আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি by শওকত হোসেন ও জাহাঙ্গীর শাহ
মূল্যস্ফীতির সঙ্গে পাল্লা দিতে পারছে না দেশের সীমিত আয়ের সাধারণ মানুষ। আয় যত বাড়ছে, তার তুলনায় ব্যয় বাড়ছে বেশি। ফলে মূল্যস্ফীতির হার বাড়লে এসব মানুষের জীবনযাপনের সংকট আরও এক ধাপ বেড়ে যাচ্ছে।গতকাল সোমবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জানুয়ারি মাসের মূল্যস্ফীতির হার প্রকাশ করেছে। ওই মাসে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আগের মাস, ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
নতুন করে মূল্যস্ফীতি বাড়ার কারণ মূলত জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি। আর এর প্রভাবে জিনিসপত্রের দামও বেড়েছে, যা মূল্যস্ফীতির হার বাড়িয়েছে বলে মনে করছে বিবিএস। এর ফলে ১১ মাস ধরেই দেশের মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে রয়ে আছে।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মূল্যস্ফীতি বাড়লে সবচেয়ে চাপে থাকে নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ। বেকার লোকের জীবনযাত্রায়ও বেশ চাপ পড়ে। জীবনযাত্রায় এই ব্যয় মেটাতে গিয়ে তাঁরা সামান্য সঞ্চয় কিংবা সম্পদ বিক্রি করতে বাধ্য হন।
মির্জ্জা আজিজ আরও বলেন, মুদ্রার সরবরাহ বেড়েছে, এতে মানুষের হাতে টাকার প্রবাহ বেড়েছে। এখন দেখতে হবে, মানুষের প্রকৃত আয় কত বেড়েছে। তাঁর মতে, চলতি অর্থবছরের জন্য প্রাক্কলিত জিডিপি ৭ শতাংশের পরিবর্তে ৬ শতাংশের মতো হতে পারে।
আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি: উচ্চ মূল্যস্ফীতির বিপরীতে সরকারের পক্ষ থেকে আয় বাড়ার নানা বক্তব্য রাখা হলেও সরকারি পরিসংখ্যানেই পাওয়া যাচ্ছে উল্টো চিত্র। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বিবিএস সদ্য প্রকাশ করেছে খানা আয় ও ব্যয় জরিপ-২০১০। ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি পাঁচ বছর পর পর এই জরিপ পরিচালনা করা হয়।
জরিপ অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে দেশে পরিবারপ্রতি গড় আয় বেড়েছে। তবে সে তুলনায় ব্যয় বেড়েছে অনেক বেশি। যেমন: ২০১০ সালে দেশে খানাপ্রতি আয় ছিল ১১ হাজার ৪৮০ টাকা। আর ২০০৫ সালে ছিল সাত হাজার ২০৩ টাকা। এর অর্থ হলো, গত পাঁচ বছরে আয় বেড়েছে ৫৯ শতাংশের কিছু বেশি। অন্যদিকে, ২০১০ সালে পরিবারপ্রতি মাসে গড় ব্যয় ছিল ১১ হাজার ২০০ টাকা। ঠিক পাঁচ বছর আগে তা ছিল ছয় হাজার ১৩৪ টাকা। অর্থাৎ ব্যয় বেড়েছে ৮২ শতাংশের বেশি। আবার ২০১০ সালে ভোগ ব্যয় ছিল ১১ হাজার তিন টাকা, ২০০৫ সালে তা ছিল পাঁচ হাজার ৯৬৪ টাকা। ফলে দেখা যাচ্ছে, গত পাঁচ বছরে ভোগ ব্যয় বেড়েছে ৮৪ শতাংশের বেশি।
বিবিএস এই হিসাব দিয়ে বলেছে, জরিপ থেকে স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে, আয়ের তুলনায় মানুষের ভোগ ব্যয় বেড়েছে। মূলত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণেই মানুষকে ভোগ্যপণ্য কিনতে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।
জরিপ অনুযায়ী, ১৯৯৫ সময়ের পর থেকে গত ১৫ বছরে আয়ের তুলনায় এত বেশি ব্যয় আর কখনোই বাড়েনি। যেমন: ১৯৯৫ সালের তুলনায় ২০০০ সালে আয় বেড়েছিল প্রায় ৩৪ শতাংশ; ব্যয় বাড়ে প্রায় ২০ শতাংশ এবং ভোগ ব্যয় বেড়েছিল প্রায় ১৩ শতাংশ। আবার ২০০০ সালের তুলনায় ২০০৫ সালে আয় বৃদ্ধির হার ছিল ২৩ শতাংশ; ব্যয় বেড়েছিল ২৬ শতাংশ এবং ভোগ ব্যয় বৃদ্ধি পায় ৩১ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতির তথ্য: বর্তমান সরকারের সময়ে গত সেপ্টেম্বর মাসে বিগত এক দশকের মধ্যে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে গিয়েছিল, এই হার ছিল ১১ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এর বাইরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি ঘটেছিল ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে। সে সময়ে মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর এই জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি আবার হলো ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জোট সরকারের ক্ষমতা নেওয়ার সময় ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। ছয় মাসের মধ্যে এই হার ২ দশমিক ২৫ শতাংশে নেমে আসে। এর পর থেকেই নিয়ন্ত্রণ হারায় মূল্যস্ফীতি। যদিও নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগের প্রথম অগ্রাধিকার ছিল দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ। বলা হয়েছিল, ‘দ্রব্যমূল্যের দুঃসহ চাপ প্রশমনের লক্ষ্যে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে স্থিতিশীল রাখার ব্যবস্থা করা হবে।’
