টে লি ফো নে না গ রি ক ম ন্ত ব্য-সংঘাত নয়, সংলাপে বসুন
প্রিয় পাঠক, আপনাদের সরাসরি মন্তব্য নিয়ে আমাদের নিয়মিত আয়োজনে এবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রশ্নে বিপরীত অবস্থানে সরকার ও বিরোধী দল: আপনার মন্তব্য কী? প্রশ্নে টেলিফোনের মাধ্যমে মন্তব্য আহ্বান করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে আপনারা উৎসাহব্যঞ্জক সাড়া দিয়েছেন।
মন্তব্যগুলোর কিছু অংশ আজ ছাপা হলো। বাকি অংশ আগামীকাল ছাপা হবে।
আল-আমিন, শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
বিরোধী দলের চিন্তা করা উচিত তাদের অতীত ইতিহাস। তাদের উচিত, হরতাল না দিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা।
আজিজুল হক, চাকরিজীবী, মিরপুর, ঢাকা
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে সক্ষম হয়েছে, এ কথা যেমন অস্বীকার করা যায় না, তেমনি তাদের নিয়ে জনগণের যে তিক্ত অভিজ্ঞতা, তা-ও একেবারে ভোলার নয়। তবে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা তুলে দেওয়ার চরম সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার এটা পরিষ্কার হতে হবে যে, একে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর নাশকতা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সৃষ্ট তিক্ত অভিজ্ঞতাকে ছাড়িয়ে যায় কি না।
এস এম সাইফুল্লাহ খালেদ
সাংবাদিক, কুতুবদিয়া, কক্সবাজার
আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় না পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত দিয়ে দেওয়া ঠিক হয়নি। আদালত আগামী দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় হতে পারে—এমন সম্মতি দিয়েছেন। সুতরাং বিরোধী দলের অবস্থান সঠিক পথে রয়েছে। আমি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করার পরিবর্তে শক্তিশালী করা উচিত বলে মনে করি।
নজরুল ইসলাম, শিক্ষক
হায়দারাবাদ, গাজীপুর
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে বর্তমানে যে প্রশ্ন উঠেছে, তা দেশ, জাতি ও রাজনীতির জন্য জন্য চরম ক্ষতি বয়ে আনবে। এই অবস্থা থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে সরকার ও বিরোধী দলকে সঠিক একটি সিদ্ধান্তে যেতে হবে।
মো. সহিদ উল্লাহ, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার প্রশ্নে বিরোধী দল ও সরকার দুই মেরুতে অবস্থান করছে। অথচ বর্তমান বিরোধী দলের নেত্রী ক্ষমতায় থাকার সময় বলেছিলেন, পাগল আর শিশু ছাড়া নিরপেক্ষ কেউ নেই বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার দাবি হাস্যকর। অবশেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে ২০০৭ সালের সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এই দুটি বৃহৎ দলের নেতা-কর্মীদেরই অত্যাচার-নির্যাতন বেশি ভোগ করতে হয়।
মনজুর মোর্শেদ চৌধুরী
সাবেক ফুটবলার, ঢাকা
আমাদের দেশে হরতাল মানে হচ্ছে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা রাখা না-রাখার ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছেন। এর পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেত্রীকে বলেছেন, কোনো বিকল্প থাকলে সংসদে এসে বলুন। তবু তাঁরা হরতাল ডেকেছেন, এটা ঠিক নয়। তাঁদের উচিত, সংসদে গিয়ে কথা বলা; হরতাল ডেকে মানুষকে বিভ্রান্ত না করা।
সাহাদাত হোসেন, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সরকার ও বিরোধী দল কোনো প্রশ্নেই কোনো দিন একমত হতে পারেনি, তবে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কতটুকু নিরপেক্ষ হবে, সে সন্দেহ থেকেই যায়।
হরিদাস কুমার
আইন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনস্বীকার্য। দুই দলের উচিত পরস্পর সমঝোতায় এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করা। প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ নিয়ে জটিলতা এড়ানো কঠিন। স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।
রকিবুল হাসান, শিক্ষার্থী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
সরকার আদালতের রায়ের একটি অংশের অপব্যবহার করছে। দ্রব্যমূল্য, বিদ্যুৎ, গ্যাস, যানজট প্রভৃতি জনহিতকর বিষয় থেকে দৃষ্টি সরানোর জন্য এবং রাজনৈতিক ফায়দা আদায়ের জন্য এটা করা হচ্ছে।
