সোনারগাঁয়ে যাত্রামঞ্চে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে মাসব্যাপী লোক ও কারুশিল্প মেলা এবং লোকজ উৎসব উপলক্ষে ফাউন্ডেশন চত্বরের যাত্রামঞ্চে গত রোববার ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর অভিযোগ, যাত্রার নামে সেখানে অশ্লীল নৃত্য ও অসামাজিক কাজ চলছিল। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের কারণে ৩২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী জানান, রোববার সকালে ‘যাত্রার নামে অশ্লীল নৃত্য ও অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ করো’ স্লোগান-সংবলিত ব্যানার নিয়ে স্থানীয় কয়েক শ মানুষ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের প্রধান ফটক দিয়ে প্রবেশ করে। যাত্রা অনুষ্ঠানের মঞ্চের সামনে গিয়ে তারা মঞ্চ ও চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে এবং পেট্রল ঢেলে প্যান্ডেলের ভেতরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ সময় যাত্রা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা তিনজন নৃত্যশিল্পী নাসিমা আক্তার, সুইটি আক্তার ও ফনি দাসকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। পরে সব শিল্পী ও কলাকৌশলী দ্রুত দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর শিল্পীদের ব্যবহূত আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম আগুনে পুড়ে যায়।
এলকাবাসী অভিযোগ করেছেন, যাত্রানুষ্ঠানের নামে প্রতিদিন রাত ১১টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত এখানে অশ্লীল নৃত্য ও অসামাজিক কাজ হতো। এলাকাবাসী মেলা শুরু হওয়ার পর থেকেই যাত্রার নামে অশ্লীল নৃত্য বন্ধের জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়ে আসছিল।
ঘটনার পর রোববার রাতে ফাউন্ডেশনের নিরাপত্তা কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কারও নাম উল্লেখ করেননি। মঞ্চ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের কারণে ৩২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। যাত্রাশিল্পী নাসিমা আক্তার জানান, ‘আমরা অনুষ্ঠানে কোনো অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন করিনি।’
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুস আলী জানান, এই যাত্রামঞ্চের জন্য স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের এখনো শনাক্ত করা যায়নি। তদন্ত করে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক কবি রবীন্দ্র গোপ বলেন, ‘যাত্রা আমাদের ঐতিহ্যের একটা অংশ। এ জন্য যাত্রার অনুমতি দিয়েছিলাম। কিন্তু রাতের বেলা যাত্রামঞ্চে অশ্লীল নাচ হয় কি না, আমার জানা নেই।’
এলকাবাসী অভিযোগ করেছেন, যাত্রানুষ্ঠানের নামে প্রতিদিন রাত ১১টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত এখানে অশ্লীল নৃত্য ও অসামাজিক কাজ হতো। এলাকাবাসী মেলা শুরু হওয়ার পর থেকেই যাত্রার নামে অশ্লীল নৃত্য বন্ধের জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানিয়ে আসছিল।
ঘটনার পর রোববার রাতে ফাউন্ডেশনের নিরাপত্তা কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলায় এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কারও নাম উল্লেখ করেননি। মঞ্চ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের কারণে ৩২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়। যাত্রাশিল্পী নাসিমা আক্তার জানান, ‘আমরা অনুষ্ঠানে কোনো অশ্লীল নৃত্য পরিবেশন করিনি।’
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুস আলী জানান, এই যাত্রামঞ্চের জন্য স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি। থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের এখনো শনাক্ত করা যায়নি। তদন্ত করে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক কবি রবীন্দ্র গোপ বলেন, ‘যাত্রা আমাদের ঐতিহ্যের একটা অংশ। এ জন্য যাত্রার অনুমতি দিয়েছিলাম। কিন্তু রাতের বেলা যাত্রামঞ্চে অশ্লীল নাচ হয় কি না, আমার জানা নেই।’
No comments