‘ধুলা দুর্ভোগ’ থেকে রেহাই পেতে সড়ক অবরোধ
ছয় মাসের বেশি সময় ধরে বেহাল কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়ক। এবড়োখেবড়ো সড়কের ধুলার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সড়কের দুই পাশের গ্রামবাসী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ‘ধুলা দুর্ভোগ’ থেকে রেহাই পেতে মিরপুর উপজেলার মির্জানগরের মীর আবদুল করিম কলেজের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী গতকাল শনিবার প্রায় পৌনে তিন ঘণ্টা কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়ক অবরোধ করে।
মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দারা বলেন, রাস্তার ধুলার কারণে সারাক্ষণ ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হয়। তবু খাবার, জামাকাপড় নষ্ট হয়। ধুলার কারণে রাস্তার পাশের গাছগুলোও মরে যাচ্ছে।
মীর আবদুল করিম কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ইসমত আরা, সোনিয়া নাজনীন, নাসরিন খাতুন ও রিতা খাতুন প্রথম আলোকে জানায়, শ্রেণীকক্ষে একটা ক্লাস করার পর আবার বসতে গেলে বেঞ্চের ওপর ধুলার স্তূপ পড়ে যায়। প্রচণ্ড ধুলায় শ্বাস নিতেও কষ্ট হয়।
কলেজের অধ্যক্ষ আহসান উল হক খান চৌধুরী বলেন, ‘ক্লাসের টিনের চালে দুই ইঞ্চি পুরু ধুলার স্তূপ পড়েছে। শিক্ষকেরা ঠিকমতো ক্লাসও নিতে পারেন না।’
শিক্ষার্থীরা জানায়, কুষ্টিয়া ঈশ্বরদী মহাসড়কে প্রতিদিন উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক হাজার যানবাহন চলে। সংস্কার না হওয়ায় বেহাল সড়কে প্রচণ্ড ধুলা হয়। সড়কটি সংস্কারের দাবিতে প্রশাসনকে অনেকবার জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই তারা বাধ্য হয়ে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কলেজের বেঞ্চ রাস্তায় রেখে অবরোধ করে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে এলাকাবাসীও অবরোধে যোগ দেয়। অবরোধের ফলে মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় পাঁচ কিলোমিটারব্যাপী যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পানি বহনকারী সওজের একটি গাড়ি অবরোধস্থলে এলে বিক্ষুব্ধ জনতা গাড়িটির ওপর চড়াও হয়। দুপুর ১২টার দিকে মিরপুর থানা ও কুষ্টিয়া ট্রাফিক পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। প্রতিদিন মহাসড়কে কলেজের সামনের অংশে পানি ছিটানো, গতিরোধক তৈরি ও অবিলম্বে সড়কের কাজ করা হবে এমন আশ্বাসে সোয়া ১২টার দিকে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা।
অবরোধে আটকা পড়া খুলনার যাত্রী শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘অবরোধে সাময়িক সমস্যা হলেও সড়ক সংস্কারের যৌক্তিক দাবিকে সর্মথন জানাচ্ছি।’
সওজ সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী প্রায় ১৮ কিলোমিটার সড়ক জরুরি পুনর্বাসনের আওতায় গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রায় আট কিলোমিটারের জন্য প্রায় আট কোটি টাকা ও অক্টোবর মাসে ১২ কিলোমিটারের জন্য সাড়ে ১০ কোটি টাকার দরপত্রে সাতটি ঠিকাদারিপ্রতিষ্ঠান কাজ পায়। তবে কোনো কাজেরই অর্থ বরাদ্দ নেই।
সড়কটি সংস্কারের দাবিতে গত ছয় মাসে চার বার ধর্মঘট ডাকেন পরিবহন-মালিক ও শ্রমিকেরা। সর্বশেষ ১৬ নভেম্বর সড়ক সংস্কারের দৃশ্যমান কাজ দেখে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু এক সপ্তাহ পর লোক দেখানো কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
