ধর্মনিরপেক্ষ ভারত যা করেনি, বাংলাদেশ তা করেছে: তসলিমা
নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিনের নতুন বই প্রায় ১৮ বছর পর গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে প্রকাশিত হয়েছে। এর মাত্র এক দিন আগে মৌলবাদী গোষ্ঠীর হুমকির কারণে ৩৬তম কলকাতা বইমেলায় তাঁর আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ ‘নির্বাসন’-এর সপ্তম খণ্ডের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান বাতিল করে মেলা আয়োজক কর্তৃপক্ষ। নির্বাসিত এই লেখক এসব বিষয় নিয়ে টিএনএনের সঙ্গে কথা বলেছেন।
প্রশ্ন: আবারও আপনার বই বিতর্ক তৈরি করছে... তসলিমা: হ্যাঁ, আমার আত্মজীবনী নির্বাসনের সপ্তম খণ্ডের প্রকাশনা অনুষ্ঠান কলকাতায় বাতিল হয়েছে। কিন্তু এ ঘটনার পরের দিনই মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে তা সফলভাবে প্রকাশিত হয়েছে। আমি খুবই আনন্দিত। ঢাকার বাংলা একাডেমীর চত্বরে লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ আমার বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন। ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক ভারতের যা করা উচিত ছিল, বাংলাদেশ তা করেছে।
প্রশ্ন: তাহলে আপনি কি এখন বাংলাদেশে ফিরে আসার কথা ভাবছেন ?
তসলিমা: না। দেশটিতে আমার বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান বা প্রকাশের ব্যাপারে তাঁরা (মৌলবাদীরা) ভ্রুক্ষেপ করে না। এটা কেবল একটা অনুষ্ঠান। তারা এখনই আমাকে বাংলাদেশে আসতে দেবে না। এটা কোনো উন্নতির লক্ষণ নয়। বাংলাদেশি মৌলবাদীরা আমার ব্যাপারে এখনো নমনীয় নয়। তারা এটাও জানে, সরকার আমার প্রতি রূঢ়। আমি অনুমান করি, মৌলবাদীরাও আশা করে না, সরকার আমাকে দেশে ফিরিয়ে আনুক। শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়া বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমার দেশে আসা অনুমোদন করবে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ বেশ কিছু ব্যাপারে শেখ হাসিনা বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়েছেন। কিন্তু আমার ব্যাপারে তিনি কিছুই করেননি। মৌলবাদীরা আমাকে ‘ইসলামবিরোধী’ বলে চিহ্নিত করেছে। একজন ইসলামবিরোধীকে দেশে আসতে দেওয়ার ব্যাপারে সরকার সম্ভবত ভীত। বাংলাদেশ আমাকে ১৮ বছর ধরে দেশের বাইরে রেখেছে। আর পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা তো সাম্প্রতিক। একজন লেখকের জন্য এটা চরম অবিচার। কিন্তু আমি স্বপ্ন দেখি কোনো একদিন কলকাতায় ফিরতে পারব।
প্রশ্ন: আপনার বইগুলো কি এখনো বাংলাদেশে প্রকাশিত হচ্ছে?
তসলিমা: ২০১১ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের আগামী প্রকাশনীর প্রকাশক ওসমান গনি আমার সঙ্গে দেখা করেন। বইয়ের সব স্বত্ব দিয়ে আমি তাঁর সঙ্গে একটি চুক্তি করেছি। তিনি ঢাকায় নির্বাসন প্রকাশের এই ঝুঁকি নিয়েছেন। বাংলাদেশ ছেড়ে আসার পর আমার বইয়ের প্রকাশকরা লেখক সম্মানী হিসেবে আমাকে একটি টাকাও দেননি। বাংলাদেশে আমার বই প্রিন্ট ও বিক্রি হচ্ছে। বইয়ের কভারে আমার নাম ও ছবি যুক্ত করে সেখানে অনেকের বাজে লেখা বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু আমার প্রকাশকরা এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বা আমার বইয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদও করেনি।
প্রশ্ন: নির্বাসিত জীবনে কী করে সময় কাটছে?
তসলিমা: লেখালেখি, পড়া এবং আমার পোষা বিড়াল মিনুর সঙ্গে খেলা করে অধিকাংশ সময় পার করি। যখন ভারতে ছিলাম, তখন সেখানকার বন্ধুরা আমার সঙ্গে দেখা করতে আসত। আমি তাঁদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম। সেই সব আড্ডা ভীষণ মিস করি।
প্রশ্ন: তাহলে আপনি কি এখন বাংলাদেশে ফিরে আসার কথা ভাবছেন ?
তসলিমা: না। দেশটিতে আমার বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান বা প্রকাশের ব্যাপারে তাঁরা (মৌলবাদীরা) ভ্রুক্ষেপ করে না। এটা কেবল একটা অনুষ্ঠান। তারা এখনই আমাকে বাংলাদেশে আসতে দেবে না। এটা কোনো উন্নতির লক্ষণ নয়। বাংলাদেশি মৌলবাদীরা আমার ব্যাপারে এখনো নমনীয় নয়। তারা এটাও জানে, সরকার আমার প্রতি রূঢ়। আমি অনুমান করি, মৌলবাদীরাও আশা করে না, সরকার আমাকে দেশে ফিরিয়ে আনুক। শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়া বা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমার দেশে আসা অনুমোদন করবে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ বেশ কিছু ব্যাপারে শেখ হাসিনা বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিয়েছেন। কিন্তু আমার ব্যাপারে তিনি কিছুই করেননি। মৌলবাদীরা আমাকে ‘ইসলামবিরোধী’ বলে চিহ্নিত করেছে। একজন ইসলামবিরোধীকে দেশে আসতে দেওয়ার ব্যাপারে সরকার সম্ভবত ভীত। বাংলাদেশ আমাকে ১৮ বছর ধরে দেশের বাইরে রেখেছে। আর পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা তো সাম্প্রতিক। একজন লেখকের জন্য এটা চরম অবিচার। কিন্তু আমি স্বপ্ন দেখি কোনো একদিন কলকাতায় ফিরতে পারব।
প্রশ্ন: আপনার বইগুলো কি এখনো বাংলাদেশে প্রকাশিত হচ্ছে?
তসলিমা: ২০১১ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের আগামী প্রকাশনীর প্রকাশক ওসমান গনি আমার সঙ্গে দেখা করেন। বইয়ের সব স্বত্ব দিয়ে আমি তাঁর সঙ্গে একটি চুক্তি করেছি। তিনি ঢাকায় নির্বাসন প্রকাশের এই ঝুঁকি নিয়েছেন। বাংলাদেশ ছেড়ে আসার পর আমার বইয়ের প্রকাশকরা লেখক সম্মানী হিসেবে আমাকে একটি টাকাও দেননি। বাংলাদেশে আমার বই প্রিন্ট ও বিক্রি হচ্ছে। বইয়ের কভারে আমার নাম ও ছবি যুক্ত করে সেখানে অনেকের বাজে লেখা বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু আমার প্রকাশকরা এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বা আমার বইয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে কোনো প্রতিবাদও করেনি।
প্রশ্ন: নির্বাসিত জীবনে কী করে সময় কাটছে?
তসলিমা: লেখালেখি, পড়া এবং আমার পোষা বিড়াল মিনুর সঙ্গে খেলা করে অধিকাংশ সময় পার করি। যখন ভারতে ছিলাম, তখন সেখানকার বন্ধুরা আমার সঙ্গে দেখা করতে আসত। আমি তাঁদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম। সেই সব আড্ডা ভীষণ মিস করি।
No comments