তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা-সরে আসতে প্রয়োজন পর্যায়ক্রমিক পদক্ষেপ by আলী রীয়াজ
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে এখন যে বিতর্ক চলছে তা থেকে একটা বিষয় খুব স্পষ্ট, তা হলো গত তিন দশকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে কোনো গুণগত পরিবর্তন হয়নি। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রথম আলোচনা শুরু হয় আশির দশকের মাঝামাঝি; জেনারেল এরশাদের নেতৃত্বাধীন স্বৈরাচারী সরকারের হাত থেকে ক্ষমতা
হস্তান্তরের উপায় হিসেবে এই ধারণার উদ্ভব। স্পষ্টতই সরকারের তত্ত্বাবধানে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সম্ভাবনা ছিল না বলেই এর তাগিদ তৈরি হয়। এক দশকের বেশি সময় ধরে অব্যাহত সামরিক শাসন এবং তার আগে একদলীয় শাসনের কারণে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিকভাবে ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে ক্ষমতা হস্তান্তরের কোনো প্রতিষ্ঠান তৈরি না হওয়ায় এর কোনো বিকল্প ছিল না। তার পরের ইতিহাস সবারই জানা। ১৯৯৫-৯৬ সালে এ নিয়ে বিতর্ক ও আন্দোলন এবং ২০০৬ সালে আরেক দফা অস্থিতিশীলতা ও রক্তপাতের পরও এই ব্যবস্থার কোনো বিকল্প তৈরি হয়নি বলেই মনে হচ্ছে। ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে একটি ‘আপৎকালীন’ ব্যবস্থাকে ‘স্থায়ী’ ব্যবস্থায় পরিণত করার ফলে তিনটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব হয়েছে ঠিকই, কিন্তু গণতন্ত্রকে শক্তিশালী ও সংহত করার জন্য দরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরির কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা হয়নি। ফলে তিন দশক আগে যে যুক্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার চালু করার কথা বলা হয়েছিল, এখনো তা-ই বলা হচ্ছে। পরিবর্তন হয়েছে এটুকুই যে, যাঁরা আগে এই ব্যবস্থাকে অত্যাবশ্যকীয় মনে করতেন, তাঁরা একে এখন অপ্রয়োজনীয় বলে বর্ণনা করছেন; অন্যদিকে যাঁরা একে বলতেন উন্মাদনা, এখন তাঁরা এর জন্য প্রাণপাত করতেও দ্বিধান্বিত নন। অবস্থানগত পরিবর্তন বাদ দিলে সহজ কথাটি হলো, শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য সবার কাছে গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়া ও প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়নি।
শুধু তা-ই নয়, দ্বিদলীয় ব্যবস্থার রাজনীতিতে পরস্পরের ওপর আস্থা ও বিশ্বাসের তো প্রশ্নই ওঠে না; এমনকি সাধারণ জনগণের ওপরও দল ও দলীয় নেতাদের কোনো আস্থা নেই।
২.
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাংবিধানিক ব্যবস্থাটি বাতিলের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের যুক্তিটি সহজ: সর্বোচ্চ আদালতের রায় অমান্য করা অসম্ভব। যুক্তিটি অকাট্য হলেও ক্ষমতাসীন দল যে ব্যবস্থাটি বাতিলের পক্ষেই ছিল, তা ২০০৯ সালের আগস্ট মাসে স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। অনেকেরই মনে থাকবে, ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছিলেন যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ‘এক্সপেরিমেন্ট’ ব্যর্থ হয়েছে। ওই বছর সংসদের বাজেট অধিবেশনে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা এই ব্যবস্থা বাতিলের দাবি তুলেছিলেন। ক্ষমতাসীন দল তখন থেকে জাতীয় পর্যায়ে আলাপ-আলোচনার উদ্যোগ নিলে এই নিয়ে সংকট সৃষ্টির মতো পরিস্থিতি হতো না। সে সময় এখনো শেষ হয়ে যায়নি। অন্যপক্ষে বিরোধী দল বিএনপি আদালতের রায়ের আলোকে সাংবিধানিক কী ব্যবস্থা তৈরি করা যায়, তার রূপরেখা না দিয়ে রাজপথের আন্দোলন ও হরতালের পথ বেছে নেওয়াকে কেন শ্রেয় বলে বিবেচনা করছে, তাও স্পষ্ট নয়। বিকল্পটি সংসদে উপস্থিত হয়ে হাজির করাই বাঞ্ছনীয়। বিএনপি একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে, সেটা মন্দের ভালো হতে পারত, যদি তারা সেখানে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিত। দলটির উচিত ছিল স্পষ্ট করে এটা বলা যে এই ব্যবস্থা আর কত দিন ধরে বহাল রাখলে ক্ষমতা হস্তান্তরের গ্রহণযোগ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে বলে তারা মনে করে এবং তার জন্য কী পদক্ষেপ তারা সুপারিশ করবে (বা ক্ষমতায় গেলে বাস্তবায়ন করবে)।
৩.
