নিষ্প্রাণ বিদেশি স্টল by হামিদ উল্লাহ
বাণিজ্য মেলায় আগত ব্যক্তিরা বিদেশি স্টলের নাম শুনেই একবার ঢুঁ মারেন। কিন্তু খুব কম লোককেই দেখা যায় জিনিস কিনতে। তা ছাড়া বিদেশি স্টলগুলোর অবস্থান মেলার শেষপ্রান্তে। নানা প্যাভিলিয়ন পার হয়ে এত দূর আসতে আসতে ক্রেতার পকেটের টাকাও ফুরিয়ে যায়।’
কথাগুলো বললেন থাই নাগরিক এডজিমা চুইচং। থাই প্যাভিলিয়নের একটি স্টলের বিক্রেতা তিনি। এর আগে আরও দুইবার মেলা উপলক্ষে এসেছেন চট্টগ্রামে। ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় বিক্রি শেষ করে এসেছেন চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশ নিতে।
এডজিমার থাইল্যান্ডের মতো আরও তিনটি দেশের ব্যবসায়ীরা এসেছেন চট্টগ্রামের মেলায়। দেশগুলো হচ্ছে ভারত, ইরান ও পাকিস্তান। এই তিনটি দেশের জন্য আলাদা প্যাভিলিয়নও রয়েছে। তবে ভারত ও পাকিস্তানের প্যাভিলিয়নে প্রায় একই রকম পণ্য বিক্রি হচ্ছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে থ্রি-পিস, শুকনো খাদ্যদ্রব্য, জুতা-স্যান্ডেল, কার্পেট, শাল, বালিশের কাভার ও প্রসাধনী। এ দুই দেশের প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশের বিক্রয়কর্মী হিসেবে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের বেশির ভাগই বিহারি। ফলে ক্রেতাদের সঙ্গে তাঁরা যেমন বাংলায় কথা বলছেন, তেমনি মালিকদের সঙ্গে কথা বলছেন উর্দু ও হিন্দি ভাষায়।
পাকিস্তানি স্টলের বিক্রয়কর্মী মোহাম্মদ কাশিম জানান, যেভাবে পণ্য দিয়ে পসরা সাজানো হয়েছে সেভাবে ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। ইংরেজিতে পারদর্শী কাশিম আরও বলেন, ‘এই প্যাভিলিয়নের বিভিন্ন স্টলে বিভিন্ন মানের পণ্য আছে। ভেড়া ও উটের চামড়ায় তৈরি জুতাও আছে। আছে কাশ্মীরি সাল। তবে ক্রেতা না থাকায় প্রত্যাশিত বিক্রি নেই। ঢাকায় মেলা শেষ করে এসেছি বলে কোনোমতে চলে যাচ্ছে।’ মেলা ঘুরে দেখা যায়, একেবারে শেষপ্রান্তে সারি করে রয়েছে পাকিস্তান ও থাইল্যান্ডের প্যাভিলিয়ন। পাকিস্তানের প্যাভিলিয়নে আছে ২৫টি স্টল। আর থাই প্যাভিলিয়নে স্টলের সংখ্যা ১২। তবে এবার থাই প্যাভিলিয়নের জৌলুশও বিগত বছরগুলোর চেয়ে অনেক কম। গতবার মেলায় একাধিক স্টলে থাই ফলের সম্ভার ছিল। এবার এসবের কোনো অস্তিত্ব নেই। স্টলগুলোতেও নেই পণ্যের ভিড়। তবে মেলার মাঝামাঝি অবস্থিত ইরানি প্যাভিলিয়নে ক্রেতার ভিড় ছিল কিছুটা বেশি।
দুপুর থেকেই এখানে ক্রেতাদের ভিড় শুরু হয়। পুরো প্যাভিলিয়ন সাজানো হয়েছে ভিন্নভাবে। এখানে শুকনা খাবার, মেলামাইন, কার্পেট, শো-পিস ও সিরামিকস পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে।
