ঝুঁকিতে কালুরঘাট সেতু-মেরামতে মূল বাধা যানজট by প্রণব বল
ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে কালুরঘাট সেতু। জানুয়ারি মাসে এই সেতুতে দোহাজারীর একটি ট্রেন লাইনচ্যুতও হয়েছে। এ অবস্থায় সেতুটি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে নগরের বহদ্দারহাটের সংযোগ সড়কের বেহাল অবস্থা এবং উড়ালসেতু নির্মাণের কারণে মেরামতকাজ বিলম্বিত হচ্ছে। কালুরঘাট সেতু মেরামতের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হলে বহদ্দারহাটে যানজট আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
নির্মাণাধীন উড়ালসেতু ছাড়াও বহদ্দারহাট-তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুর সংযোগ সড়কটি বর্তমানে বেহাল অবস্থায় রয়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ওই সড়কে যান চলাচলও বেড়ে গেছে। ফলে বহদ্দারহাট ও টার্মিনাল এলাকায় যানজট এখন নিত্যদিনের ঘটনা। এ অবস্থায় কালুরঘাট সেতু তিন মাসের জন্য বন্ধ হয়ে গেলে সব গাড়ি বহদ্দারহাট হয়ে তৃতীয় কর্ণফুলী সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করবে। তখন যানজট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে পুলিশ ও সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
এদিকে কালুরঘাট সেতুটি মেরামত করা না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন রেলওয়ের প্রকৌশলীরা। এই সেতুতে প্রতিদিন চট্টগ্রাম দোহাজারী যাত্রাপথে দুটি ট্রেন চলাচল করে। হাটহাজারী বিদ্যুৎকেন্দ্রের তেলবাহী মালগাড়িও ওই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করে। আর রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার, বান্দরবান ও দক্ষিণ চট্টগ্রামগামী সব ধরনের গাড়ি ওই সেতু দিয়ে পার হয়।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) ডি এন মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘খালি চোখে বোঝা যাবে না; কিন্তু কালুরঘাট সেতুটি সত্যিই নাজুক হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেতুর কোথাও উঁচু আবার কোথাও নিচু হয়ে গেছে, যে কারণে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা তিন মাসের জন্য বন্ধ করে মেরামতের কাজ চালাতে চেয়েছিলাম। সিডিএ ও পুলিশ প্রশাসন এতে যানজট বাড়বে বলে জানিয়েছে। তাঁরা আমাদের মেরামতের কাজ পেছাতে বলেছেন।’
প্রকৌশলী মজুমদার আরও বলেন, ‘কালুরঘাট সেতুটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে তেলবাহী গাড়ি পারাপারের জন্য। কারণ, যদি দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে আগুন ধরে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে।’
জানা গেছে, সেতু মেরামত করার ইচ্ছা প্রকাশ করে গত জানুয়ারির মাঝামাঝিতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সিডিএ ও পুলিশকে জানায়। পরে সিডিএর চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বিষয়টি নিয়ে নগর পুলিশ, সিটি করপোরেশন, রেলওয়ে, সড়ক ও জনপথের সঙ্গে কথা বলেন। সিডিএ ও পুলিশ প্রশাসন রেলওয়েকে এখনই সেতু মেরামত না করে তিন মাস পিছিয়ে দেওয়ার জন্য বলেছে।
তবে এর মধ্যে রেলওয়ে ওই সেতু মেরামতের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রের মাধ্যমে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। কাজের মূল্য ৬০ লাখ টাকা।
এ প্রসঙ্গে সিডিএর চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, ‘সেতু মেরামত করতে হবে। কিন্তু এই সেতু এখনই বন্ধ হলে বহদ্দারহাট ও তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু এলাকায় সাংঘাতিক যানজট হবে। ট্রাফিক ব্যবস্থা ভঙ্গুর হয়ে পড়বে। তারা ছয় মাস আগে সেতু মেরামতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু আমাদের জানায়নি। তাই মেরামতের কাজ তিন মাস পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেছি।’
উপপুলিশ কমিশনার (সদর) আমেনা বেগম বলেন, মেরামতের জন্য সেতুটি বন্ধ করে দিলে নগরে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হবে।
প্রসঙ্গত, বহদ্দারহাট-কালুরঘাট ও বহদ্দারহাট-তৃতীয় সেতু সড়ক দুটির কিছু অংশ সিডিএর, কিছু অংশ সিটি করপোরেশনের আবার কিছু অংশ সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে। তিন মাসের মধ্যে এসব সড়ক মেরামত করে স্বাভাবিক যান চলাচলের উপযোগী না হওয়া পর্যন্ত সেতুর মেরামতের কাজ শুরু না করার পক্ষে মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বহদ্দারহাট-তৃতীয় সেতু সড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এর কিছু অংশ সিডিএর আওতায়ও পড়েছে। সড়কটি এখন নানা খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। ওই সড়ক দিয়ে এখন কিছু ট্রাক ও বাস ছাড়া অন্য কোনো ছোট যানবাহন চলতে পারে না। আবার বহদ্দারহাট মোড়ে ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ চলার কারণে তৃতীয় সেতুমুখী যানবাহন টার্মিনালের ভেতরে ছোট একটি বাইপাস দিয়ে চলাচল করে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া বলেন, ‘বহদ্দারহাট-তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু সড়কটি এখন চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। শেষ হতে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে। এখন কিছু অংশ বেশি খারাপ রয়েছে। একটি সেতু বন্ধ হলে এই সড়কের ওপর চাপ পড়বে। তবে পুরোনো সেতু মেরামতও করতে হবে।’ সেতু বন্ধ করে দেওয়া হলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ফেরি চালু করতেও সময় লাগবে।
