ভারত-পাকিস্তান পঞ্চ রোমাঞ্চ
ওয়ানডেতে ভারত-পাকিস্তানের অনেক ম্যাচই মনে রাখার মতো। সেসবের মধ্য থেকে নির্বাচিত পাঁচ ম্যাচ ২২ মার্চ, ১৯৮৫, শারজা কম রানের নাটক ১০ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ৬ উইকেট। ইমরান খান ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং করেছিলেন রথম্যান্স কাপের এই ম্যাচেই। ফল মাত্র ১২৫ রানেই অলআউট ভারত।
কিন্তু দিনশেষে জয়ী দলের নাম পাকিস্তান নয়, ভারত। পাকিস্তানকে ৮৭ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৩৮ রানে জয়। এই ম্যাচে ৪টি ক্যাচ ধরে সে সময়ের বিশ্ব রেকর্ড করেছিলেন সুনীল গাভাস্কার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ভারত: ৪২.৪ ওভারে ১২৫ (আজহারউদ্দিন ৪৭; ইমরান ৬/১৪)। পাকিস্তান: ৩২.৫ ওভারে ৮৭ (রমিজ রাজা ২৯; কপিল ৩/১৭)। ফল: ভারত ৩৮ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ইমরান খান।
১৮ এপ্রিল, ১৯৮৬, শারজা
সেই ছক্কা
অস্ট্রেলেশিয়া কাপের ফাইনাল, শেষ বলে দরকার চার রান। চেতন শর্মাকে মিড উইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরেই পাকিস্তানকে ১ উইকেটের অবিস্মরণীয় জয় এনে দিলেন জাভেদ মিয়াদাঁদ। হয়ে গেলেন ক্রিকেট রূপকথার অংশ। আর এই শটেই ভারত যে মানসিক ধাক্কাটা খায়, সেটি কাটিয়ে উঠতে সময় লেগেছিল অনেক দিন। ২৪৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করা পাকিস্তানকে একাই টেনে তুলেছিলেন ১১৬ রান করা বড়েমিয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ভারত: ৫০ ওভারে ২৪৫/৭ (গাভাস্কার ৯২; আকরাম ৩/৪২)। পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ২৪৮/৯ (মিয়াঁদাদ ১১৬*; চেতন শর্মা ৩/৫১)। ফল: পাকিস্তান ১ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: জাভেদ মিয়াঁদাদ।
২৫ অক্টোবর, ১৯৯১, শারজা
আকিবের হ্যাটট্রিক
ওয়ানডে ইতিহাসের সপ্তম হ্যাটট্রিক, সে সময়ের রেকর্ড ৩৭ রানে ৭ উইকেট। ম্যাচ-সেরা আকিব জাভেদ হ্যাটট্রিক করেছিলেন টানা তিনটি এলবিডব্লু করে। তবে সব ছাপিয়ে শেষ পর্যন্ত বড় হয়ে উঠল প্রায় অন্ধকারে ভারতের ব্যাট করাটা। পাকিস্তানের ২৬২ রানের জবাবে ১৯০ রানেই অলআউট হয়ে ভারত হারে ৭২ রানে। অন্ধকারে ব্যাট করতে বাধ্য করা হয়েছে—এই অভিযোগ তুলে পরের দু বছর শারজায় খেলেনি ভারত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ২৬২/৬ (জাহিদ ফজল ৯৮; কপিল ৩/৩৬)। ভারত: ৪৬ ওভারে ১৯০ (মাঞ্জরেকার ৫২; আকিব জাভেদ ৭/৩৭)। ফল: পাকিস্তান ৭২ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আকিব জাভেদ।
১৮ জানুয়ারি, ১৯৯৮, ঢাকা
ভারতের ঢাকা জয়