ইরানি ব্যবসায়ী সাইয়েদ খুশরাভি বলেন, ‘বাংলাদেশে ১৫ বছর ধরে বিভিন্ন বাণিজ্য মেলায় অংশ নিচ্ছি। আমি সরাসরি শুল্ক পরিশোধ করেই ঢাকা ও চট্টগ্রামের মেলায় অংশ নিই। মূলত বাংলাদেশ থেকে ইরানে পাট আমদানি করি। এসব পাট দিয়ে ইরানে উৎকৃষ্ট কার্পেট তৈরি হয়।’ এসপি-টু নামের প্যাভিলিয়নকেই তিনি আসল ইরানি প্যাভিলিয়ন দাবি করে বলেন, ‘বাংলাদেশে ইরানি পণ্যের ভালো বাজার
আছে। এ জন্য অনেকে এ দেশ থেকেই মসলাপাতি নিয়ে ইরানি স্টলের নাম দিয়ে মেলায় দোকান খুলে বসে।’
এডজিমার থাইল্যান্ডের মতো আরও তিনটি দেশের ব্যবসায়ীরা এসেছেন চট্টগ্রামের মেলায়। দেশগুলো হচ্ছে ভারত, ইরান ও পাকিস্তান। এই তিনটি দেশের জন্য আলাদা প্যাভিলিয়নও রয়েছে। তবে ভারত ও পাকিস্তানের প্যাভিলিয়নে প্রায় একই রকম পণ্য বিক্রি হচ্ছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে থ্রি-পিস, শুকনো খাদ্যদ্রব্য, জুতা-স্যান্ডেল, কার্পেট, শাল, বালিশের কাভার ও প্রসাধনী। এ দুই দেশের প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশের বিক্রয়কর্মী হিসেবে যাঁরা কাজ করছেন তাঁদের বেশির ভাগই বিহারি। ফলে ক্রেতাদের সঙ্গে তাঁরা যেমন বাংলায় কথা বলছেন, তেমনি মালিকদের সঙ্গে কথা বলছেন উর্দু ও হিন্দি ভাষায়।
পাকিস্তানি স্টলের বিক্রয়কর্মী মোহাম্মদ কাশিম জানান, যেভাবে পণ্য দিয়ে পসরা সাজানো হয়েছে সেভাবে ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না। ইংরেজিতে পারদর্শী কাশিম আরও বলেন, ‘এই প্যাভিলিয়নের বিভিন্ন স্টলে বিভিন্ন মানের পণ্য আছে। ভেড়া ও উটের চামড়ায় তৈরি জুতাও আছে। আছে কাশ্মীরি সাল। তবে ক্রেতা না থাকায় প্রত্যাশিত বিক্রি নেই। ঢাকায় মেলা শেষ করে এসেছি বলে কোনোমতে চলে যাচ্ছে।’ মেলা ঘুরে দেখা যায়, একেবারে শেষপ্রান্তে সারি করে রয়েছে পাকিস্তান ও থাইল্যান্ডের প্যাভিলিয়ন। পাকিস্তানের প্যাভিলিয়নে আছে ২৫টি স্টল। আর থাই প্যাভিলিয়নে স্টলের সংখ্যা ১২। তবে এবার থাই প্যাভিলিয়নের জৌলুশও বিগত বছরগুলোর চেয়ে অনেক কম। গতবার মেলায় একাধিক স্টলে থাই ফলের সম্ভার ছিল। এবার এসবের কোনো অস্তিত্ব নেই। স্টলগুলোতেও নেই পণ্যের ভিড়। তবে মেলার মাঝামাঝি অবস্থিত ইরানি প্যাভিলিয়নে ক্রেতার ভিড় ছিল কিছুটা বেশি।
দুপুর থেকেই এখানে ক্রেতাদের ভিড় শুরু হয়। পুরো প্যাভিলিয়ন সাজানো হয়েছে ভিন্নভাবে। এখানে শুকনা খাবার, মেলামাইন, কার্পেট, শো-পিস ও সিরামিকস পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে।
ইরানি ব্যবসায়ী সাইয়েদ খুশরাভি বলেন, ‘বাংলাদেশে ১৫ বছর ধরে বিভিন্ন বাণিজ্য মেলায় অংশ নিচ্ছি। আমি সরাসরি শুল্ক পরিশোধ করেই ঢাকা ও চট্টগ্রামের মেলায় অংশ নিই। মূলত বাংলাদেশ থেকে ইরানে পাট আমদানি করি। এসব পাট দিয়ে ইরানে উৎকৃষ্ট কার্পেট তৈরি হয়।’ এসপি-টু নামের প্যাভিলিয়নকেই তিনি আসল ইরানি প্যাভিলিয়ন দাবি করে বলেন, ‘বাংলাদেশে ইরানি পণ্যের ভালো বাজার
আছে। এ জন্য অনেকে এ দেশ থেকেই মসলাপাতি নিয়ে ইরানি স্টলের নাম দিয়ে মেলায় দোকান খুলে বসে।’
No comments