অভিযুক্ত কোম্পানি ও দায়ী কর্মকর্তাদের শাস্তি হোক-এবার দখলের গ্রাসে মেঘনা
বাংলাদেশে এমন নদী নেই, যাতে দখলের থাবা পড়েনি। দেশের অন্যতম বৃহৎ নদী মেঘনায়ও সেই থাবা পড়েছে। মেরিটিমাস নামের একটি প্রতিষ্ঠান মুন্সিগঞ্জে মেঘনার ভেতরে বাঁশের খুঁটি গেড়ে, বালুর বস্তা ফেলে নদী দখলের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যাচ্ছে, কারণ প্রশাসন চোখ থাকতেও অন্ধ, হাত থাকতেও নিষ্ক্রিয়।
তালি যেমন এক হাতে বাজে না, তেমনি এই দখলও প্রশাসনের যোগসাজশ ছাড়া সম্ভব হতে পারত না। মেরিটিমাস ও তাদের সহযোগীদের এই অপকর্ম কোনোভাবে ছাড় পেতে পারে না।
মেরিটিমাস কোম্পানি মেঘনার তীর ও বুক ভরাট করে জাহাজ নির্মাণ কারখানা বানানোর তোড়জোড় চালাচ্ছে। কারখানা নির্মাণ ভালো কথা, কিন্তু তার জন্য বৈধভাবে জমির বন্দোবস্ত কি করা যেত না? তারা শুধু নদীই দখল করছে না, নদীতীরের খাসজমিতেও বালু ভরাট চালিয়ে যাচ্ছে। সেই বালু আবার তোলা হচ্ছে নদী থেকেই। নদী তাদের নয়, বালু তাদের নয়, জমি তাদের নয়; তার পরও কীভাবে এই অপকর্ম তারা চালিয়ে যেতে পারছে? নদী দখল পকেটমারের মতো গোপনে হয় না, তা ঘটে দিনের পর দিন ধরে বহু আয়োজন করে। অথচ স্থানীয় ভূমি দপ্তর, জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগসহ রাজনৈতিক নেতৃত্বের কেউ যেন এ বিষয়ে কিছু জানেন না। এই ‘না জানা’ সন্দেহজনক, এই উদাসীনতা নদী দখলের মতো মারাত্মক অপরাধের ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়। সুতরাং কেবল মেরিটিমাসের অপরাধই নয়, প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরও শাস্তি হওয়া দরকার।
অদৃষ্টপূর্ব দখলের কার্যকলাপ দেশজুড়েই চলছে। বন-নদী-পাহাড় এমনকি সমুদ্রসৈকতও দখলের গ্রাসে দিনকে দিন সংকুচিত হচ্ছে। ছোট পুঁজির ছোট ক্ষমতাবানেরা করেন ছোট দখল, আর বড় পুঁজির আবাসন ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তারা করেন বড় দখল। খাল-বিল, মাঠ-ময়দান ছাপিয়ে এখন তাঁরা নজর দিচ্ছেন নদী-বন-পাহাড় ও সমুদ্রসৈকতের দিকে। অথচ প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য ও নিসর্গ রক্ষায় সরকারি নীতিমালা ও আইন রয়েছে, রয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও লোকবল, অথচ কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। দেশের স্বার্থে, প্রকৃতির স্বার্থে তাই হাত দিতে হবে গোড়ায়। প্রশাসনকে তার দায়িত্ব পালনে বাধ্য করতেই হবে।
শিল্পায়ন ও নতুন আবাসনের স্বার্থে কিছু জমি বিসর্জন দিতে হবে সত্য; কিন্তু সেটা যেন কোনোভাবেই নদী-বন-পাহাড় ও কৃষিজমি না হয়। তা নিশ্চিত করতে হলে, সরকারিভাবে পরিকল্পনা করে উপযুক্ত এলাকা নির্বাচন করে দিতে হবে। এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো, জাতীয় নদী কমিশন গঠন করে নদীর প্রবাহ ও খাতের সুরক্ষা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কঠোর নজরদারি জরুরি। কিন্তু সরষেতে যেখানে ভূতের বসবাস, সেখানে সরকারের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ এবং জনগণ ও গণমাধ্যমের সোচ্চার হওয়ার কোনো বিকল্প আর দেখা যাচ্ছে না।
মেরিটিমাস কোম্পানি মেঘনার তীর ও বুক ভরাট করে জাহাজ নির্মাণ কারখানা বানানোর তোড়জোড় চালাচ্ছে। কারখানা নির্মাণ ভালো কথা, কিন্তু তার জন্য বৈধভাবে জমির বন্দোবস্ত কি করা যেত না? তারা শুধু নদীই দখল করছে না, নদীতীরের খাসজমিতেও বালু ভরাট চালিয়ে যাচ্ছে। সেই বালু আবার তোলা হচ্ছে নদী থেকেই। নদী তাদের নয়, বালু তাদের নয়, জমি তাদের নয়; তার পরও কীভাবে এই অপকর্ম তারা চালিয়ে যেতে পারছে? নদী দখল পকেটমারের মতো গোপনে হয় না, তা ঘটে দিনের পর দিন ধরে বহু আয়োজন করে। অথচ স্থানীয় ভূমি দপ্তর, জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগসহ রাজনৈতিক নেতৃত্বের কেউ যেন এ বিষয়ে কিছু জানেন না। এই ‘না জানা’ সন্দেহজনক, এই উদাসীনতা নদী দখলের মতো মারাত্মক অপরাধের ক্ষেত্র তৈরি করে দেয়। সুতরাং কেবল মেরিটিমাসের অপরাধই নয়, প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরও শাস্তি হওয়া দরকার।
অদৃষ্টপূর্ব দখলের কার্যকলাপ দেশজুড়েই চলছে। বন-নদী-পাহাড় এমনকি সমুদ্রসৈকতও দখলের গ্রাসে দিনকে দিন সংকুচিত হচ্ছে। ছোট পুঁজির ছোট ক্ষমতাবানেরা করেন ছোট দখল, আর বড় পুঁজির আবাসন ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তারা করেন বড় দখল। খাল-বিল, মাঠ-ময়দান ছাপিয়ে এখন তাঁরা নজর দিচ্ছেন নদী-বন-পাহাড় ও সমুদ্রসৈকতের দিকে। অথচ প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য ও নিসর্গ রক্ষায় সরকারি নীতিমালা ও আইন রয়েছে, রয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও লোকবল, অথচ কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। দেশের স্বার্থে, প্রকৃতির স্বার্থে তাই হাত দিতে হবে গোড়ায়। প্রশাসনকে তার দায়িত্ব পালনে বাধ্য করতেই হবে।
শিল্পায়ন ও নতুন আবাসনের স্বার্থে কিছু জমি বিসর্জন দিতে হবে সত্য; কিন্তু সেটা যেন কোনোভাবেই নদী-বন-পাহাড় ও কৃষিজমি না হয়। তা নিশ্চিত করতে হলে, সরকারিভাবে পরিকল্পনা করে উপযুক্ত এলাকা নির্বাচন করে দিতে হবে। এ বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানো, জাতীয় নদী কমিশন গঠন করে নদীর প্রবাহ ও খাতের সুরক্ষা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কঠোর নজরদারি জরুরি। কিন্তু সরষেতে যেখানে ভূতের বসবাস, সেখানে সরকারের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ এবং জনগণ ও গণমাধ্যমের সোচ্চার হওয়ার কোনো বিকল্প আর দেখা যাচ্ছে না।
No comments