জয়, শিক্ষার্থী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
আমি মনে করি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা রাখা জরুরি। কারণ, কোনো দলের পাঁচ বছর দেশ শাসনের পর দুর্নীতি কমাতে পারে একমাত্র তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আর সে জন্য নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার দমন করতে পারে দুর্নীতি, যা দেখিয়েছে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তা ছাড়া নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্যও প্রয়োজন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, তা না হলে দলীয় টান থেকে যাবে।
বিপ্লব আহমেদ, ব্যবসায়ী, বনানী, ঢাকা
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সুফল সবাই পেয়েছে। যা জনগণের জন্য সুফল বয়ে আনে, তা কেন বাদ দেওয়া হবে। বরং নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা উচিত।
শাহীন, চাকরিজীবী, বাড্ডা, ঢাকা
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা একটি মীমাংসিত বিষয়। এ ব্যবস্থার কিছু অসংগতি থাকতে পারে, সরকার ও বিরোধী দল আলোচনার মাধ্যমে যা সহজেই দূর করতে পারে। বিরোধী দলের সঙ্গে কোনো ধরনের সমঝোতা ছাড়া এককভাবে এ ব্যবস্থা বাতিল করা কতটা যুক্তিসংগত, সরকারকে তা ভেবে দেখা উচিত এবং মনে রাখতে হবে, এ ব্যবস্থা তাদের আন্দোলনের ফল।
লোকমান ফরাজী, শিক্ষার্থী, গোপীবাগ, ঢাকা
বর্তমানের সরকারি দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার রূপকার। এই সিদ্ধান্ত ছিল রাষ্ট্রের জন্য খুবই ক্ষতিকর। সরকারের উচিত, বিরোধী দলকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা।
মো. সাইমুন হোসেন
শিক্ষার্থী, তেজগাঁও কলেজ
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যেভাবে ছিল, তাতে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংকটে পড়ে গেছে, তা বলা যাবে না। আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আদালতের রায় মানতে হবে এমন কোনো কথা নেই।
মো. এনাম উদ্দিন, চাকরিজীবী, লালবাগ, ঢাকা
বর্তমান প্রেক্ষাপটে নিরপেক্ষ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়া অত্যন্ত জরুরি। আমার মনে হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিরোধী অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ালে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।
সাব্বির আহমেদ, লালমাটিয়া, ঢাকা
সরকার ও বিরোধী দল তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাদ দিয়ে অস্থিতিশীল ইস্যু তৈরি করে জনগণের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রশ্নে মতৈক্য ছাড়া বিকল্প নেই।
মো. হুমায়ুন কবির, ব্যবসায়ী, রামপুরা, ঢাকা
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা মানতে সরকার অবশ্যই বাধ্য। কারণ, এটা জনগণের দাবি।
মশিউর রহমান, ব্যবসায়ী, ফেনী
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রশ্নে সরকার ও বিরোধী দলের একমত হওয়া উচিত, নইলে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হবে। এ জন্য আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে বলব, দেশের স্বার্থে তাদের এটা মেনে নেওয়া উচিত।
আহমদ ইফতেখার, চাকরিজীবী, ঢাকা
একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অবশ্যই থাকা উচিত। যত দিন গণতন্ত্র থাকবে, তত দিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প নেই।
ফারুক আহমেদ, সাংবাদিক, রাজশাহী
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা না রাখাই উচিত। কেননা, আদালত রায় দিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা না রাখার জন্য। এতে সরকারের আসলেই করার কিছু নেই। দেশের জনগণ অবহিত আছে, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জনগণ কী রকম ভোগান্তিতে ছিল! তাই আদালতের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো উচিত।
মো. কামাল হোসেন, শিক্ষক, কুমিল্লা দক্ষিণ
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা আজকের আওয়ামী লীগেরই আন্দোলনের ফসল। বিষয়টি এমন নয় যে ক্ষমতায় থাকলে ‘প্রয়োজন নেই’, আর বিরোধী দলে থাকলে ‘প্রয়োজন আছে’ বলতে হবে। তা ছাড়া দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার মতো কোনো দৃষ্টান্ত দেখাতে পারেনি কোনো সরকার।
