এই দিনে-ছয় দফা: বাঙালির মুক্তিসনদ by তোফায়েল আহমেদ
আজ ঐতিহাসিক ৭ জুন। বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের এক রক্তস্নাত দিন। এই দিনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলার গণমানুষ পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সর্বব্যাপী হরতাল পালন করেছিল। স্বৈরশাসক আইয়ুব খান এ দেশের গণতান্ত্রিক শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করে সংখ্যাগুরু বাঙালিকে শৃঙ্খলিত করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন।
এর বিপরীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬-এর ৫ ফেব্রুয়ারি লাহোরে সম্মিলিত বিরোধী দলগুলোর এক কনভেনশনে স্বাধিকারের দাবি-সংবলিত ঐতিহাসিক ছয় দফা উত্থাপন করেন। ১১ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরে ঢাকা বিমানবন্দরে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন এবং ২০ তারিখ আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডেকে ছয় দফা অনুমোদনের সিদ্ধান্ত নেন। ২০ ফেব্রুয়ারি ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে ছয় দফা দলীয় কর্মসূচি হিসেবে গ্রহণ করা হয়। ছয় দফা প্রচার ও প্রকাশের জন্য বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ছয় সদস্যবিশিষ্ট উপকমিটি গঠন করা হয় এবং তাঁরই নামে পুস্তিকাটি মুদ্রিত হয়। একই বছরের ১৮, ১৯ ও ২০ মার্চ ছিল আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন। কাউন্সিল সভায় পুস্তিকাটি বিলি করা হয়। ছয় দফা কর্মসূচি দলীয় কর্মীদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। ছয় দফা সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু বলতেন, ‘সাঁকো দিলাম, স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতায় উন্নীত হওয়ার জন্য।’ ছয় দফা ছিল স্বাধীনতাসংগ্রামের অঙ্কুর।
বাঙালির মুক্তিসনদ ছয় দফা ঘোষণার পর জনমত সংগঠিত করতে বঙ্গবন্ধু তাঁর সফরসঙ্গীসহ উত্তরাঞ্চলে যান ১৯৬৬-এর ৭ এপ্রিল। ওই দিন পাবনায় বিরাট জনসমাবেশে তিনি বক্তব্য দেন। অতঃপর ৮ তারিখ বগুড়া, ৯ তারিখ রংপুর, ১০ তারিখ দিনাজপুর, ১১ তারিখ রাজশাহী, ১৪ তারিখ ফরিদপুর, ১৫ তারিখ কুষ্টিয়া, ১৬ তারিখ যশোর এবং ১৭ তারিখ খুলনায় বিশাল সব জনসভায় ছয় দফার বিস্তারিত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণসহ বক্তব্য দেন। এভাবে সারা দেশে ৩৫ দিনে ৩২টি জনসভায় তিনি বক্তব্য দেন। বঙ্গবন্ধুর ঝটিকা সফরে ছয় দফার পক্ষে জনমত প্রবল হয়ে ওঠায় বঙ্গবন্ধুসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের ওপর নেমে আসে নির্মম গ্রেপ্তার-নির্যাতন। প্রতিটি জেলায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্যের প্রতিপাদ্য বিষয়বস্তুর ওপর ভিত্তি করে বঙ্গবন্ধুকে প্রতিটি জেলা থেকে জারি করা ওয়ারেন্ট বলে গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া চলতে থাকে। এপ্রিলের ১৭ তারিখ রাত চারটায় খুলনায় এক জনসভায় ভাষণদান শেষে ঢাকা ফেরার পথে রমনা থানার জারি করা ওয়ারেন্টে পাকিস্তান দেশরক্ষা আইনের ৪৭(৫) ধারাবলে পুলিশ বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে। যশোর থেকে তিনি জামিন পান। এরপর রাত নয়টায় সিলেটে গ্রেপ্তার, জামিনের আবেদন, ২৩ তারিখ জামিন লাভ। ২৪ এপ্রিল ময়মনসিংহে গ্রেপ্তার, ২৫ এপ্রিল জামিন। এভাবেই আইয়ুবের দমননীতি চলতে থাকে।
