বন্ধ হোক সহিংসতা ও বাড়াবাড়ি-বাস জ্বালানোর রাজনীতি
দেশ ও জনগণের কল্যাণই যে গণতান্ত্রিক রাজনীতির মূলকথা, আমাদের বিজ্ঞ রাজনৈতিক নেতৃত্ব প্রায়ই তা ভুলে যান। তাঁদের কাছে ক্ষমতায় থাকা ও যাওয়াই প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। মহাজোট সরকারের মেয়াদের অর্ধেক পার হতে না-হতেই আগামী নির্বাচন কীভাবে ও কার অধীনে হবে, তা নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের মুখোমুখি অবস্থান দেশবাসীকে
উদ্বিগ্ন না করে পারে না। ইতিমধ্যে বিরোধী দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল রাখার দাবিতে রোববার হরতাল পালন করেছে। সরকারও হরতাল ঠেকাতে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে। কয়েকটি স্থানে পুলিশ ও বিরোধী নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা হলো, হরতালের আগের দিন রাজধানীতে ১১টি বাস ও একটি ট্যাক্সিক্যাব জ্বালিয়ে দেওয়া। জনগণের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করতেই এ বর্বরোচিত ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমরা এ সহিংস কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই এবং জড়িত ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি। এর আগেও হরতাল সামনে রেখে যানবাহন পোড়ানো হয়েছে। হরতালকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরীহ মানুষকে ধরে হয়রানি করলেও দুর্বৃত্তদের পাকড়াও করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
হরতালের আগে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা যে ভাষায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে নিজ নিজ অবস্থান তুলে ধরেছেন, তাতে সমঝোতার বদলে বৈরিতাই প্রকাশ পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালু রাখার সুযোগ নেই। তবে এ ব্যাপারে বিরোধী দলের কোনো বক্তব্য থাকলে তা সংসদে এসে জানাতে পারে। অন্যদিকে, বিরোধীদলীয় নেতা বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হলে লাগাতার কঠোর আন্দোলন করা হবে। সরকার ও বিরোধী দলের এই মুখোমুখি অবস্থানে আমরা উদ্বিগ্ন। এভাবে দেশ চলতে পারে না। হরতাল, অবরোধ বা রাজপথে সহিংসতা গণতন্ত্রের ভাষা নয়। গণতন্ত্র হলো যুক্তিতর্ক ও আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ। জাতীয় সংসদই তার উপযুক্ত স্থান। রোববার একটি দৈনিকে বিদায়ী প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করা হলেও দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার কথা রয়েছে। এটি রাজনৈতিক বাস্তবতার কারণেই করা হয়েছে। এর আগে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরাও প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সমঝোতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। আমরাও মনে করি, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সমঝোতার বিকল্প নেই।
বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন যেমন কাম্য নয়, তেমনি হরতালের নামে বাস জ্বালিয়ে কিংবা মানুষকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের পথও পরিহার করতে হবে। নির্বাচনসহ যেকোনো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে জাতীয় সংসদেই।
সবচেয়ে দুঃখজনক ঘটনা হলো, হরতালের আগের দিন রাজধানীতে ১১টি বাস ও একটি ট্যাক্সিক্যাব জ্বালিয়ে দেওয়া। জনগণের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করতেই এ বর্বরোচিত ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আমরা এ সহিংস কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাই এবং জড়িত ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি। এর আগেও হরতাল সামনে রেখে যানবাহন পোড়ানো হয়েছে। হরতালকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরীহ মানুষকে ধরে হয়রানি করলেও দুর্বৃত্তদের পাকড়াও করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
হরতালের আগে প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধীদলীয় নেতা যে ভাষায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে নিজ নিজ অবস্থান তুলে ধরেছেন, তাতে সমঝোতার বদলে বৈরিতাই প্রকাশ পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালু রাখার সুযোগ নেই। তবে এ ব্যাপারে বিরোধী দলের কোনো বক্তব্য থাকলে তা সংসদে এসে জানাতে পারে। অন্যদিকে, বিরোধীদলীয় নেতা বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করা হলে লাগাতার কঠোর আন্দোলন করা হবে। সরকার ও বিরোধী দলের এই মুখোমুখি অবস্থানে আমরা উদ্বিগ্ন। এভাবে দেশ চলতে পারে না। হরতাল, অবরোধ বা রাজপথে সহিংসতা গণতন্ত্রের ভাষা নয়। গণতন্ত্র হলো যুক্তিতর্ক ও আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ। জাতীয় সংসদই তার উপযুক্ত স্থান। রোববার একটি দৈনিকে বিদায়ী প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক বলেছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করা হলেও দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে করার কথা রয়েছে। এটি রাজনৈতিক বাস্তবতার কারণেই করা হয়েছে। এর আগে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরাও প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপকালে সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে সমঝোতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। আমরাও মনে করি, অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সমঝোতার বিকল্প নেই।
বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন যেমন কাম্য নয়, তেমনি হরতালের নামে বাস জ্বালিয়ে কিংবা মানুষকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের পথও পরিহার করতে হবে। নির্বাচনসহ যেকোনো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে জাতীয় সংসদেই।
No comments