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় পর্যায়ের কিছু নির্বাচন ও কয়েকটি উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সেগুলো কমবেশি সাফল্যের সঙ্গেই সম্পাদন করেছে। এসব নির্বাচনের কয়েকটিতে ক্ষমতাসীন দল পরাজিতও হয়েছে। এসব উদাহরণ দেখিয়ে অনেকে বলার চেষ্টা করছেন যে নির্বাচন কমিশন এখন স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও সরকারি প্রভাবমুক্ত। ফলে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে দিলেও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে। নির্বাচন কমিশন গত কয়েকটি স্থানীয় নির্বাচন বা উপনির্বাচনের ব্যাপারে শতভাগ সফল—এসব মনে করার কোনো কারণ নেই। তদুপরি মনে রাখা দরকার যে এসব নির্বাচনের ওপর কোনো দলের জাতীয় ক্ষমতায় যাওয়া না-যাওয়া নির্ভর করেনি, ফলে দলগুলো খানিকটা সংযত আচরণ করেছে। যে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নির্বাচনে বিজয়ের সঙ্গে দলের অস্তিত্ব ও মর্যাদার প্রশ্নকে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ফেলা হয়, সেখানে নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপের প্রকৃতি এবং তার মাত্রা হবে ভিন্ন। এখন পর্যন্ত তার জন্য প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত কি না, এ নিয়ে সংশয়ের অবকাশ আছে। জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর ওপর নির্বাচন কমিশনের যতটুকু নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি, আইনগতভাবে এখনো তা করা হয়নি। তা নিশ্চিত না করে কয়েকটি উদাহরণের ওপর নির্ভর করে চটজলদি কোনো উপসংহারে পৌঁছানো বা সিদ্ধান্ত নেওয়া সমীচীন নয়।
৪.
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য কোনো সম্মানজনক ব্যবস্থা নয়, গণতন্ত্রকে সংহত করার জন্যও এই ব্যবস্থা সহায়ক নয়। ফলে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য এ রকম ব্যবস্থা চলতে পারে না। এই ব্যবস্থা থেকে সরে আসার জন্য প্রয়োজন পর্যায়ক্রমিক পদক্ষেপ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, নির্বাচন কমিশনের হাতে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা দেওয়া, তাদের অর্থায়ন নিশ্চিত করা এবং এগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া। নির্বাচন কমিশনের কাছে সরকার কিংবা আদালত জানতে চাইতে পারেন, কমিশনের চাহিদা কী, কী ব্যবস্থা নিলে তারা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারবে। ক্ষমতাসীন দল প্রথমেই প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সেগুলো নিশ্চিত করতে পারেন। এতে ক্ষমতাসীন দল ও সরকার তাদের আন্তরিকতা প্রমাণ করতে পারবে। বিরোধীদের জন্য সেটা যেমন আস্থার জায়গা তৈরি করবে, তেমনি ‘বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা’র পথও বন্ধ হবে।
এই পদক্ষেপ গ্রহণের পর সংবিধানে এক মেয়াদের জন্য একটি ছোট আকারের নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। ওই সরকারের হাতে নির্বাচনের কোনো দায়িত্বই না রাখলে এবং নির্বাচন কমিশন তার প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে স্বল্পতম সময়ে একটি জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করলেই বোঝা যাবে যে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের একটি গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়া এবং প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে। গণতন্ত্রকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার জন্য এটি হবে একটি বিশাল পদক্ষেপ।
ইলিনয়, যুক্তরাষ্ট্র, ২ জুন ২০১১
আলী রীয়াজ: যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক।
শুধু তা-ই নয়, দ্বিদলীয় ব্যবস্থার রাজনীতিতে পরস্পরের ওপর আস্থা ও বিশ্বাসের তো প্রশ্নই ওঠে না; এমনকি সাধারণ জনগণের ওপরও দল ও দলীয় নেতাদের কোনো আস্থা নেই।
২.
