সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড-আজ মহাসমাবেশ সাংবাদিকদের-তদন্তে হতাশ স্বজনরা
এক মাস সাত দিন পেরিয়ে গেলেও সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এমনকি তদন্তেও নেই অগ্রগতির কোনো খবর। দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী এ হত্যাকাণ্ড এখনো রহস্যাবৃতই রয়ে গেছে। বরং সময়ের সঙ্গে তদন্তপ্রক্রিয়ার ধরন এবং প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের বক্তব্যে সৃষ্টি হয়েছে ধূম্রজাল।
দীর্ঘদিনেও খুনিদের শনাক্ত করতে না পারায় ক্ষোভ এবং সংশয় প্রকাশ করছেন সাগর-রুনির স্বজন ও সহকর্মীরা। এমন পরিস্থিতিতে আজ রবিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাংবাদিকদের মহাসমাবেশ। সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে জাতীয় পর্যায়ের সাংবাদিক সংগঠনগুলো। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, আজকের মহাসমাবেশ থেকে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। সাংবাদিক নেতারা এই মহাসমাবেশে অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসা থেকে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
অগ্রগতি নেই তদন্তে : মামলার তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাগর-রুনি হত্যা মামলায় গতকাল শনিবার পর্যন্ত উল্লেখ করার মতো কোনো অগ্রগতি নেই। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বক্তব্য দিতে রাজি না হলেও বলছেন, এ ব্যাপারে তাঁদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আগে 'দ্রুততম সময়ের মধ্যে' আসামি গ্রেপ্তার করার কথা বলা হলেও এখন এমন কোনো শব্দ ব্যবহার করছেন না তাঁরা।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'গুরুত্ব দিয়েই মামলার তদন্ত চলছে। অগ্রগতিও আছে।' তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু প্রকাশ করা যাবে না বলে জানান তিনি।
এদিকে এক মাস সাত দিনের ব্যবধানেও সাগর-রুনির ঘাতক শনাক্ত করতে না পারায় হতাশ স্বজনরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন। মামলার বাদী ও রুনির ছোট ভাই নওশের আলম রোমান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা একই কথা শুনে আসছি, চেষ্টা চলছে। এত দিনেও কোনো তথ্য জানাতে পারেনি পুলিশ। কী হচ্ছে, আমরা কিছু বুঝতে পারছি না।' স্বজনরা জানান, দুই সপ্তাহ আগে উদ্ধার করা কিছু স্বর্ণালংকার শনাক্ত করতে রুনির স্বজনদের দেখায় গোয়েন্দা পুলিশ। তবে ওই অলংকার রুনির নয় বলে জানান তাঁরা। এর পর থেকে তদন্তকাজের কোনো প্রক্রিয়া চোখে পড়েনি বলে স্বজনরা জানান।
সাগরের মা সালেহা মনির বলেন, 'আমরা কি ন্যায়বিচার পাব না? যত দিন যাচ্ছে, ততই মনে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে। প্রশাসন যদি আন্তরিক হয়, তাহলে এত দিন সময় লাগবে কেন?'
সাংবাদিক নেতাদের আহ্বান : সাগর-রুনির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার, সব সাংবাদিক হত্যার বিচার, সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ এবং স্বাধীন গণমাধ্যমের দাবিতে আজ সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাংবাদিকদের মহাসমাবেশ। এ মহাসমাবেশে রাজধানীসহ সারা দেশের সাংবাদিক সংগঠন এবং সাংবাদিকদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও আরেক অংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, একাংশের মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া ও অন্য অংশের মহাসচিব শওকত মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিউজে) একাংশের সভাপতি আবদুস শহিদ, আরেক অংশের সভাপতি ওমর ফারুক এবং একাংশের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বাকের হোসাইন অন্য অংশের সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু। গত ১ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে গণ-অনশন কর্মসূচিতে ২ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে সমাবেশ এবং ১৮ মার্চ ঢাকায় মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএফইউজের একাংশের সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী।
উল্লেখ্য, গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাসা থেকে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
অগ্রগতি নেই তদন্তে : মামলার তদন্ত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাগর-রুনি হত্যা মামলায় গতকাল শনিবার পর্যন্ত উল্লেখ করার মতো কোনো অগ্রগতি নেই। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বক্তব্য দিতে রাজি না হলেও বলছেন, এ ব্যাপারে তাঁদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আগে 'দ্রুততম সময়ের মধ্যে' আসামি গ্রেপ্তার করার কথা বলা হলেও এখন এমন কোনো শব্দ ব্যবহার করছেন না তাঁরা।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, 'গুরুত্ব দিয়েই মামলার তদন্ত চলছে। অগ্রগতিও আছে।' তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু প্রকাশ করা যাবে না বলে জানান তিনি।
এদিকে এক মাস সাত দিনের ব্যবধানেও সাগর-রুনির ঘাতক শনাক্ত করতে না পারায় হতাশ স্বজনরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন। মামলার বাদী ও রুনির ছোট ভাই নওশের আলম রোমান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'আমরা একই কথা শুনে আসছি, চেষ্টা চলছে। এত দিনেও কোনো তথ্য জানাতে পারেনি পুলিশ। কী হচ্ছে, আমরা কিছু বুঝতে পারছি না।' স্বজনরা জানান, দুই সপ্তাহ আগে উদ্ধার করা কিছু স্বর্ণালংকার শনাক্ত করতে রুনির স্বজনদের দেখায় গোয়েন্দা পুলিশ। তবে ওই অলংকার রুনির নয় বলে জানান তাঁরা। এর পর থেকে তদন্তকাজের কোনো প্রক্রিয়া চোখে পড়েনি বলে স্বজনরা জানান।
সাগরের মা সালেহা মনির বলেন, 'আমরা কি ন্যায়বিচার পাব না? যত দিন যাচ্ছে, ততই মনে প্রশ্ন দেখা দিচ্ছে। প্রশাসন যদি আন্তরিক হয়, তাহলে এত দিন সময় লাগবে কেন?'
সাংবাদিক নেতাদের আহ্বান : সাগর-রুনির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার, সব সাংবাদিক হত্যার বিচার, সাংবাদিক নির্যাতন বন্ধ এবং স্বাধীন গণমাধ্যমের দাবিতে আজ সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাংবাদিকদের মহাসমাবেশ। এ মহাসমাবেশে রাজধানীসহ সারা দেশের সাংবাদিক সংগঠন এবং সাংবাদিকদের অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও আরেক অংশের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, একাংশের মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া ও অন্য অংশের মহাসচিব শওকত মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিউজে) একাংশের সভাপতি আবদুস শহিদ, আরেক অংশের সভাপতি ওমর ফারুক এবং একাংশের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বাকের হোসাইন অন্য অংশের সাধারণ সম্পাদক শাবান মাহমুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমেদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু। গত ১ মার্চ জাতীয় প্রেসক্লাবে গণ-অনশন কর্মসূচিতে ২ থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে সমাবেশ এবং ১৮ মার্চ ঢাকায় মহাসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএফইউজের একাংশের সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী।
No comments