হাইকোর্টের নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়িত হোক-জরুরি চিকিৎসা
গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিকে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে নেওয়া হলে জরুরি ভিত্তিতে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়াই স্বাভাবিক কর্তব্য। কিন্তু আমাদের দেশের হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোতে রোগীর ভর্তিসংক্রান্ত প্রক্রিয়ায় বিলম্বের কারণে রোগীর চিকিৎসা যথাসময়ে শুরু হয় না।
জরুরি বিভাগে অপেক্ষমাণ রোগীর ভর্তি-প্রক্রিয়ায় কালক্ষেপণের ফলে মৃত্যু ঘটেছে—এমন অভিযোগও বিরল নয়।
রোববার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এই মর্মে এক আদেশ দিয়েছেন যে জরুরি চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ক্ষেত্রে ভর্তিসহ আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা না করে দ্রুত চিকিৎসাসেবা দিতে হবে। দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জন্যই এই আদেশ প্রযোজ্য হবে। ভর্তি-প্রক্রিয়ার অজুহাতে কোনো রোগীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে—এটা জানিয়ে চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করতেও বলা হয়েছে সরকারের স্বাস্থ্যসচিবকে। চিকিৎসাব্যবস্থার ওপর নজরদারিমূলক এসব কার্যক্রম তদারকির জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতেও স্বাস্থ্যসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের আদেশটিতে বেশ কয়েকটি নির্দেশনা রয়েছে, যা সময়োপযোগী। সেসব নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে দেশে চিকিৎসাসেবার মান উন্নত হবে। হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা কার্যক্রমের কোনো তদারকি বস্তুত নেই; হাইকোর্টের নির্দেশে যদি তাদের কার্যক্রম নিয়মিত তদারকির স্থায়ী ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়, তাহলে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোর কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকদের মধ্যে জবাবদিহির মনোভাব সৃষ্টি হবে।
দেশে একটি চিকিৎসানীতি ও চিকিৎসকদের আচরণবিধি রয়েছে, কিন্তু নীতি বা আচরণবিধি মেনে চলা হয় কি না, তা পর্যবেক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই। এ বিষয়ে তৎপর হওয়ার জন্য বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের এই আদেশ পাওয়া গেল বেশ দুঃখজনক একটি অকালমৃত্যুর পরবর্তীকালে একটি আইনি পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে। গত আগস্ট মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, লোকসংগীত গবেষক ও শিল্পী অধ্যাপক মৃদুলকান্তি চক্রবর্তী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। জরুরি চিকিৎসা তিনি পাননি, তাঁর ভর্তিসংক্রান্ত জটিলতায় কালক্ষেপণ ঘটেছে এবং চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা ছিল—এসব অভিযোগ উঠেছিল। হাইকোর্টে জনস্বার্থবিষয়ক একটি রিট আবেদন করা হয়; সেই রিটের পরিপ্রেক্ষিতেই হাইকোর্ট আদেশটি দেন। হাইকোর্টের আদেশে দেশের চিকিৎসাব্যবস্থার দুর্বলতাগুলোর প্রতিফলন পাওয়া গেল। এখন এসব দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করতে হবে, হাইকোর্টের নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে।
রোববার হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ এই মর্মে এক আদেশ দিয়েছেন যে জরুরি চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ক্ষেত্রে ভর্তিসহ আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা না করে দ্রুত চিকিৎসাসেবা দিতে হবে। দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জন্যই এই আদেশ প্রযোজ্য হবে। ভর্তি-প্রক্রিয়ার অজুহাতে কোনো রোগীর মৃত্যু হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে—এটা জানিয়ে চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করতেও বলা হয়েছে সরকারের স্বাস্থ্যসচিবকে। চিকিৎসাব্যবস্থার ওপর নজরদারিমূলক এসব কার্যক্রম তদারকির জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করতেও স্বাস্থ্যসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের আদেশটিতে বেশ কয়েকটি নির্দেশনা রয়েছে, যা সময়োপযোগী। সেসব নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে দেশে চিকিৎসাসেবার মান উন্নত হবে। হাসপাতালগুলোর চিকিৎসা কার্যক্রমের কোনো তদারকি বস্তুত নেই; হাইকোর্টের নির্দেশে যদি তাদের কার্যক্রম নিয়মিত তদারকির স্থায়ী ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়, তাহলে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোর কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকদের মধ্যে জবাবদিহির মনোভাব সৃষ্টি হবে।
দেশে একটি চিকিৎসানীতি ও চিকিৎসকদের আচরণবিধি রয়েছে, কিন্তু নীতি বা আচরণবিধি মেনে চলা হয় কি না, তা পর্যবেক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই। এ বিষয়ে তৎপর হওয়ার জন্য বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের এই আদেশ পাওয়া গেল বেশ দুঃখজনক একটি অকালমৃত্যুর পরবর্তীকালে একটি আইনি পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে। গত আগস্ট মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা ও সংগীত বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, লোকসংগীত গবেষক ও শিল্পী অধ্যাপক মৃদুলকান্তি চক্রবর্তী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। জরুরি চিকিৎসা তিনি পাননি, তাঁর ভর্তিসংক্রান্ত জটিলতায় কালক্ষেপণ ঘটেছে এবং চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা ছিল—এসব অভিযোগ উঠেছিল। হাইকোর্টে জনস্বার্থবিষয়ক একটি রিট আবেদন করা হয়; সেই রিটের পরিপ্রেক্ষিতেই হাইকোর্ট আদেশটি দেন। হাইকোর্টের আদেশে দেশের চিকিৎসাব্যবস্থার দুর্বলতাগুলোর প্রতিফলন পাওয়া গেল। এখন এসব দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করতে হবে, হাইকোর্টের নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকে।
No comments