আজিজের হত্যাকারীদের বিচার করুন-রুয়েট বন্ধ ঘোষণা
ক্ষমতাসীন দলের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে সহিংসতার কারণে গত তিন বছরে দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনেকবার বন্ধ করে দিতে হয়েছে। সর্বশেষ গত সোমবার রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ছাত্রলীগের কর্মী আবদুল আজিজ খানের মৃত্যুর পর উত্তেজনা দেখা দিলে
বিশ্ববিদ্যালয়টির পাঠদান ও পরীক্ষা-কার্যক্রম বন্ধ করে আবাসিক শিক্ষার্থীদের হল ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মানিকগঞ্জের সদর উপজেলা বাড়াইভিকরা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার সন্তান আবদুল আজিজ রুয়েটে পুরকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিদ্যার্জন শেষে কর্মজীবনে প্রবেশের আশায় ভরা দিনগুলো তাঁর সামনে ছিল। তাঁর মা-বাবাসহ স্বজনদের চোখেও ছিল তাঁকে ঘিরে সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না; আজিজ হঠাৎ করেই ঝরে গেলেন। একটি পরিবার হারাল স্নেহের সন্তানকে; রাষ্ট্র হারাল একজন নাগরিককে, যিনি অচিরেই একজন উচ্চশিক্ষিত প্রকৌশলী হয়ে দেশের কাজে অংশ নিতে পারতেন।
এ এক মর্মান্তিক ট্র্যাজেডি; শুধু আজিজের মা-বাবার জন্য নয়, এ ঘটনার সর্বজনীনতা আছে: যেসব মা-বাবার সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ছেন, তাঁদের প্রত্যেকের জন্যই এটা উদ্বেগজনক একটি ঘটনা।
ছাত্রলীগের বিভিন্ন পক্ষের কোন্দল, আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় মারামারি-খুনোখুনির সমালোচনা করে অনেক কথা বলা ও লেখা হয়েছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীসহ সরকার ও সরকারি দলের অনেক নেতা-নেত্রী এ নিয়ে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তো ছাত্রলীগের উচ্ছৃংখলতায় ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত হয়ে এই ছাত্রসংগঠনের ‘সাংগঠনিক প্রধান’-এর দায়িত্ব ত্যাগ করেছেন। কিন্তু ছাত্রলীগের উচ্ছৃংখল কর্মীদের আচরণের তেমন কোনো উন্নতি ঘটেনি। তাঁরা কথায় কথায় অতি তুচ্ছ ও সামান্য কারণে নিজেদের মধ্যে সহিংসতায় লিপ্ত হয়ে নিজেদের প্রাণহানি ও অঙ্গহানির ঘটনা চালিয়েই যাচ্ছেন। শুধু তা-ই নয়, তাঁদের নিজেদের মধ্যে মারামারির কারণে গোটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে।
রুয়েটে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে পাঠদান ও পরীক্ষা চালু করা হোক। আজিজের হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো একান্ত জরুরি।
মানিকগঞ্জের সদর উপজেলা বাড়াইভিকরা গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার সন্তান আবদুল আজিজ রুয়েটে পুরকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিদ্যার্জন শেষে কর্মজীবনে প্রবেশের আশায় ভরা দিনগুলো তাঁর সামনে ছিল। তাঁর মা-বাবাসহ স্বজনদের চোখেও ছিল তাঁকে ঘিরে সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন। কিন্তু সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না; আজিজ হঠাৎ করেই ঝরে গেলেন। একটি পরিবার হারাল স্নেহের সন্তানকে; রাষ্ট্র হারাল একজন নাগরিককে, যিনি অচিরেই একজন উচ্চশিক্ষিত প্রকৌশলী হয়ে দেশের কাজে অংশ নিতে পারতেন।
এ এক মর্মান্তিক ট্র্যাজেডি; শুধু আজিজের মা-বাবার জন্য নয়, এ ঘটনার সর্বজনীনতা আছে: যেসব মা-বাবার সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ছেন, তাঁদের প্রত্যেকের জন্যই এটা উদ্বেগজনক একটি ঘটনা।
ছাত্রলীগের বিভিন্ন পক্ষের কোন্দল, আধিপত্য প্রতিষ্ঠার চেষ্টায় মারামারি-খুনোখুনির সমালোচনা করে অনেক কথা বলা ও লেখা হয়েছে। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীসহ সরকার ও সরকারি দলের অনেক নেতা-নেত্রী এ নিয়ে কথা বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তো ছাত্রলীগের উচ্ছৃংখলতায় ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত হয়ে এই ছাত্রসংগঠনের ‘সাংগঠনিক প্রধান’-এর দায়িত্ব ত্যাগ করেছেন। কিন্তু ছাত্রলীগের উচ্ছৃংখল কর্মীদের আচরণের তেমন কোনো উন্নতি ঘটেনি। তাঁরা কথায় কথায় অতি তুচ্ছ ও সামান্য কারণে নিজেদের মধ্যে সহিংসতায় লিপ্ত হয়ে নিজেদের প্রাণহানি ও অঙ্গহানির ঘটনা চালিয়েই যাচ্ছেন। শুধু তা-ই নয়, তাঁদের নিজেদের মধ্যে মারামারির কারণে গোটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটে।
রুয়েটে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে পাঠদান ও পরীক্ষা চালু করা হোক। আজিজের হত্যাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো একান্ত জরুরি।
No comments