মক্রেতাদের আগ্রহ দেশি পণ্যে
‘ছয় বান্ধবী মিলে মেলায় এসেছি। চট্টগ্রামে বিনোদনের সুযোগ কম। তাই ছুটির দিনে মেলায় আসা। ঘুরে ঘুরে সব দেখছি, কিনছিও। মানে ও দামে দেশি পণ্যই তুলনামূলক ভালো।’ গত শুক্রবার বিকেলে ২০তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণে কথা হয় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী কাজী মুমতাহানা ফেরেদৌসের সঙ্গে।
তাঁর সঙ্গে ছিলেন সহপাঠী শামিমা সুলতানা, বিবি তানজিনা, ফাহমিদা ইসলাম, শারমিন সুলতানা ও তৃষা চৌধুরী।
এই ছয়জনের মতোই মেলায় কিশোর-তরুণেরা আসে দলবেঁধে। পরিবারের সদস্যদের নিয়েও আসে অনেকে। ভিড়ের কারণে ছুটির দিনগুলোতে মেলা প্রাঙ্গণে ঢুকতেই হাঁপিয়ে ওঠে দর্শনার্থীরা। শেষ সপ্তাহে পুরোদমে চলছে মেলার বিকিকিনি।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত সপ্তাহে দেশি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলিয়নে আসবাবপত্র দেখে গিয়েছিলাম। নতুন অনেক ডিজাইন এসেছে। দাম যাচাই করে এখন কিনব।’ শফিকুলের মতোই মেলায় আসা ক্রেতাদের অনেকেই দেশি স্টল ও প্যাভিলিয়নেই ঢুঁ মারছেন।
সানোয়ারা প্যাভিলিয়নের ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘এবার আমাদের গ্রুপের নতুন সংযোজন ‘সানোয়ারা ফার্নিশার্স।’ যতটা আশা করেছিলাম মেলায় তার চেয়ে বেশি সাড়া পেয়েছি।’
সানোয়ারা ফার্নিশার্সে সোফাসেট বিক্রি হচ্ছে ৬০ হাজার টাকায়। বিক্রয়কর্মীরা জানালেন, বিভিন্ন ধরনের কাঠের তৈরি ওয়ারড্রোবের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এগুলোর দাম ৩৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত। মেলা উপলক্ষে ছাড় দেওয়া হচ্ছে ১৫ শতাংশ।
সাত বছরের মেয়ে মারিয়া মেহজাবিনকে নিয়ে মেলায় এসেছিলেন গৃহিণী রাশেদা আক্তার। এন মোহাম্মদ প্লাস্টিকের প্যাভিলিয়নে একটা ছোট কিডস টেবিলে বসেছিল মেহজাবিন। জিজ্ঞেস করলে মেহজাবিন জানায়, টেবিলটা তার পছন্দ হয়েছে। এই প্যাভিলিয়নের ব্যবস্থাপক এমজি শাকারিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এবার ডব্লিউপিসি (কাঠ ও প্লাস্টিকের সংমিশ্রণ) বোর্ড ও দরজার চাহিদা বেশি। ডাইনিং সেট বিক্রি হচ্ছে ছয় হাজার ২০০ (চার চেয়ার) ও আট হাজার ১০০ টাকায় (ছয় চেয়ার)। নগরে বসবাসকারী বিদেশি ক্রেতাদেরও প্লাস্টিকের তৈরি বিভিন্ন গৃহস্থালি পণ্য কিনতে দেখা গেছে। পাশাপাশি মেলায় তালুকদার গ্রুপ, আরএফএল প্লাস্টিক, নাভানা, ভেগাস ফার্নিচার ও পারটেক্সের প্যাভিলিয়নেও ছিল আগ্রহী ক্রেতাদের ভিড়।
মেলায় ঢুকতেই আবুল খায়ের গ্রুপের ব্যতিক্রমী প্যাভিলিয়নটি সবার নজর কাড়ে। প্যাভিলিয়নের মাঝের অংশে গোল চত্বরে দাঁড়িয়ে ছবিও তুলছেন কেউ কেউ।
এ ছাড়া মেলার দক্ষিণপ্রান্তে ‘খাজানা টেক্সটাইলে’ শুধুই থ্রি-পিসের সমাহার। এখানে সব বয়সী নারীদের আনাগোনা। সাড়ে তিন শ থেকে ১৯ হাজার টাকায় নানা ডিজাইনের থ্রি-পিসের কাপড় মিলছে এ স্টলে।
মেলার কয়েকটি স্টলে দেখা গেছে দেশীয় জামদানির সমাহার। চাকরিজীবী রুনা আফরোজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেলায় এসেছিলাম একটু ঘুরে দেখতে। কিন্তু এখানে ভালো মানের নতুন ডিজাইনের জামদানি শাড়ি দেখছি। তিন হাজার টাকা দামের একটি জামদানি কিনেছি।’
অটবির প্যাভিলিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, মেলা উপলক্ষে থাইল্যান্ড থেকে আনা সেট কার্টেন (পর্দা) বিক্রি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। বিদেশিদের আগ্রহ কাঠের দরজার প্রতি। মেলায় বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্রে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এবারের মেলায় চার কোটি টাকা বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। আশা করি, বিক্রি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
