আইনজীবী সমিতিগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ
আইন পেশা হচ্ছে পৃথিবীর সব অভিজাত পেশার অন্যতম। আর এ অভিজাত পেশার মানুষগুলোর নামের আগে ‘বিজ্ঞ’ শব্দটি ব্যবহার করতে হয়। অর্থাৎ ‘বিজ্ঞ আইনজীবী’ বলার মাধ্যমে এ পেশার আভিজাত্যকে ফুটিয়ে তোলা হয় অনিপুণ সৌন্দর্যে। তাই এ পেশার মানুষগুলো হবে সমাজের অনুসরণীয় মডেল।
আমাদের প্রচলিত আইনে বিজ্ঞ আইনজীবীদের জন্য একটি পোশাকও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
আমাদের প্রচলিত সিভিল রুলস অ্যান্ড অর্ডারে (সিআরও) নিম্ন আদালতের বিজ্ঞ আইনজীবীদের জন্য ৩৭(ম) অধ্যায়ের বিধি: ৮২৫ এবং ৮২৬-এ নির্ধারিত পোশাকের কথা বলা হয়েছে। সেখানে সুস্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে, নিম্ন আদালতের বিজ্ঞ আইনজীবীরা কালো কোট এবং গাউনের সঙ্গে ‘কালো রঙের প্লেইন টাই’ পরিধান করবেন এবং হাইকোর্ট রুলস ও অ্যাপিলেট ডিভিশন রুলস-১৯৮৮-এর আদেশ-৪, বিধি: ৩৮-এ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলা হয়েছে, ‘উচ্চ আদালতের (সুপ্রিম কোর্টের) বিজ্ঞ আইনজীবীরা সাদা শার্টের বিশেষ কলারের সঙ্গে “সাদা ব্যান্ড” পরিধান করিবেন।’ সুতরাং এটা একবারেই পরিষ্কার যে নিম্ন আদালতের বিজ্ঞ আইনজীবীরা ‘টাই’ পরিধান করবেন এবং উচ্চ আদালতের তালিকাভুক্ত বিজ্ঞ আইনজীবীরা ‘সাদা ব্যান্ড’ পরিধান করবেন। এখানে ‘টাই’ এবং ‘ব্যান্ড’-কে সুনির্দিষ্টভাবে আলাদা করা হয়েছে, যেখানে কোনো দ্ব্যর্থবোধকতার সুযোগ নেই। এবং সিভিল রুলস অ্যান্ড অর্ডারের বিধি ৮২৬-এ এভাবে শুরু করা হয়েছে: নিম্ন আদালতের বিজ্ঞ আইনজীবীদের সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র পোশাক ‘বাধ্যতামূলকভাবে পরিধান করিতে হইবে’। আইনে ‘Shall’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা বাধ্যবাধকতাকেই নির্দেশ করে।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে আইনের এমন পরিষ্কার বিধান থাকা সত্ত্বেও তা বাস্তবে মানা হচ্ছে না, যা আইনজীবীদের আভিজাত্য ও সুনামের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। অনেকে উচ্চ আদালতের তালিকাভুক্ত না হওয়া সত্ত্বেও ‘সাদা ব্যান্ড’ পরে দিব্যি শুনানি করে বেড়াচ্ছেন। আবার এ-ও দেখা যায় যে অনেকে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সনদ না থাকা সত্ত্বেও কালো কোট, কালো টাই ও কালো গাউন পরে বিভিন্ন কোর্টের সামনে নিয়মিত হাজির হয়ে শুনানি করছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক, দৃষ্টিকটু ও প্রচলিত আইনবিরোধী। তাই এ ক্ষেত্রে আমার নিবেদন, আইনের এ বিধানগুলো বাস্তবায়নের জন্য আইজীবী সমিতিগুলো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে, যেন সাধারণ বিচারপ্রার্থী ব্যক্তিরা বিভ্রান্ত না হন। পাশাপাশি এ পেশার আভিজাত্যেও যেন আঁচড় না লাগে।
জাহিদ আহমেদ
আইনজীবী, ঢাকা জজকোর্ট
আমাদের প্রচলিত সিভিল রুলস অ্যান্ড অর্ডারে (সিআরও) নিম্ন আদালতের বিজ্ঞ আইনজীবীদের জন্য ৩৭(ম) অধ্যায়ের বিধি: ৮২৫ এবং ৮২৬-এ নির্ধারিত পোশাকের কথা বলা হয়েছে। সেখানে সুস্পষ্ট ভাষায় বলা হয়েছে, নিম্ন আদালতের বিজ্ঞ আইনজীবীরা কালো কোট এবং গাউনের সঙ্গে ‘কালো রঙের প্লেইন টাই’ পরিধান করবেন এবং হাইকোর্ট রুলস ও অ্যাপিলেট ডিভিশন রুলস-১৯৮৮-এর আদেশ-৪, বিধি: ৩৮-এ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলা হয়েছে, ‘উচ্চ আদালতের (সুপ্রিম কোর্টের) বিজ্ঞ আইনজীবীরা সাদা শার্টের বিশেষ কলারের সঙ্গে “সাদা ব্যান্ড” পরিধান করিবেন।’ সুতরাং এটা একবারেই পরিষ্কার যে নিম্ন আদালতের বিজ্ঞ আইনজীবীরা ‘টাই’ পরিধান করবেন এবং উচ্চ আদালতের তালিকাভুক্ত বিজ্ঞ আইনজীবীরা ‘সাদা ব্যান্ড’ পরিধান করবেন। এখানে ‘টাই’ এবং ‘ব্যান্ড’-কে সুনির্দিষ্টভাবে আলাদা করা হয়েছে, যেখানে কোনো দ্ব্যর্থবোধকতার সুযোগ নেই। এবং সিভিল রুলস অ্যান্ড অর্ডারের বিধি ৮২৬-এ এভাবে শুরু করা হয়েছে: নিম্ন আদালতের বিজ্ঞ আইনজীবীদের সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র পোশাক ‘বাধ্যতামূলকভাবে পরিধান করিতে হইবে’। আইনে ‘Shall’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে, যা বাধ্যবাধকতাকেই নির্দেশ করে।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে আইনের এমন পরিষ্কার বিধান থাকা সত্ত্বেও তা বাস্তবে মানা হচ্ছে না, যা আইনজীবীদের আভিজাত্য ও সুনামের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। অনেকে উচ্চ আদালতের তালিকাভুক্ত না হওয়া সত্ত্বেও ‘সাদা ব্যান্ড’ পরে দিব্যি শুনানি করে বেড়াচ্ছেন। আবার এ-ও দেখা যায় যে অনেকে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সনদ না থাকা সত্ত্বেও কালো কোট, কালো টাই ও কালো গাউন পরে বিভিন্ন কোর্টের সামনে নিয়মিত হাজির হয়ে শুনানি করছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক, দৃষ্টিকটু ও প্রচলিত আইনবিরোধী। তাই এ ক্ষেত্রে আমার নিবেদন, আইনের এ বিধানগুলো বাস্তবায়নের জন্য আইজীবী সমিতিগুলো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে, যেন সাধারণ বিচারপ্রার্থী ব্যক্তিরা বিভ্রান্ত না হন। পাশাপাশি এ পেশার আভিজাত্যেও যেন আঁচড় না লাগে।
জাহিদ আহমেদ
আইনজীবী, ঢাকা জজকোর্ট
No comments