার টাকা জোগাড় করা হয় তাই। তিনি যেদিন যাবেন, সেদিন সকালে তাঁর অনেক শখের ক্যাসেট প্লেয়ার দান করে দেন। আমি সজল কৃতজ্ঞ চোখে তা নেড়েচেড়ে দেখছি। একটু পর তিনি রওনা দেবেন, বাসায় অতিথিরা আসছে বিদায় জানাতে। তখনই কেমন করে যেন জানা গেল ভিসাই আসলে হয়নি তাঁর! এই অকল্পনীয় সত্যকে তিনি স্বীকার করতে পারেননি। কঠিন জীবনের অধিকাংশ বাস্তবতাই তিনি জীবনে কোনো দিনও মেনে নিতে পারেননি।
তাঁর কোনো বন্ধু ছিল না। তিনি যে মেয়েকে ভালোবাসতেন, সে বাসত না; তিনি যে কল্পিত জগতে বিচরণ করতেন, কোথাও তা বিরাজ করত না। ক্রমেই তিনি হয়ে ওঠেন বাইপোলার মানসিক রোগী। শোকে মুহ্যমান হয়ে আমাদের বাবা রাজশাহীতে বদলি নিয়ে পালালেন। আমি পড়ার জানালা দিয়ে তাঁর পাগলামো দেখি, রিকশা থেকে তাঁর হঠাৎ লাফিয়ে পড়ার ভয়ে অস্থির থাকি, মাঝরাতে প্রবল অট্টহাসি শুনে চমকে উঠি। ভালো হয়ে তিনি চাকরি করেন, চাকরি করতে করতে আবার অসুস্থ হন, সুস্থ হয়ে নতুন চাকরি, তারপর আবারও চিকিৎসা। বছরের পর বছর গড়িয়ে যায়, তাঁর সুস্থতার সময় ক্রমেই কমতে থাকে, বাড়তে থাকে অসুস্থতা।
দেড় বছর আগে এক তরুণ ব্যবসায়ী গাড়ি তুলে দেয় তাঁর পায়ের ওপর। বহুদিনের চিকিৎসায়ও সে পা ভালো হয় না পুরোপুরি। এ সময় তাঁর মানসিক অসুস্থতা চরমে ওঠে। তিনি বই পড়া বাদ দেন, রবীন্দ্রসংগীত শোনা ছেড়ে দেন, একসময় এমনকি খাওয়াদাওয়াও। শীর্ণ দেহ, ভেঙে পড়া চোয়াল আর কোটরাগত চোখ নিয়ে তবু তিনি অস্থির হয়ে ঘুরে বেড়াতেন সারা শহর। বুকের ভেতর প্রচণ্ড কষ্ট তিনি সারা জীবন বহন করেছেন, কিন্তু কোনো দিন সেই কষ্ট ঠিকমতো বোঝাতে পারেননি কাউকে। বিশাল প্রতিভার অনলে জ্বলেছেন, গভীর নিঃসঙ্গতায় নিঃস্ব হয়েছেন, প্রবল অতৃপ্তিতে ক্রোধান্ধ হয়েছেন। জীবনের কোনো হিসাব মেলেনি তাঁর।
১৩ মার্চ তিনি ত্যাগ করে চলে গেছেন আমাদের সবাইকে। একসময় তিনি মোটামুটি পরিচিত ছিলেন অনেকের কাছে। চাকরি করেছেন বাংলাদেশ টাইমস, ফিন্যানশিয়াল টাইমস আর বিডিনিউজে। তাঁর গল্প, কবিতা ছাপা হয়েছে ডেইলি স্টারসহ আরও কিছু ইংরেজি দৈনিকে। মৃত্যুর তিন মাস আগে ‘চিলড্রেন অব আব্রাহাম’ নামে শেষ লেখা লিখেছেন তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের ওপর।
আপাদমস্তক সততা, নির্লোভ মানসিকতা আর অতুলনীয় প্রতিভা ছিল তাঁর। কিন্তু তার পরও তিনি এগোতে পারেননি বেশি দূর। রোগ-শোক, দুঃখ-বেদনা আর অসীম হাহাকারে কেটেছে তাঁর জীবন। সেই জীবনের সমাপ্তি ঘটেছে আরও অনুল্লেখ্যভাবে। আমরা কেউ তাঁর প্রতি সুবিচার করতে পারিনি। না তাঁর জীবনকালে, না তাঁর মৃত্যুর সময়।
তাঁর শবযাত্রায় বারবার আকাশের দিকে চোখ চলে যায় আমার। এই মর্ত্যলোকের অনেক ঊর্ধ্বে থাকেন আমাদের ভাগ্যবিধাতা। তাঁর কাছে যাচ্ছেন আমার চিরদুঃখী ভাই। তিনি নিশ্চয়ই একটু শান্তি দেবেন তাঁকে!
আসিফ নজরুল
No comments