বন্দরের দূষণ সামাল দেওয়ার সক্ষমতা চাই-কর্ণফুলীতে তেলের আস্তরণ
তেলবোঝাই জাহাজ ডুবে যাওয়া মানেই বড় দূষণের ঝুঁকি। গত রোববার বিশ্ব পরিবেশ দিবসে চট্টগ্রাম বন্দরে তেলবোঝাই একটি জাহাজ ডুবে কর্ণফুলী নদীতে তেল ছড়িয়ে পড়েছে। দূষিত হয়ে পড়েছে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা। একটি বন্দরে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে; কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে,
দুর্ঘটনা ঘটে গেলে তা সামাল দেওয়ার মতো প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ও সক্ষমতা আছে কি না। চট্টগ্রাম বন্দরের ক্ষেত্রে যে সে ঘাটতি রয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই।
বিশ্বের যেকোনো সমুদ্রবন্দরেই তেলের দূষণ থেকে শুরু করে সব ধরনের দূষণ রোধে নানা ব্যবস্থা কার্যকর থাকে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ২০০৮ সালে দূষণ রোধে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। প্রকল্পটি কার্যকর থাকলেও যথাযথ নীতিমালা ও বিধিবিধান না থাকায় এই প্রকল্পের সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। এই প্রকল্পের আওতায় সমুদ্রে যেকোনো ধরনের দূষণ রোধে দুটি জাহাজ কেনা হয়েছে, কিন্তু প্রকল্পটি কার্যত নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। এমন অবস্থায় সমুদ্রের এই তেলের দূষণ রোধে কতটুকু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যাবে, সে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দরে রোববার তেলবাহী জাহাজটি ডুবে যাওয়ার পর তেলের দূষণ রোধে বা তেল যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সে ব্যাপারে বন্দর কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। এতে কর্ণফুলী নদীর সদরঘাট এলাকা থেকে মেরিনঘাট পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় ফার্নেস অয়েলের আস্তরণ ছড়িয়ে পড়েছে। সমুদ্রে এ ধরনের তেল ছড়িয়ে পড়ার কারণে যে দূষণ ঘটে, পরিবেশের ওপর এর প্রভাব ব্যাপক। মাছসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণী ও পাখি এর প্রত্যক্ষ শিকারে পরিণত হয়, হুমকির মুখে পড়ে জীববৈচিত্র্য।
এ ধরনের দুর্ঘটনা ছাড়াও চট্টগ্রাম বন্দরকে কেন্দ্র করে নানাভাবে সমুদ্রদূষণের ঘটনা ঘটে চলেছে। চট্টগ্রাম বন্দরে আসা অনেক জাহাজ মাল খালাসের জন্য দীর্ঘদিন বহির্নোঙরে অবস্থান করে। অভিযোগ আছে, এ সময় অনেক জাহাজ থেকে গ্রহণযোগ্য পরিমাণের বেশি দূষিত বর্জ্য বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় ফেলা হয়। বিশ্বে যেকোনো আধুনিক বন্দরে বিষয়টি তদারকির ব্যবস্থা থাকে এবং কোনো জাহাজ থেকে এ ধরনের কিছু সমুদ্রে ফেলা হলে বড় অঙ্কের অর্থ জরিমানা দিতে হয়। চট্টগ্রাম বন্দরে এ ধরনের কোনো নজরদারির ব্যবস্থা না থাকায় অনেক জাহাজ সমুদ্রে দূষিত পদার্থ ফেলার সুযোগটি কাজে লাগায়।
আমরা মনে করি, চট্টগ্রাম বন্দরে তেলসহ যেকোনো ধরনের দূষণ রোধে নেওয়া প্রকল্পটি অবিলম্বে কার্যকর করার কোনো বিকল্প নেই। একই সঙ্গে বহির্নোঙরে সব জাহাজের তদারকির বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।
বিশ্বের যেকোনো সমুদ্রবন্দরেই তেলের দূষণ থেকে শুরু করে সব ধরনের দূষণ রোধে নানা ব্যবস্থা কার্যকর থাকে। চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ২০০৮ সালে দূষণ রোধে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়। প্রকল্পটি কার্যকর থাকলেও যথাযথ নীতিমালা ও বিধিবিধান না থাকায় এই প্রকল্পের সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। এই প্রকল্পের আওতায় সমুদ্রে যেকোনো ধরনের দূষণ রোধে দুটি জাহাজ কেনা হয়েছে, কিন্তু প্রকল্পটি কার্যত নিষ্ক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। এমন অবস্থায় সমুদ্রের এই তেলের দূষণ রোধে কতটুকু কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া যাবে, সে আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম বন্দরে রোববার তেলবাহী জাহাজটি ডুবে যাওয়ার পর তেলের দূষণ রোধে বা তেল যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সে ব্যাপারে বন্দর কর্তৃপক্ষ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি। পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। এতে কর্ণফুলী নদীর সদরঘাট এলাকা থেকে মেরিনঘাট পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকায় ফার্নেস অয়েলের আস্তরণ ছড়িয়ে পড়েছে। সমুদ্রে এ ধরনের তেল ছড়িয়ে পড়ার কারণে যে দূষণ ঘটে, পরিবেশের ওপর এর প্রভাব ব্যাপক। মাছসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণী ও পাখি এর প্রত্যক্ষ শিকারে পরিণত হয়, হুমকির মুখে পড়ে জীববৈচিত্র্য।
এ ধরনের দুর্ঘটনা ছাড়াও চট্টগ্রাম বন্দরকে কেন্দ্র করে নানাভাবে সমুদ্রদূষণের ঘটনা ঘটে চলেছে। চট্টগ্রাম বন্দরে আসা অনেক জাহাজ মাল খালাসের জন্য দীর্ঘদিন বহির্নোঙরে অবস্থান করে। অভিযোগ আছে, এ সময় অনেক জাহাজ থেকে গ্রহণযোগ্য পরিমাণের বেশি দূষিত বর্জ্য বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় ফেলা হয়। বিশ্বে যেকোনো আধুনিক বন্দরে বিষয়টি তদারকির ব্যবস্থা থাকে এবং কোনো জাহাজ থেকে এ ধরনের কিছু সমুদ্রে ফেলা হলে বড় অঙ্কের অর্থ জরিমানা দিতে হয়। চট্টগ্রাম বন্দরে এ ধরনের কোনো নজরদারির ব্যবস্থা না থাকায় অনেক জাহাজ সমুদ্রে দূষিত পদার্থ ফেলার সুযোগটি কাজে লাগায়।
আমরা মনে করি, চট্টগ্রাম বন্দরে তেলসহ যেকোনো ধরনের দূষণ রোধে নেওয়া প্রকল্পটি অবিলম্বে কার্যকর করার কোনো বিকল্প নেই। একই সঙ্গে বহির্নোঙরে সব জাহাজের তদারকির বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।
No comments