কষ্টে সাধারণ মানুষ: প্রায় ১২ শতাংশ মূল্যস্ফীতির অর্থই হলো আগে যেসব পণ্য কিনতে ১০০ টাকা হলেই চলত, সেসব পণ্য কিনতে এখন প্রয়োজন ১১২ টাকা। সুতরাং, এই বাড়তি ১২ টাকা আয় না বাড়লে ভোক্তাকে আগের তুলনায় কম পণ্য কিনতে হবে। অর্থাৎ ভোগ কমিয়ে দিতে হবে। গত ১১ মাসে মূল্যস্ফীতি টানা ১০ শতাংশের বেশি থাকায় এসব মানুষকে ভোগ কমিয়ে দিতেই হচ্ছে।
খাদ্যবহির্ভূত সূচকে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে: দেশের স্বাভাবিক প্রবণতা হচ্ছে খাদ্য সূচকে মূল্যস্ফীতি, বহির্ভূত সূচকে কম। অথচ কয়েক মাস ধরেই খাদ্যবহির্ভূত পণ্যেও মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, গত জানুয়ারি মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৯০ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে ১৩ দশমিক ১৬ শতাংশ। এ ছাড়া গত জানুয়ারিতে শহর এলাকায় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১২ দশমিক ৭৩ শতাংশ, গ্রামে ১১ দশমিক ১৫ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতি হ্রাস-বৃদ্ধির কারণ পর্যালোচনা করে বিবিএস কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিবিএসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জানুয়ারি মাসে খাদ্যসামগ্রী উপখাতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১ দশমিক ২৯ শতাংশ। এক মাসের ব্যবধানে প্রধানত চাল, ডাল, মাছ-মাংস, ডিম, ফল, ভোজ্যতেল, প্যাকেট দুধ প্রভৃতি পণ্যের দাম বেড়েছে। আর খাদ্যবহির্ভূত উপখাতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২ দশমিক ১৮ শতাংশ। পরিধেয় বস্ত্রাদি, বাড়িভাড়া ও জ্বালানি তেল, চিকিৎসাসেবা খরচ, পরিবহন খাত, আসবাবপত্র ও গৃহস্থালি এবং লন্ড্রি-সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তবে গত ডিসেম্বরে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাবই মূল্যস্ফীতিতে সবচেয়ে বেশি পড়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিবিএসের মহাপরিচালক শাহজাহান আলী মোল্লা বলেন, আবারও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। তবে কৃষিপণ্যের দাম কমালে ও সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতা বাড়ানো হলে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমতে পারে। পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে সরকারের সামগ্রিক নীতির ওপর।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, মূল্যস্ফীতি বাড়লে সবচেয়ে চাপে থাকে নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ। বেকার লোকের জীবনযাত্রায়ও বেশ চাপ পড়ে। জীবনযাত্রায় এই ব্যয় মেটাতে গিয়ে তাঁরা সামান্য সঞ্চয় কিংবা সম্পদ বিক্রি করতে বাধ্য হন।
মির্জ্জা আজিজ আরও বলেন, মুদ্রার সরবরাহ বেড়েছে, এতে মানুষের হাতে টাকার প্রবাহ বেড়েছে। এখন দেখতে হবে, মানুষের প্রকৃত আয় কত বেড়েছে। তাঁর মতে, চলতি অর্থবছরের জন্য প্রাক্কলিত জিডিপি ৭ শতাংশের পরিবর্তে ৬ শতাংশের মতো হতে পারে।
আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি: উচ্চ মূল্যস্ফীতির বিপরীতে সরকারের পক্ষ থেকে আয় বাড়ার নানা বক্তব্য রাখা হলেও সরকারি পরিসংখ্যানেই পাওয়া যাচ্ছে উল্টো চিত্র। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বিবিএস সদ্য প্রকাশ করেছে খানা আয় ও ব্যয় জরিপ-২০১০। ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি পাঁচ বছর পর পর এই জরিপ পরিচালনা করা হয়।