একই বছরের ৮ মে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় ঐতিহাসিক ‘মে দিবস’ স্মরণে শ্রমিক-জনতার এক বিরাট সমাবেশে শ্রমিকেরা বঙ্গবন্ধুকে বিপুল সংবর্ধনা দেন এবং পাটের মালায় ভূষিত করেন। ভাষণদান শেষে রাত একটায় যখন তিনি বাসায় ফেরেন, তখন পাকিস্তান দেশরক্ষা আইনের ৩২(১) ‘ক’ ধারাবলে তাঁকে ও তাঁর ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহকর্মীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ছয় দফা দাবি ঘোষণা করায় বঙ্গবন্ধুকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। চলতে থাকে অব্যাহত গ্রেপ্তার-নির্যাতন। সামরিক সরকারের দমননীতির বিরুদ্ধে ১৩ মে সমগ্র প্রদেশে ‘প্রতিবাদ দিবস’ পালিত হয়। সেদিন জনসভায় ছয় দফার প্রতি মানুষের বিপুল সমর্থন প্রকাশ পায়। কয়েক সহস্র শ্রমিক এদিন স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালন করে। এর পরপরই দলের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদকে গ্রেপ্তার করা হলে সাংগঠনিক সম্পাদক মিজান চৌধুরী অস্থায়ীভাবে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নেতাদের গ্রেপ্তার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে ২০ মে আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে ৭ জুন হরতাল আহ্বান করা হয়।
১৯৬৬-এর এই দিনটির সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলাম। আমি তখন ইকবাল হল (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ছাত্রসংসদের সহসভাপতি। আমাদের হল থেকেই হরতাল সফল করার জন্য সব কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতো। মরহুম মণি ভাই, যিনি ৭ জুন আন্দোলনের মূল নেতা ছিলেন, তিনি তখন থাকতেন আমারই কক্ষে। সিরাজ ভাই, বাকী ভাই, রাজ্জাক ভাইসহ সবাই তখন ইকবাল হলে থাকতেন। বঙ্গবন্ধুসহ আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাই কারাগারে বন্দী। শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বাকি নেতা-কর্মীদের ওপর হুলিয়া ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। মাত্র ১৪ জনকে নিয়ে মণি ভাই বসলেন মেডিকেল কলেজে। আমরা দায়িত্ব ভাগ করে নিলাম। সফল করলাম ঐতিহাসিক ৭ জুনের কর্মসূচি। শেখ ফজলুল হক মণি, সিরাজুল আলম খান, আবদুর রাজ্জাক, আমীর হোসেন আমু, সৈয়দ মাজহারুল হক বাকী, আবদুর রউফ, খালেদ মোহাম্মদ আলী, নূরে আলম সিদ্দিকীসহ অনেকে আমরা হরতাল কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সেদিনের হরতাল কর্মসূচিতে পুলিশ বাহিনী নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে। পুলিশের গুলিতে প্রাণ দেন তেজগাঁওয়ের মনু মিয়া, আবুল হোসেন এবং আদমজীর মজিবুল্লাহ্সহ ১১ জন শ্রমিক। প্রায় ৮০০ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে হরতাল সফল করার দায়িত্বে ছিলেন ছাত্রনেতা খালেদ মোহাম্মদ আলী ও নূরে আলম সিদ্দিকী। তাঁরা সেখানে বক্তব্য দেন।
প্রকৃতপক্ষে ৭ জুন ছিল স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতার আরম্ভস্থল। আমাদের রাজনৈতিক চেতনার ভিত্তিও স্থাপিত হয়েছিল এই দিনটিতে।
