সাভারে পোশাকশ্রমিকদের সংঘর্ষ, আহত ১০
রাজধানীর অদূরে সাভারের রাজাসন সড়কের সুরমা গার্মেন্টস লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের কারণে কর্তৃপক্ষ গতকালের জন্য কারখানাটি ছুটি ঘোষণা করেছে। ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটি নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা থেকে গতকাল সোমবার দুই দল শ্রমিকের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয় বলে জানা গেছে।
সাভার থানার পুলিশ, শ্রমিক এবং কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কারখানার চতুর্থ তলার শ্রমিকেরা ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রোববার কারখানা বন্ধ রাখার দাবি জানান। গত শনিবার তাঁরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেখা করে এ দাবি জানালে কর্তৃপক্ষ অপারগতা প্রকাশ করে। এর পরও অন্তত অর্ধশতাধিক শ্রমিক গত রোববার ঈদে মিলাদুন্নবীর দিন কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকেন।
গতকাল সোমবার তাঁরা যথাসময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত হলে কর্তৃপক্ষ তাঁদের কারখানার ভেতরে ঢুকতে বাধা দেয়। এর প্রতিবাদে ভেতরে ঢুকতে না পারা শ্রমিকেরা কারখানার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। তাঁদের আন্দোলনের মুখে কর্তৃপক্ষ ওই সব শ্রমিককে ভেতরে ঢুকে কাজ করার অনুমতি দেয়।
সকাল ১০টার দিকে শ্রমিকেরা ভেতরে গিয়ে নিজ নিজ আসনে বসার পরপরই পঞ্চম তলার কিছু শ্রমিক চতুর্থ তলায় গিয়ে ওই শ্রমিকদের ওপর হামলা চালান। এ সময় উভয় তলার শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে হামলা ও পাল্টা হামলা চলার পর পঞ্চম তলার শ্রমিকেরা তাঁদের তলায় চলে যান। এরপর চতুর্থ তলার শ্রমিকেরা হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে কর্তৃপক্ষ দুপুর ১২টার দিকে গতকালের জন্য কারখানাটি ছুটি ঘোষণা করে। কিন্তু এর পরেও শ্রমিকদের অধিকাংশই ভেতরে অবস্থান নিয়ে থাকেন। পরে কর্তৃপক্ষ গতকালের ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসসহ কোনো শ্রমিককে ছাঁটাই না করার আশ্বাস দিলে শ্রমিকেরা দুপুর আড়াইটার দিকে কারখানা থেকে বের হয়ে বাড়ি চলে যান।
কারখানার সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মো. আকিল আহম্মেদ বলেন, নিয়ম অনুযায়ী তাঁদের কারখানায় বছরে বিভিন্ন দিবসে ১৩ দিন ছুটি ভোগ করার সুযোগ রয়েছে। ঈদে মিলাদুন্নবীর দিনে তাঁদের কারখানা বন্ধ রাখা হয় না। কিন্তু শ্রমিকেরা ওই দিন ছুটি দাবি করায় শ্রমিকদের সঙ্গে কর্তৃপক্ষের কিছুটা ভুল-বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। এ ভুল-বোঝাবুঝি থেকেই দুটি তলার শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। কিন্তু পরে বিষয়টি সমঝোতা হয়ে গেছে।
No comments