সড়কটি সংস্কারের ব্যাপারে কুষ্টিয়া সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সড়কে গর্ত ছিল, তা সমান করা হয়েছে। এখন আবার ধুলার সমস্যা। কোন দিকে যাব। টাকা নেই। আশা করা যাচ্ছে, অচিরেই বিষয়টির সমাধান হবে। তখন আবার সংস্কারকাজ শুরু হবে।’
মীর আবদুল করিম কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ইসমত আরা, সোনিয়া নাজনীন, নাসরিন খাতুন ও রিতা খাতুন প্রথম আলোকে জানায়, শ্রেণীকক্ষে একটা ক্লাস করার পর আবার বসতে গেলে বেঞ্চের ওপর ধুলার স্তূপ পড়ে যায়। প্রচণ্ড ধুলায় শ্বাস নিতেও কষ্ট হয়।
কলেজের অধ্যক্ষ আহসান উল হক খান চৌধুরী বলেন, ‘ক্লাসের টিনের চালে দুই ইঞ্চি পুরু ধুলার স্তূপ পড়েছে। শিক্ষকেরা ঠিকমতো ক্লাসও নিতে পারেন না।’
শিক্ষার্থীরা জানায়, কুষ্টিয়া ঈশ্বরদী মহাসড়কে প্রতিদিন উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক হাজার যানবাহন চলে। সংস্কার না হওয়ায় বেহাল সড়কে প্রচণ্ড ধুলা হয়। সড়কটি সংস্কারের দাবিতে প্রশাসনকে অনেকবার জানানো হলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই তারা বাধ্য হয়ে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কলেজের বেঞ্চ রাস্তায় রেখে অবরোধ করে।
এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে এলাকাবাসীও অবরোধে যোগ দেয়। অবরোধের ফলে মহাসড়কের দুই পাশে প্রায় পাঁচ কিলোমিটারব্যাপী যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পানি বহনকারী সওজের একটি গাড়ি অবরোধস্থলে এলে বিক্ষুব্ধ জনতা গাড়িটির ওপর চড়াও হয়। দুপুর ১২টার দিকে মিরপুর থানা ও কুষ্টিয়া ট্রাফিক পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। প্রতিদিন মহাসড়কে কলেজের সামনের অংশে পানি ছিটানো, গতিরোধক তৈরি ও অবিলম্বে সড়কের কাজ করা হবে এমন আশ্বাসে সোয়া ১২টার দিকে অবরোধ তুলে নেয় শিক্ষার্থীরা।
অবরোধে আটকা পড়া খুলনার যাত্রী শহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘অবরোধে সাময়িক সমস্যা হলেও সড়ক সংস্কারের যৌক্তিক দাবিকে সর্মথন জানাচ্ছি।’
সওজ সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী প্রায় ১৮ কিলোমিটার সড়ক জরুরি পুনর্বাসনের আওতায় গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রায় আট কিলোমিটারের জন্য প্রায় আট কোটি টাকা ও অক্টোবর মাসে ১২ কিলোমিটারের জন্য সাড়ে ১০ কোটি টাকার দরপত্রে সাতটি ঠিকাদারিপ্রতিষ্ঠান কাজ পায়। তবে কোনো কাজেরই অর্থ বরাদ্দ নেই।
সড়কটি সংস্কারের দাবিতে গত ছয় মাসে চার বার ধর্মঘট ডাকেন পরিবহন-মালিক ও শ্রমিকেরা। সর্বশেষ ১৬ নভেম্বর সড়ক সংস্কারের দৃশ্যমান কাজ দেখে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু এক সপ্তাহ পর লোক দেখানো কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
সড়কটি সংস্কারের ব্যাপারে কুষ্টিয়া সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ হাসিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সড়কে গর্ত ছিল, তা সমান করা হয়েছে। এখন আবার ধুলার সমস্যা। কোন দিকে যাব। টাকা নেই। আশা করা যাচ্ছে, অচিরেই বিষয়টির সমাধান হবে। তখন আবার সংস্কারকাজ শুরু হবে।’
No comments