সিংহাসনে রানির ৬০ বছর-কোনো আনুষ্ঠানিকতা ছিল না
অন্য সব দিনের মতো গতকাল সোমবারও যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ (৮৫) ব্যস্ত ছিলেন প্রাত্যহিক কাজে। রাজপরিবারে ছিল না জাঁকজমক কোনো আয়োজন। রানিকে ঘিরে আড়ম্বরপূর্ণ সরকারি কোনো অনুষ্ঠানও কারও চোখে পড়েনি।
অথচ গতকাল ছিল রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সিংহাসনে আরোহণের ৬০তম বার্ষিকী। ১৯৫২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যের রানি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়।
গতকাল পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী কিংস লিনের টাউনহল ও এর পাশে শিশুদের একটি স্কুল পরিদর্শনে যান রানি। সেখানে প্রচণ্ড বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও তাঁকে দেখতে ভিড় জমান অনেকে। উৎফুল্ল মানুষ দূর থেকে হাত নেড়ে রানিকে শুভেচ্ছা জানান। কেউ কেউ উল্লাস প্রকাশের পাশাপাশি তাঁর দীর্ঘ জীবন কামনা করেন।
দ্বিতীয় এলিজাবেথের সিংহাসনে আরোহণের ৬০ বছরপূর্তির দিনে রাজপরিবারের প্রতিদিনকার রুটিনে কোনো হেরফের না হলেও যুক্তরাজ্যের মানুষ বেশ ঘটা করেই রানির শাসনকালের হীরকজয়ন্তী উৎসব পালন করবে। এ জন্য আগামী পাঁচ মাস ধারাবাহিক উৎসব পালনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
মূল অনুষ্ঠান হবে আগামী জুনে। ওই মাসের ২ থেকে ৫ তারিখ পর্যন্ত চার দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জুন টেমস নদীতে রানির সম্মানে এক হাজার পাল তোলা ছোট জাহাজের নৌবিহার ও প্রদর্শনী হবে।
সিংহাসন আরোহণের হীরকজয়ন্তী উপলক্ষে সোমবার এক বিশেষ বার্তায় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ যুক্তরাজ্যের জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনাদের সেবায় নিজেকে পুনর্বার সমর্পণ করছি।’ ওই বার্তায় তাঁকে সহযোগিতা ও সমর্থন দেওয়ার জন্য তিনি যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন ‘আমাকে এবং প্রিন্স ফিলিপকে এত বছর ধরে যে অভূতপূর্ব সমর্থন ও উৎসাহ জুগিয়েছেন’ তার জন্য দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ।
দ্বিতীয় এলিজাবেথ তাঁর শাসনামলে এখন পর্যন্ত লন্ডনের ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে ১১ জন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও বিদায় দেখেছেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন রানির অধীনে ১২তম প্রধানমন্ত্রী। এএফপি ও বিবিসি।
No comments