আজ ভাবতে কত ভালো লাগে, আমাদের জাতীয় জীবনে শত শহীদের রক্তে লেখা এই দিনটি চেতনায় জাতীয় মুক্তির যে অগ্নিশিখার জন্ম দিয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭০-এর ঐতিহাসিক ৭ জুনে বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে এবং তাঁরই নির্দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দিই। আওয়ামী লীগে যোগদানের পর বঙ্গবন্ধু আমাকে সাধারণ নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে মনোনয়ন দেন এবং মাত্র ২৭ বছর এক মাস ১৫ দিন বয়সে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হই।
৭ জুন আমাদের স্বাধিকার ও স্বাধীনতার চেতনার প্রারম্ভ বিন্দু। এই দিনটিতে ৭ জুনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা কর্তব্য বলে মনে করি।
তোফায়েল আহমেদ: আওয়ামী লীগের নেতা, সাংসদ; সভাপতি, শিল্প মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
বাঙালির মুক্তিসনদ ছয় দফা ঘোষণার পর জনমত সংগঠিত করতে বঙ্গবন্ধু তাঁর সফরসঙ্গীসহ উত্তরাঞ্চলে যান ১৯৬৬-এর ৭ এপ্রিল। ওই দিন পাবনায় বিরাট জনসমাবেশে তিনি বক্তব্য দেন। অতঃপর ৮ তারিখ বগুড়া, ৯ তারিখ রংপুর, ১০ তারিখ দিনাজপুর, ১১ তারিখ রাজশাহী, ১৪ তারিখ ফরিদপুর, ১৫ তারিখ কুষ্টিয়া, ১৬ তারিখ যশোর এবং ১৭ তারিখ খুলনায় বিশাল সব জনসভায় ছয় দফার বিস্তারিত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণসহ বক্তব্য দেন। এভাবে সারা দেশে ৩৫ দিনে ৩২টি জনসভায় তিনি বক্তব্য দেন। বঙ্গবন্ধুর ঝটিকা সফরে ছয় দফার পক্ষে জনমত প্রবল হয়ে ওঠায় বঙ্গবন্ধুসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের ওপর নেমে আসে নির্মম গ্রেপ্তার-নির্যাতন। প্রতিটি জেলায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্যের প্রতিপাদ্য বিষয়বস্তুর ওপর ভিত্তি করে বঙ্গবন্ধুকে প্রতিটি জেলা থেকে জারি করা ওয়ারেন্ট বলে গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া চলতে থাকে। এপ্রিলের ১৭ তারিখ রাত চারটায় খুলনায় এক জনসভায় ভাষণদান শেষে ঢাকা ফেরার পথে রমনা থানার জারি করা ওয়ারেন্টে পাকিস্তান দেশরক্ষা আইনের ৪৭(৫) ধারাবলে পুলিশ বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে। যশোর থেকে তিনি জামিন পান। এরপর রাত নয়টায় সিলেটে গ্রেপ্তার, জামিনের আবেদন, ২৩ তারিখ জামিন লাভ। ২৪ এপ্রিল ময়মনসিংহে গ্রেপ্তার, ২৫ এপ্রিল জামিন। এভাবেই আইয়ুবের দমননীতি চলতে থাকে।
একই বছরের ৮ মে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় ঐতিহাসিক ‘মে দিবস’ স্মরণে শ্রমিক-জনতার এক বিরাট সমাবেশে শ্রমিকেরা বঙ্গবন্ধুকে বিপুল সংবর্ধনা দেন এবং পাটের মালায় ভূষিত করেন। ভাষণদান শেষে রাত একটায় যখন তিনি বাসায় ফেরেন, তখন পাকিস্তান দেশরক্ষা আইনের ৩২(১) ‘ক’ ধারাবলে তাঁকে ও তাঁর ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহকর্মীদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ছয় দফা দাবি ঘোষণা করায় বঙ্গবন্ধুকে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ হিসেবে অভিহিত করা হয়। চলতে থাকে অব্যাহত গ্রেপ্তার-নির্যাতন। সামরিক সরকারের দমননীতির বিরুদ্ধে ১৩ মে সমগ্র প্রদেশে ‘প্রতিবাদ দিবস’ পালিত হয়। সেদিন জনসভায় ছয় দফার প্রতি