ইন্ডিপেনডেন্স কাপের তৃতীয় ফাইনালেও অন্ধকারে ব্যাট করতে হয়েছিল ভারতকে। তবে এবার ফ্লাডলাইটের অপর্যাপ্ত আলোতেই রান তাড়ার বিশ্ব রেকর্ড করে জেতে ভারত। সাইদ আনোয়ার ও ইজাজ আহমেদের জোড়া সেঞ্চুরিতে কুয়াশার কারণে ৪৮ ওভারে ছোট হয়ে যাওয়া ম্যাচে পাকিস্তান করেছিল ৩১৪। জবাবে সৌরভ গাঙ্গুলী খেলেন ১২৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। তবে ভারতীয়রা মনে রেখেছে এক বল বাকি থাকতে সাকলাইন মুশতাককে বাউন্ডারি মেরে জয় এনে দেওয়া হূষিকেশ কানিতকারকেও।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: পাকিস্তান: ৪৮ ওভারে ৩১৪/৫ (আনোয়ার ১৪০, ইজাজ ১১৭; হারবিন্দার ৩/৭৪)। ভারত: ৪৭.৫ ওভারে ৩১৬/৭ (সৌরভ ১২৪, রবিন সিং ৮২; সাকলায়েন ৩/৬৬)। ফল: ভারত ৩ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সৌরভ গাঙ্গুলী।
১ মার্চ ২০০৩, সেঞ্চুরিয়ন
টেন্ডুলকারের ইনিংস
প্রায় তিন বছর বিরতির পর আবার ভারত-পাকিস্তান লড়াই। দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে সবচেয়ে আলোচিত ম্যাচ ছিল এটিই। মাঠের ক্রিকেটও উঠেছিল তুঙ্গে। প্রিয় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সাঈদ আনোয়ারের আরেকটি সেঞ্চুরিতে ২৭৩ করেছিল পাকিস্তান। জবাবে টেন্ডুলকারের ব্যাট থেকে এল ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা এক ইনিংস। ৭৫ বলে ৯৮ রান করার পথে শোয়েব আখতারের প্রথম ওভারে কাট করে থার্ডম্যানের ওপর দিয়ে মারা অবিশ্বাস্য এক ছয়ের পরের দুই বলেই বাউন্ডারি। ভারত ৬ উইকেটে জিতে যায় ২৬ বল হাতে রেখেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ২৭৩/৭ (আনোয়ার ১০১; জহির ২/৪৬)। ভারত: ৪৫.৪ ওভারে ২৭৬ (টেন্ডুলকার ৯৮; ওয়াকার ২/৭১)। ফল: ভারত ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শচীন টেন্ডুলকার।
সোলায়মান পলাশ
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ভারত: ৪২.৪ ওভারে ১২৫ (আজহারউদ্দিন ৪৭; ইমরান ৬/১৪)। পাকিস্তান: ৩২.৫ ওভারে ৮৭ (রমিজ রাজা ২৯; কপিল ৩/১৭)। ফল: ভারত ৩৮ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ইমরান খান।
১৮ এপ্রিল, ১৯৮৬, শারজা
সেই ছক্কা
অস্ট্রেলেশিয়া কাপের ফাইনাল, শেষ বলে দরকার চার রান। চেতন শর্মাকে মিড উইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরেই পাকিস্তানকে ১ উইকেটের অবিস্মরণীয় জয় এনে দিলেন জাভেদ মিয়াদাঁদ। হয়ে গেলেন ক্রিকেট রূপকথার অংশ। আর এই শটেই ভারত যে মানসিক ধাক্কাটা খায়, সেটি কাটিয়ে উঠতে সময় লেগেছিল অনেক দিন। ২৪৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করা পাকিস্তানকে একাই টেনে তুলেছিলেন ১১৬ রান করা বড়েমিয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: ভারত: ৫০ ওভারে ২৪৫/৭ (গাভাস্কার ৯২; আকরাম ৩/৪২)। পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ২৪৮/৯ (মিয়াঁদাদ ১১৬*; চেতন শর্মা ৩/৫১)। ফল: পাকিস্তান ১ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: জাভেদ মিয়াঁদাদ।
