অতি উৎসাহীদের ব্যাপারে সজাগ থাকুন-চট্টগ্রামে পুলিশের বাড়াবাড়ি
গত রোববার হরতাল পালনের পর বিএনপি সোমবার ও মঙ্গলবার যথাক্রমে সারা দেশে ও ঢাকায় যে বিক্ষোভ কর্মসূচি নেয়, তা ছিল গতানুগতিক। প্রতিবার হরতাল শেষে কর্মীদের মনোবল চাঙা রাখতে বিরোধী দল এ ধরনের কর্মসূচি নিয়ে থাকে। তারা বিভিন্ন স্থানে মিছিল ও সমাবেশ করে।
পুলিশ তথা আইনশৃঙ্খরলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাজ কর্মসূচি পণ্ড করে দেওয়া নয়, কর্মসূচি পালনের নামে যাতে কেউ আইনশৃঙ্খলার অবনতি কিংবা জনজীবনের নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটাতে না পারে, সেটাই তারা দেখবে। সোমবার সারা দেশে বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচি মোটামুটি শান্তিপূর্ণই ছিল। কিন্তু চট্টগ্রামে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে উঠল কেন? কয়েকটি পত্রিকায় সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর ওপর পুলিশের লাঠিপেটার ছবি ছাপা হয়েছে। বিএনপির নেতারা বলেছেন, বিনা উসকানিতে পুলিশ লাঠিপেটা করেছে। পুলিশের দাবি, মিছিল থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ইটপাটকেল ছুড়েছেন। পুলিশের দাবি সত্য হলেও একজন সাবেক মন্ত্রীর ওপর এভাবে পুলিশের চড়াও হওয়া দুঃখজনক। দলীয় নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়লেও তিনিই যে তাতে ইন্ধন জুগিয়েছে, সেই প্রমাণ কি তাদের হাতে আছে? আমরা অতীতেও দেখেছি, পুলিশ বাহিনীর কিছু সদস্যের বাড়াবাড়ির কারণে রাজনৈতিক পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রোববারের হরতালের দিনেও চট্টগ্রামে পিকেটারদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। অন্যান্য স্থানে শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালিত হলেও চট্টগ্রামে এই ঘটনা কেন ঘটল, তা-ও খতিয়ে দেখা দরকার। যেসব পুলিশ সদস্য বাড়াবাড়ি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
আবার রাজনৈতিক নেতৃত্বকেও খেয়াল রাখতে হবে কর্মীরা কর্মসূচি পালনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের অধিকার সবার আছে। কিন্তু জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়, অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ে—এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি থেকে বিরোধী দলকে বিরত থাকতে হবে। আমরা বরাবরই হরতাল-অবরোধের বিরোধী। কিন্তু বিরোধী দলকে যদি মিছিল-সমাবেশের মতো নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া না হয়, তাহলে তারা হরতাল-অবরোধের দিকে যেতে বাধ্য হবে।
বিএনপির আমলেও দেখা গেছে, একশ্রেণীর পুলিশ সদস্য ক্ষমতাসীনদের আস্থা লাভের জন্য বাড়াবাড়ি করতেন বা এখতিয়ারবহির্ভূত কাজে লিপ্ত হতেন। এদের সম্পর্কে সরকারের নীতিনির্ধারকেরা সতর্ক থাকবেন আশা করি। পুলিশের যেসব সদস্য এখন বিরোধী দলের ওপর চড়াও হচ্ছেন, ক্ষমতার পালাবদলের পর তাঁরাই যে হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন, তার নিশ্চয়তা কী?
আবার রাজনৈতিক নেতৃত্বকেও খেয়াল রাখতে হবে কর্মীরা কর্মসূচি পালনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করে। শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের অধিকার সবার আছে। কিন্তু জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়, অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়ে—এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি থেকে বিরোধী দলকে বিরত থাকতে হবে। আমরা বরাবরই হরতাল-অবরোধের বিরোধী। কিন্তু বিরোধী দলকে যদি মিছিল-সমাবেশের মতো নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া না হয়, তাহলে তারা হরতাল-অবরোধের দিকে যেতে বাধ্য হবে।
বিএনপির আমলেও দেখা গেছে, একশ্রেণীর পুলিশ সদস্য ক্ষমতাসীনদের আস্থা লাভের জন্য বাড়াবাড়ি করতেন বা এখতিয়ারবহির্ভূত কাজে লিপ্ত হতেন। এদের সম্পর্কে সরকারের নীতিনির্ধারকেরা সতর্ক থাকবেন আশা করি। পুলিশের যেসব সদস্য এখন বিরোধী দলের ওপর চড়াও হচ্ছেন, ক্ষমতার পালাবদলের পর তাঁরাই যে হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন, তার নিশ্চয়তা কী?
No comments