মানুষের বিপুল সমর্থন প্রকাশ পায়। কয়েক সহস্র শ্রমিক এদিন স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল পালন করে। এর পরপরই দলের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক তাজউদ্দীন আহমদকে গ্রেপ্তার করা হলে সাংগঠনিক সম্পাদক মিজান চৌধুরী অস্থায়ীভাবে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নেতাদের গ্রেপ্তার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে ২০ মে আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে ৭ জুন হরতাল আহ্বান করা হয়।
১৯৬৬-এর এই দিনটির সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলাম। আমি তখন ইকবাল হল (বর্তমান শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ছাত্রসংসদের সহসভাপতি। আমাদের হল থেকেই হরতাল সফল করার জন্য সব কর্মকাণ্ড পরিচালিত হতো। মরহুম মণি ভাই, যিনি ৭ জুন আন্দোলনের মূল নেতা ছিলেন, তিনি তখন থাকতেন আমারই কক্ষে। সিরাজ ভাই, বাকী ভাই, রাজ্জাক ভাইসহ সবাই তখন ইকবাল হলে থাকতেন। বঙ্গবন্ধুসহ আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাই কারাগারে বন্দী। শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বাকি নেতা-কর্মীদের ওপর হুলিয়া ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। মাত্র ১৪ জনকে নিয়ে মণি ভাই বসলেন মেডিকেল কলেজে। আমরা দায়িত্ব ভাগ করে নিলাম। সফল করলাম ঐতিহাসিক ৭ জুনের কর্মসূচি। শেখ ফজলুল হক মণি, সিরাজুল আলম খান, আবদুর রাজ্জাক, আমীর হোসেন আমু, সৈয়দ মাজহারুল হক বাকী, আবদুর রউফ, খালেদ মোহাম্মদ আলী, নূরে আলম সিদ্দিকীসহ অনেকে আমরা হরতাল কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সেদিনের হরতাল কর্মসূচিতে পুলিশ বাহিনী নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে। পুলিশের গুলিতে প্রাণ দেন তেজগাঁওয়ের মনু মিয়া, আবুল হোসেন এবং আদমজীর মজিবুল্লাহ্সহ ১১ জন শ্রমিক। প্রায় ৮০০ কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে হরতাল সফল করার দায়িত্বে ছিলেন ছাত্রনেতা খালেদ মোহাম্মদ আলী ও নূরে আলম সিদ্দিকী। তাঁরা সেখানে বক্তব্য দেন।
প্রকৃতপক্ষে ৭ জুন ছিল স্বাধিকার থেকে স্বাধীনতার আরম্ভস্থল। আমাদের রাজনৈতিক চেতনার ভিত্তিও স্থাপিত হয়েছিল এই দিনটিতে।
আজ ভাবতে কত ভালো লাগে, আমাদের জাতীয় জীবনে শত শহীদের রক্তে লেখা এই দিনটি চেতনায় জাতীয় মুক্তির যে অগ্নিশিখার জন্ম দিয়েছিল, তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৭০-এর ঐতিহাসিক ৭ জুনে বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে এবং তাঁরই নির্দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দিই। আওয়ামী লীগে যোগদানের পর বঙ্গবন্ধু আমাকে সাধারণ নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে মনোনয়ন দেন এবং মাত্র ২৭ বছর এক মাস ১৫ দিন বয়সে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হই।
৭ জুন আমাদের স্বাধিকার ও স্বাধীনতার চেতনার প্রারম্ভ বিন্দু। এই দিনটিতে ৭ জুনের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা কর্তব্য বলে মনে করি।
তোফায়েল আহমেদ: আওয়ামী লীগের নেতা, সাংসদ; সভাপতি, শিল্প মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।
No comments