মো. সফিকুল ইসলাম, শিক্ষক, সাভার, ঢাকা
বাংলাদেশ যেহেতু একটি গণতান্ত্রিক দেশ, সেই হিসেবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা থাকা অত্যন্ত জরুরি।
আল-আমিন, শিক্ষার্থী, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
বিরোধী দলের চিন্তা করা উচিত তাদের অতীত ইতিহাস। তাদের উচিত, হরতাল না দিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা।
আজিজুল হক, চাকরিজীবী, মিরপুর, ঢাকা
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারগুলো যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে সক্ষম হয়েছে, এ কথা যেমন অস্বীকার করা যায় না, তেমনি তাদের নিয়ে জনগণের যে তিক্ত অভিজ্ঞতা, তা-ও একেবারে ভোলার নয়। তবে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা তুলে দেওয়ার চরম সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার এটা পরিষ্কার হতে হবে যে, একে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলগুলোর নাশকতা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সৃষ্ট তিক্ত অভিজ্ঞতাকে ছাড়িয়ে যায় কি না।
এস এম সাইফুল্লাহ খালেদ
সাংবাদিক, কুতুবদিয়া, কক্সবাজার
আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় না পেয়ে প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত দিয়ে দেওয়া ঠিক হয়নি। আদালত আগামী দুটি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় হতে পারে—এমন সম্মতি দিয়েছেন। সুতরাং বিরোধী দলের অবস্থান সঠিক পথে রয়েছে। আমি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করার পরিবর্তে শক্তিশালী করা উচিত বলে মনে করি।
নজরুল ইসলাম, শিক্ষক
হায়দারাবাদ, গাজীপুর
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে বর্তমানে যে প্রশ্ন উঠেছে, তা দেশ, জাতি ও রাজনীতির জন্য জন্য চরম ক্ষতি বয়ে আনবে। এই অবস্থা থেকে দেশকে রক্ষা করতে হলে সরকার ও বিরোধী দলকে সঠিক একটি সিদ্ধান্তে যেতে হবে।
মো. সহিদ উল্লাহ, ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার প্রশ্নে বিরোধী দল ও সরকার দুই মেরুতে অবস্থান করছে। অথচ বর্তমান বিরোধী দলের নেত্রী ক্ষমতায় থাকার সময় বলেছিলেন, পাগল আর শিশু ছাড়া নিরপেক্ষ কেউ নেই বলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার দাবি হাস্যকর। অবশেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে ২০০৭ সালের সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এই দুটি বৃহৎ দলের নেতা-কর্মীদেরই অত্যাচার-নির্যাতন বেশি ভোগ করতে হয়।
মনজুর মোর্শেদ চৌধুরী
সাবেক ফুটবলার, ঢাকা
আমাদের দেশে হরতাল মানে হচ্ছে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা রাখা না-রাখার ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছেন। এর পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেত্রীকে বলেছেন, কোনো বিকল্প থাকলে সংসদে এসে বলুন। তবু তাঁরা হরতাল ডেকেছেন, এটা ঠিক নয়। তাঁদের উচিত, সংসদে গিয়ে কথা বলা; হরতাল ডেকে মানুষকে বিভ্রান্ত না করা।
সাহাদাত হোসেন, কসবা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সরকার ও বিরোধী দল কোনো প্রশ্নেই কোনো দিন একমত হতে পারেনি, তবে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন কতটুকু নিরপেক্ষ হবে, সে সন্দেহ থেকেই যায়।
হরিদাস কুমার
আইন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনস্বীকার্য। দুই দলের উচিত পরস্পর সমঝোতায় এসে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলুপ্ত করা। প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ নিয়ে জটিলতা এড়ানো কঠিন। স্বাধীন ও শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।
রকিবুল হাসান, শিক্ষার্থী
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
সরকার আদালতের রায়ের একটি অংশের অপব্যবহার করছে। দ্রব্যমূল্য, বিদ্যুৎ, গ্যাস, যানজট প্রভৃতি জনহিতকর বিষয় থেকে দৃষ্টি সরানোর জন্য এবং রাজনৈতিক ফায়দা আদায়ের জন্য এটা করা হচ্ছে।
জয়, শিক্ষার্থী, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