মেলার আয়োজক চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) সচিব ওসমান গণি চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেলা আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য দেশীয় পণ্য সম্পর্কে দেশি-বিদেশি ক্রেতাদের আগ্রহী করে তোলা। এ ক্ষেত্রে আমরা অনেকটাই সফল। বিভিন্ন দেশীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানান, তাঁরা আশানুরূপ বিক্রয় আদেশ পেয়েছেন।’
এই ছয়জনের মতোই মেলায় কিশোর-তরুণেরা আসে দলবেঁধে। পরিবারের সদস্যদের নিয়েও আসে অনেকে। ভিড়ের কারণে ছুটির দিনগুলোতে মেলা প্রাঙ্গণে ঢুকতেই হাঁপিয়ে ওঠে দর্শনার্থীরা। শেষ সপ্তাহে পুরোদমে চলছে মেলার বিকিকিনি।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত সপ্তাহে দেশি কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলিয়নে আসবাবপত্র দেখে গিয়েছিলাম। নতুন অনেক ডিজাইন এসেছে। দাম যাচাই করে এখন কিনব।’ শফিকুলের মতোই মেলায় আসা ক্রেতাদের অনেকেই দেশি স্টল ও প্যাভিলিয়নেই ঢুঁ মারছেন।
সানোয়ারা প্যাভিলিয়নের ব্যবস্থাপক শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘এবার আমাদের গ্রুপের নতুন সংযোজন ‘সানোয়ারা ফার্নিশার্স।’ যতটা আশা করেছিলাম মেলায় তার চেয়ে বেশি সাড়া পেয়েছি।’
সানোয়ারা ফার্নিশার্সে সোফাসেট বিক্রি হচ্ছে ৬০ হাজার টাকায়। বিক্রয়কর্মীরা জানালেন, বিভিন্ন ধরনের কাঠের তৈরি ওয়ারড্রোবের চাহিদা সবচেয়ে বেশি। এগুলোর দাম ৩৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত। মেলা উপলক্ষে ছাড় দেওয়া হচ্ছে ১৫ শতাংশ।
সাত বছরের মেয়ে মারিয়া মেহজাবিনকে নিয়ে মেলায় এসেছিলেন গৃহিণী রাশেদা আক্তার। এন মোহাম্মদ প্লাস্টিকের প্যাভিলিয়নে একটা ছোট কিডস টেবিলে বসেছিল মেহজাবিন। জিজ্ঞেস করলে মেহজাবিন জানায়, টেবিলটা তার পছন্দ হয়েছে। এই প্যাভিলিয়নের ব্যবস্থাপক এমজি শাকারিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘এবার ডব্লিউপিসি (কাঠ ও প্লাস্টিকের সংমিশ্রণ) বোর্ড ও দরজার চাহিদা বেশি। ডাইনিং সেট বিক্রি হচ্ছে ছয় হাজার ২০০ (চার চেয়ার) ও আট হাজার ১০০ টাকায় (ছয় চেয়ার)। নগরে বসবাসকারী বিদেশি ক্রেতাদেরও প্লাস্টিকের তৈরি বিভিন্ন গৃহস্থালি পণ্য কিনতে দেখা গেছে। পাশাপাশি মেলায় তালুকদার গ্রুপ, আরএফএল প্লাস্টিক, নাভানা, ভেগাস ফার্নিচার ও পারটেক্সের প্যাভিলিয়নেও ছিল আগ্রহী ক্রেতাদের ভিড়।
মেলায় ঢুকতেই আবুল খায়ের গ্রুপের ব্যতিক্রমী প্যাভিলিয়নটি সবার নজর কাড়ে। প্যাভিলিয়নের মাঝের অংশে গোল চত্বরে দাঁড়িয়ে ছবিও তুলছেন কেউ কেউ।
এ ছাড়া মেলার দক্ষিণপ্রান্তে ‘খাজানা টেক্সটাইলে’ শুধুই থ্রি-পিসের সমাহার। এখানে সব বয়সী নারীদের আনাগোনা। সাড়ে তিন শ থেকে ১৯ হাজার টাকায় নানা ডিজাইনের থ্রি-পিসের কাপড় মিলছে এ স্টলে।
মেলার কয়েকটি স্টলে দেখা গেছে দেশীয় জামদানির সমাহার। চাকরিজীবী রুনা আফরোজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেলায় এসেছিলাম একটু ঘুরে দেখতে। কিন্তু এখানে ভালো মানের নতুন ডিজাইনের জামদানি শাড়ি দেখছি। তিন হাজার টাকা দামের একটি জামদানি কিনেছি।’
অটবির প্যাভিলিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, মেলা উপলক্ষে থাইল্যান্ড থেকে আনা সেট কার্টেন (পর্দা) বিক্রি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। বিদেশিদের আগ্রহ কাঠের দরজার প্রতি। মেলায় বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্রে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এবারের মেলায় চার কোটি টাকা বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। আশা করি, বিক্রি লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
মেলার আয়োজক চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) সচিব ওসমান গণি চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘মেলা আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য দেশীয় পণ্য সম্পর্কে দেশি-বিদেশি ক্রেতাদের আগ্রহী করে তোলা। এ ক্ষেত্রে আমরা অনেকটাই সফল। বিভিন্ন দেশীয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানান, তাঁরা আশানুরূপ বিক্রয় আদেশ পেয়েছেন।’
No comments