২৫ অক্টোবর, ১৯৯১, শারজা
আকিবের হ্যাটট্রিক
ওয়ানডে ইতিহাসের সপ্তম হ্যাটট্রিক, সে সময়ের রেকর্ড ৩৭ রানে ৭ উইকেট। ম্যাচ-সেরা আকিব জাভেদ হ্যাটট্রিক করেছিলেন টানা তিনটি এলবিডব্লু করে। তবে সব ছাপিয়ে শেষ পর্যন্ত বড় হয়ে উঠল প্রায় অন্ধকারে ভারতের ব্যাট করাটা। পাকিস্তানের ২৬২ রানের জবাবে ১৯০ রানেই অলআউট হয়ে ভারত হারে ৭২ রানে। অন্ধকারে ব্যাট করতে বাধ্য করা হয়েছে—এই অভিযোগ তুলে পরের দু বছর শারজায় খেলেনি ভারত।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ২৬২/৬ (জাহিদ ফজল ৯৮; কপিল ৩/৩৬)। ভারত: ৪৬ ওভারে ১৯০ (মাঞ্জরেকার ৫২; আকিব জাভেদ ৭/৩৭)। ফল: পাকিস্তান ৭২ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আকিব জাভেদ।
১৮ জানুয়ারি, ১৯৯৮, ঢাকা
ভারতের ঢাকা জয়
ইন্ডিপেনডেন্স কাপের তৃতীয় ফাইনালেও অন্ধকারে ব্যাট করতে হয়েছিল ভারতকে। তবে এবার ফ্লাডলাইটের অপর্যাপ্ত আলোতেই রান তাড়ার বিশ্ব রেকর্ড করে জেতে ভারত। সাইদ আনোয়ার ও ইজাজ আহমেদের জোড়া সেঞ্চুরিতে কুয়াশার কারণে ৪৮ ওভারে ছোট হয়ে যাওয়া ম্যাচে পাকিস্তান করেছিল ৩১৪। জবাবে সৌরভ গাঙ্গুলী খেলেন ১২৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। তবে ভারতীয়রা মনে রেখেছে এক বল বাকি থাকতে সাকলাইন মুশতাককে বাউন্ডারি মেরে জয় এনে দেওয়া হূষিকেশ কানিতকারকেও।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: পাকিস্তান: ৪৮ ওভারে ৩১৪/৫ (আনোয়ার ১৪০, ইজাজ ১১৭; হারবিন্দার ৩/৭৪)। ভারত: ৪৭.৫ ওভারে ৩১৬/৭ (সৌরভ ১২৪, রবিন সিং ৮২; সাকলায়েন ৩/৬৬)। ফল: ভারত ৩ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সৌরভ গাঙ্গুলী।
১ মার্চ ২০০৩, সেঞ্চুরিয়ন
টেন্ডুলকারের ইনিংস
প্রায় তিন বছর বিরতির পর আবার ভারত-পাকিস্তান লড়াই। দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপে সবচেয়ে আলোচিত ম্যাচ ছিল এটিই। মাঠের ক্রিকেটও উঠেছিল তুঙ্গে। প্রিয় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সাঈদ আনোয়ারের আরেকটি সেঞ্চুরিতে ২৭৩ করেছিল পাকিস্তান। জবাবে টেন্ডুলকারের ব্যাট থেকে এল ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা এক ইনিংস। ৭৫ বলে ৯৮ রান করার পথে শোয়েব আখতারের প্রথম ওভারে কাট করে থার্ডম্যানের ওপর দিয়ে মারা অবিশ্বাস্য এক ছয়ের পরের দুই বলেই বাউন্ডারি। ভারত ৬ উইকেটে জিতে যায় ২৬ বল হাতে রেখেই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: পাকিস্তান: ৫০ ওভারে ২৭৩/৭ (আনোয়ার ১০১; জহির ২/৪৬)। ভারত: ৪৫.৪ ওভারে ২৭৬ (টেন্ডুলকার ৯৮; ওয়াকার ২/৭১)। ফল: ভারত ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শচীন টেন্ডুলকার।
সোলায়মান পলাশ
No comments