আমি মনে করি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা রাখা জরুরি। কারণ, কোনো দলের পাঁচ বছর দেশ শাসনের পর দুর্নীতি কমাতে পারে একমাত্র তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আর সে জন্য নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার দমন করতে পারে দুর্নীতি, যা দেখিয়েছে বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তা ছাড়া নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্যও প্রয়োজন তত্ত্বাবধায়ক সরকার, তা না হলে দলীয় টান থেকে যাবে।
বিপ্লব আহমেদ, ব্যবসায়ী, বনানী, ঢাকা
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সুফল সবাই পেয়েছে। যা জনগণের জন্য সুফল বয়ে আনে, তা কেন বাদ দেওয়া হবে। বরং নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী করা উচিত।
শাহীন, চাকরিজীবী, বাড্ডা, ঢাকা
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা একটি মীমাংসিত বিষয়। এ ব্যবস্থার কিছু অসংগতি থাকতে পারে, সরকার ও বিরোধী দল আলোচনার মাধ্যমে যা সহজেই দূর করতে পারে। বিরোধী দলের সঙ্গে কোনো ধরনের সমঝোতা ছাড়া এককভাবে এ ব্যবস্থা বাতিল করা কতটা যুক্তিসংগত, সরকারকে তা ভেবে দেখা উচিত এবং মনে রাখতে হবে, এ ব্যবস্থা তাদের আন্দোলনের ফল।
লোকমান ফরাজী, শিক্ষার্থী, গোপীবাগ, ঢাকা
বর্তমানের সরকারি দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার রূপকার। এই সিদ্ধান্ত ছিল রাষ্ট্রের জন্য খুবই ক্ষতিকর। সরকারের উচিত, বিরোধী দলকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা।
মো. সাইমুন হোসেন
শিক্ষার্থী, তেজগাঁও কলেজ
সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যেভাবে ছিল, তাতে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি সংকটে পড়ে গেছে, তা বলা যাবে না। আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে আদালতের রায় মানতে হবে এমন কোনো কথা নেই।
মো. এনাম উদ্দিন, চাকরিজীবী, লালবাগ, ঢাকা
বর্তমান প্রেক্ষাপটে নিরপেক্ষ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়া অত্যন্ত জরুরি। আমার মনে হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিরোধী অবস্থান থেকে সরে দাঁড়ালে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হবে।
সাব্বির আহমেদ, লালমাটিয়া, ঢাকা
সরকার ও বিরোধী দল তাদের গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাদ দিয়ে অস্থিতিশীল ইস্যু তৈরি করে জনগণের ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রশ্নে মতৈক্য ছাড়া বিকল্প নেই।
মো. হুমায়ুন কবির, ব্যবসায়ী, রামপুরা, ঢাকা
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা মানতে সরকার অবশ্যই বাধ্য। কারণ, এটা জনগণের দাবি।
মশিউর রহমান, ব্যবসায়ী, ফেনী
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রশ্নে সরকার ও বিরোধী দলের একমত হওয়া উচিত, নইলে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হবে। এ জন্য আমি একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে বলব, দেশের স্বার্থে তাদের এটা মেনে নেওয়া উচিত।
আহমদ ইফতেখার, চাকরিজীবী, ঢাকা
একটি গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অবশ্যই থাকা উচিত। যত দিন গণতন্ত্র থাকবে, তত দিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প নেই।
ফারুক আহমেদ, সাংবাদিক, রাজশাহী
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা না রাখাই উচিত। কেননা, আদালত রায় দিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা না রাখার জন্য। এতে সরকারের আসলেই করার কিছু নেই। দেশের জনগণ অবহিত আছে, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে জনগণ কী রকম ভোগান্তিতে ছিল! তাই আদালতের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানানো উচিত।
মো. কামাল হোসেন, শিক্ষক, কুমিল্লা দক্ষিণ
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা আজকের আওয়ামী লীগেরই আন্দোলনের ফসল। বিষয়টি এমন নয় যে ক্ষমতায় থাকলে ‘প্রয়োজন নেই’, আর বিরোধী দলে থাকলে ‘প্রয়োজন আছে’ বলতে হবে। তা ছাড়া দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার মতো কোনো দৃষ্টান্ত দেখাতে পারেনি কোনো সরকার।
মো. সফিকুল ইসলাম, শিক্ষক, সাভার, ঢাকা
বাংলাদেশ যেহেতু একটি গণতান্ত্রিক দেশ, সেই হিসেবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা থাকা অত্যন্ত জরুরি।
No comments