ভারতে রপ্তানি বাড়ছে-আরো বৃদ্ধির উদ্যোগ চাই
ভারতে আমাদের পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছিল। বাংলাদেশের তরফে এ ব্যাপারে কিছু দূরদর্শী উদ্যোগও নেওয়া হয়েছিল, যার সুফল মিলতে শুরু করেছে। গত ১০ মার্চ কালের কণ্ঠে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি বছরে এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার ছাড়াতে চলেছে।
প্রতিবেশী বৃহৎ রাষ্ট্র ভারতে আমাদের পণ্য রপ্তানিতে এই প্রথমবারের মতো এমন উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে বলে ভারতের শীর্ষস্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। আমাদের অর্থনীতির জন্য এটি অত্যন্ত সুসংবাদ এবং দুই দেশের মধ্যে যে বাণিজ্য-বৈষম্য রয়েছে, তা হ্রাসে উল্লেখযোগ্য ঘটনা বলা যায়।
১০০ কোটির ওপরে জনসংখ্যা অধ্যুষিত ভারতে আমাদের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের ইতিবাচক দিক অনেক। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিব শঙ্কর মেনন ৯ মার্চ নয়াদিলি্লতে বাংলাদেশের আমদানি বৃদ্ধির আভাস দেন। কিছু পণ্যে শুল্ক ছাড় ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারের অনুমতি মেলায় ভারতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সুযোগ বেড়েছে। তবে বাংলাদেশের তরফে এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে যে রপ্তানি তালিকায় আরো নতুন নতুন পণ্য সংযোজন করতে হবে এবং এ ব্যাপারে ভারতের আগ্রহ বৃদ্ধিকল্পে যথাযথ কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। ভারতের বিশাল বাজারে আমাদের কোনো কোনো পণ্যের চাহিদা ব্যাপক। অভিযোগ আছে, চোরা কিংবা অবৈধ পথে বাংলাদেশের এসব পণ্য ভারতে যায় এবং সেখান থেকেও এভাবেই কিছু পণ্য আসে। ফলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বৈধ প্রক্রিয়ায় যদি চাহিদামাফিক পণ্য রপ্তানি করা যায়, তাহলে তা হবে জাতীয় অর্থনীতির জন্য কল্যাণকর। উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের পর বাংলাদেশের চাহিদা থেকে তামাক ও মদজাতীয় ২৫টি পণ্য বাদে প্রায় সব পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার দেয় ভারত।
রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের নীতিনির্ধারকদের দূরদর্শী ভাবনার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। বর্তমানে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা তীব্র। সবাই নিজ নিজ দেশের পণ্য রপ্তানিতে নতুন নতুন কৌশল কিংবা পথের সন্ধান করছে। আমাদেরও সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। একই সঙ্গে পণ্যের গুণগত মান রক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। অতীতে আমাদের কিছু রপ্তানি পণ্য বাজার হারিয়েছে মান সঠিক রাখতে না পারার কারণে। ভারতে যে আমাদের রপ্তানি বাড়ার সুসংবাদটি মিলেছে, এ ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি রপ্তানি আরো বৃদ্ধিকল্পে পরিকল্পিত জোরদার উদ্যোগ চাই। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে এর কোনো বিকল্প নেই।
১০০ কোটির ওপরে জনসংখ্যা অধ্যুষিত ভারতে আমাদের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের ইতিবাচক দিক অনেক। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিব শঙ্কর মেনন ৯ মার্চ নয়াদিলি্লতে বাংলাদেশের আমদানি বৃদ্ধির আভাস দেন। কিছু পণ্যে শুল্ক ছাড় ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকারের অনুমতি মেলায় ভারতে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সুযোগ বেড়েছে। তবে বাংলাদেশের তরফে এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে যে রপ্তানি তালিকায় আরো নতুন নতুন পণ্য সংযোজন করতে হবে এবং এ ব্যাপারে ভারতের আগ্রহ বৃদ্ধিকল্পে যথাযথ কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। ভারতের বিশাল বাজারে আমাদের কোনো কোনো পণ্যের চাহিদা ব্যাপক। অভিযোগ আছে, চোরা কিংবা অবৈধ পথে বাংলাদেশের এসব পণ্য ভারতে যায় এবং সেখান থেকেও এভাবেই কিছু পণ্য আসে। ফলে দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বৈধ প্রক্রিয়ায় যদি চাহিদামাফিক পণ্য রপ্তানি করা যায়, তাহলে তা হবে জাতীয় অর্থনীতির জন্য কল্যাণকর। উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরের পর বাংলাদেশের চাহিদা থেকে তামাক ও মদজাতীয় ২৫টি পণ্য বাদে প্রায় সব পণ্যের শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার দেয় ভারত।
রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের নীতিনির্ধারকদের দূরদর্শী ভাবনার প্রতিফলন ঘটাতে হবে। বর্তমানে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা তীব্র। সবাই নিজ নিজ দেশের পণ্য রপ্তানিতে নতুন নতুন কৌশল কিংবা পথের সন্ধান করছে। আমাদেরও সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। একই সঙ্গে পণ্যের গুণগত মান রক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। অতীতে আমাদের কিছু রপ্তানি পণ্য বাজার হারিয়েছে মান সঠিক রাখতে না পারার কারণে। ভারতে যে আমাদের রপ্তানি বাড়ার সুসংবাদটি মিলেছে, এ ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি রপ্তানি আরো বৃদ্ধিকল্পে পরিকল্পিত জোরদার উদ্যোগ চাই। প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাজারে এর কোনো বিকল্প নেই।
No comments