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাংবিধানিক ব্যবস্থাটি বাতিলের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের যুক্তিটি সহজ: সর্বোচ্চ আদালতের রায় অমান্য করা অসম্ভব। যুক্তিটি অকাট্য হলেও ক্ষমতাসীন দল যে ব্যবস্থাটি বাতিলের পক্ষেই ছিল, তা ২০০৯ সালের আগস্ট মাসে স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। অনেকেরই মনে থাকবে, ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছিলেন যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ‘এক্সপেরিমেন্ট’ ব্যর্থ হয়েছে। ওই বছর সংসদের বাজেট অধিবেশনে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা এই ব্যবস্থা বাতিলের দাবি তুলেছিলেন। ক্ষমতাসীন দল তখন থেকে জাতীয় পর্যায়ে আলাপ-আলোচনার উদ্যোগ নিলে এই নিয়ে সংকট সৃষ্টির মতো পরিস্থিতি হতো না। সে সময় এখনো শেষ হয়ে যায়নি। অন্যপক্ষে বিরোধী দল বিএনপি আদালতের রায়ের আলোকে সাংবিধানিক কী ব্যবস্থা তৈরি করা যায়, তার রূপরেখা না দিয়ে রাজপথের আন্দোলন ও হরতালের পথ বেছে নেওয়াকে কেন শ্রেয় বলে বিবেচনা করছে, তাও স্পষ্ট নয়। বিকল্পটি সংসদে উপস্থিত হয়ে হাজির করাই বাঞ্ছনীয়। বিএনপি একটি সংবাদ সম্মেলন করেছে, সেটা মন্দের ভালো হতে পারত, যদি তারা সেখানে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দিত। দলটির উচিত ছিল স্পষ্ট করে এটা বলা যে এই ব্যবস্থা আর কত দিন ধরে বহাল রাখলে ক্ষমতা হস্তান্তরের গ্রহণযোগ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে বলে তারা মনে করে এবং তার জন্য কী পদক্ষেপ তারা সুপারিশ করবে (বা ক্ষমতায় গেলে বাস্তবায়ন করবে)।
৩.
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর স্থানীয় পর্যায়ের কিছু নির্বাচন ও কয়েকটি উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সেগুলো কমবেশি সাফল্যের সঙ্গেই সম্পাদন করেছে। এসব নির্বাচনের কয়েকটিতে ক্ষমতাসীন দল পরাজিতও হয়েছে। এসব উদাহরণ দেখিয়ে অনেকে বলার চেষ্টা করছেন যে নির্বাচন কমিশন এখন স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও সরকারি প্রভাবমুক্ত। ফলে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে দিলেও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে। নির্বাচন কমিশন গত কয়েকটি স্থানীয় নির্বাচন বা উপনির্বাচনের ব্যাপারে শতভাগ সফল—এসব মনে করার কোনো কারণ নেই। তদুপরি মনে রাখা দরকার যে এসব নির্বাচনের ওপর কোনো দলের জাতীয় ক্ষমতায় যাওয়া না-যাওয়া নির্ভর করেনি, ফলে দলগুলো খানিকটা সংযত আচরণ করেছে। যে রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নির্বাচনে বিজয়ের সঙ্গে দলের অস্তিত্ব ও মর্যাদার প্রশ্নকে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে ফেলা হয়, সেখানে নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপের প্রকৃতি এবং তার মাত্রা হবে ভিন্ন। এখন পর্যন্ত তার জন্য প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত কি না, এ নিয়ে সংশয়ের অবকাশ আছে। জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর ওপর নির্বাচন কমিশনের যতটুকু নিয়ন্ত্রণ থাকা জরুরি, আইনগতভাবে এখনো তা করা হয়নি। তা নিশ্চিত না করে কয়েকটি উদাহরণের ওপর নির্ভর করে চটজলদি কোনো উপসংহারে পৌঁছানো বা সিদ্ধান্ত নেওয়া সমীচীন নয়।
৪.
নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য কোনো সম্মানজনক ব্যবস্থা নয়, গণতন্ত্রকে সংহত করার জন্যও এই ব্যবস্থা সহায়ক নয়। ফলে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য এ রকম ব্যবস্থা চলতে পারে না। এই ব্যবস্থা থেকে সরে আসার জন্য প্রয়োজন পর্যায়ক্রমিক পদক্ষেপ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, নির্বাচন কমিশনের হাতে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা দেওয়া, তাদের অর্থায়ন নিশ্চিত করা এবং এগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া। নির্বাচন কমিশনের কাছে সরকার কিংবা আদালত জানতে চাইতে পারেন, কমিশনের চাহিদা কী, কী ব্যবস্থা নিলে তারা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারবে। ক্ষমতাসীন দল প্রথমেই প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সেগুলো নিশ্চিত করতে পারেন। এতে ক্ষমতাসীন দল ও সরকার তাদের আন্তরিকতা প্রমাণ করতে পারবে। বিরোধীদের জন্য সেটা যেমন আস্থার জায়গা তৈরি করবে, তেমনি ‘বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা’র পথও বন্ধ হবে।
এই পদক্ষেপ গ্রহণের পর সংবিধানে এক মেয়াদের জন্য একটি ছোট আকারের নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। ওই সরকারের হাতে নির্বাচনের কোনো দায়িত্বই না রাখলে এবং নির্বাচন কমিশন তার প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে স্বল্পতম সময়ে একটি জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করলেই বোঝা যাবে যে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের একটি গ্রহণযোগ্য প্রক্রিয়া এবং প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে। গণতন্ত্রকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার জন্য এটি হবে একটি বিশাল পদক্ষেপ।
ইলিনয়, যুক্তরাষ্ট্র, ২ জুন ২০১১
আলী রীয়াজ: যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের অধ্যাপক।
No comments