এদিকে কালুরঘাট সেতুটি মেরামত করা না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন রেলওয়ের প্রকৌশলীরা। এই সেতুতে প্রতিদিন চট্টগ্রাম দোহাজারী যাত্রাপথে দুটি ট্রেন চলাচল করে। হাটহাজারী বিদ্যুৎকেন্দ্রের তেলবাহী মালগাড়িও ওই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করে। আর রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার, বান্দরবান ও দক্ষিণ চট্টগ্রামগামী সব ধরনের গাড়ি ওই সেতু দিয়ে পার হয়।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সেতু) ডি এন মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘খালি চোখে বোঝা যাবে না; কিন্তু কালুরঘাট সেতুটি সত্যিই নাজুক হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সেতুর কোথাও উঁচু আবার কোথাও নিচু হয়ে গেছে, যে কারণে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে আমরা তিন মাসের জন্য বন্ধ করে মেরামতের কাজ চালাতে চেয়েছিলাম। সিডিএ ও পুলিশ প্রশাসন এতে যানজট বাড়বে বলে জানিয়েছে। তাঁরা আমাদের মেরামতের কাজ পেছাতে বলেছেন।’
প্রকৌশলী মজুমদার আরও বলেন, ‘কালুরঘাট সেতুটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হচ্ছে তেলবাহী গাড়ি পারাপারের জন্য। কারণ, যদি দুর্ঘটনা ঘটে, তাহলে আগুন ধরে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে।’
জানা গেছে, সেতু মেরামত করার ইচ্ছা প্রকাশ করে গত জানুয়ারির মাঝামাঝিতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ সিডিএ ও পুলিশকে জানায়। পরে সিডিএর চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বিষয়টি নিয়ে নগর পুলিশ, সিটি করপোরেশন, রেলওয়ে, সড়ক ও জনপথের সঙ্গে কথা বলেন। সিডিএ ও পুলিশ প্রশাসন রেলওয়েকে এখনই সেতু মেরামত না করে তিন মাস পিছিয়ে দেওয়ার জন্য বলেছে।
তবে এর মধ্যে রেলওয়ে ওই সেতু মেরামতের জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রের মাধ্যমে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। কাজের মূল্য ৬০ লাখ টাকা।
এ প্রসঙ্গে সিডিএর চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, ‘সেতু মেরামত করতে হবে। কিন্তু এই সেতু এখনই বন্ধ হলে বহদ্দারহাট ও তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু এলাকায় সাংঘাতিক যানজট হবে। ট্রাফিক ব্যবস্থা ভঙ্গুর হয়ে পড়বে। তারা ছয় মাস আগে সেতু মেরামতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু আমাদের জানায়নি। তাই মেরামতের কাজ তিন মাস পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করেছি।’
উপপুলিশ কমিশনার (সদর) আমেনা বেগম বলেন, মেরামতের জন্য সেতুটি বন্ধ করে দিলে নগরে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হবে।
প্রসঙ্গত, বহদ্দারহাট-কালুরঘাট ও বহদ্দারহাট-তৃতীয় সেতু সড়ক দুটির কিছু অংশ সিডিএর, কিছু অংশ সিটি করপোরেশনের আবার কিছু অংশ সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীনে। তিন মাসের মধ্যে এসব সড়ক মেরামত করে স্বাভাবিক যান চলাচলের উপযোগী না হওয়া পর্যন্ত সেতুর মেরামতের কাজ শুরু না করার পক্ষে মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বহদ্দারহাট-তৃতীয় সেতু সড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ করছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এর কিছু অংশ সিডিএর আওতায়ও পড়েছে। সড়কটি এখন নানা খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। ওই সড়ক দিয়ে এখন কিছু ট্রাক ও বাস ছাড়া অন্য কোনো ছোট যানবাহন চলতে পারে না। আবার বহদ্দারহাট মোড়ে ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ চলার কারণে তৃতীয় সেতুমুখী যানবাহন টার্মিনালের ভেতরে ছোট একটি বাইপাস দিয়ে চলাচল করে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া বলেন, ‘বহদ্দারহাট-তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু সড়কটি এখন চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। শেষ হতে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে। এখন কিছু অংশ বেশি খারাপ রয়েছে। একটি সেতু বন্ধ হলে এই সড়কের ওপর চাপ পড়বে। তবে পুরোনো সেতু মেরামতও করতে হবে।’ সেতু বন্ধ করে দেওয়া হলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে ফেরি চালু করতেও সময় লাগবে।
No comments