জরিপ অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে দেশে পরিবারপ্রতি গড় আয় বেড়েছে। তবে সে তুলনায় ব্যয় বেড়েছে অনেক বেশি। যেমন: ২০১০ সালে দেশে খানাপ্রতি আয় ছিল ১১ হাজার ৪৮০ টাকা। আর ২০০৫ সালে ছিল সাত হাজার ২০৩ টাকা। এর অর্থ হলো, গত পাঁচ বছরে আয় বেড়েছে ৫৯ শতাংশের কিছু বেশি। অন্যদিকে, ২০১০ সালে পরিবারপ্রতি মাসে গড় ব্যয় ছিল ১১ হাজার ২০০ টাকা। ঠিক পাঁচ বছর আগে তা ছিল ছয় হাজার ১৩৪ টাকা। অর্থাৎ ব্যয় বেড়েছে ৮২ শতাংশের বেশি। আবার ২০১০ সালে ভোগ ব্যয় ছিল ১১ হাজার তিন টাকা, ২০০৫ সালে তা ছিল পাঁচ হাজার ৯৬৪ টাকা। ফলে দেখা যাচ্ছে, গত পাঁচ বছরে ভোগ ব্যয় বেড়েছে ৮৪ শতাংশের বেশি।
বিবিএস এই হিসাব দিয়ে বলেছে, জরিপ থেকে স্পষ্টতই দেখা যাচ্ছে, আয়ের তুলনায় মানুষের ভোগ ব্যয় বেড়েছে। মূলত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণেই মানুষকে ভোগ্যপণ্য কিনতে বেশি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে।
জরিপ অনুযায়ী, ১৯৯৫ সময়ের পর থেকে গত ১৫ বছরে আয়ের তুলনায় এত বেশি ব্যয় আর কখনোই বাড়েনি। যেমন: ১৯৯৫ সালের তুলনায় ২০০০ সালে আয় বেড়েছিল প্রায় ৩৪ শতাংশ; ব্যয় বাড়ে প্রায় ২০ শতাংশ এবং ভোগ ব্যয় বেড়েছিল প্রায় ১৩ শতাংশ। আবার ২০০০ সালের তুলনায় ২০০৫ সালে আয় বৃদ্ধির হার ছিল ২৩ শতাংশ; ব্যয় বেড়েছিল ২৬ শতাংশ এবং ভোগ ব্যয় বৃদ্ধি পায় ৩১ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতির তথ্য: বর্তমান সরকারের সময়ে গত সেপ্টেম্বর মাসে বিগত এক দশকের মধ্যে মূল্যস্ফীতি সর্বোচ্চ পর্যায়ে চলে গিয়েছিল, এই হার ছিল ১১ দশমিক ৯৭ শতাংশ। এর বাইরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি ঘটেছিল ২০০৭ সালের ডিসেম্বরে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে। সে সময়ে মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আর এই জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি আবার হলো ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জোট সরকারের ক্ষমতা নেওয়ার সময় ২০০৯ সালের জানুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ০৬ শতাংশ। ছয় মাসের মধ্যে এই হার ২ দশমিক ২৫ শতাংশে নেমে আসে। এর পর থেকেই নিয়ন্ত্রণ হারায় মূল্যস্ফীতি। যদিও নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগের প্রথম অগ্রাধিকার ছিল দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ। বলা হয়েছিল, ‘দ্রব্যমূল্যের দুঃসহ চাপ প্রশমনের লক্ষ্যে চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমিয়ে জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে স্থিতিশীল রাখার ব্যবস্থা করা হবে।’
কষ্টে সাধারণ মানুষ: প্রায় ১২ শতাংশ মূল্যস্ফীতির অর্থই হলো আগে যেসব পণ্য কিনতে ১০০ টাকা হলেই চলত, সেসব পণ্য কিনতে এখন প্রয়োজন ১১২ টাকা। সুতরাং, এই বাড়তি ১২ টাকা আয় না বাড়লে ভোক্তাকে আগের তুলনায় কম পণ্য কিনতে হবে। অর্থাৎ ভোগ কমিয়ে দিতে হবে। গত ১১ মাসে মূল্যস্ফীতি টানা ১০ শতাংশের বেশি থাকায় এসব মানুষকে ভোগ কমিয়ে দিতেই হচ্ছে।
খাদ্যবহির্ভূত সূচকে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে: দেশের স্বাভাবিক প্রবণতা হচ্ছে খাদ্য সূচকে মূল্যস্ফীতি, বহির্ভূত সূচকে কম। অথচ কয়েক মাস ধরেই খাদ্যবহির্ভূত পণ্যেও মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, গত জানুয়ারি মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৯০ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে ১৩ দশমিক ১৬ শতাংশ। এ ছাড়া গত জানুয়ারিতে শহর এলাকায় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১২ দশমিক ৭৩ শতাংশ, গ্রামে ১১ দশমিক ১৫ শতাংশ।
মূল্যস্ফীতি হ্রাস-বৃদ্ধির কারণ পর্যালোচনা করে বিবিএস কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিবিএসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জানুয়ারি মাসে খাদ্যসামগ্রী উপখাতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ১ দশমিক ২৯ শতাংশ। এক মাসের ব্যবধানে প্রধানত চাল, ডাল, মাছ-মাংস, ডিম, ফল, ভোজ্যতেল, প্যাকেট দুধ প্রভৃতি পণ্যের দাম বেড়েছে। আর খাদ্যবহির্ভূত উপখাতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে ২ দশমিক ১৮ শতাংশ। পরিধেয় বস্ত্রাদি, বাড়িভাড়া ও জ্বালানি তেল, চিকিৎসাসেবা খরচ, পরিবহন খাত, আসবাবপত্র ও গৃহস্থালি এবং লন্ড্রি-সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি পাওয়ায় মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তবে গত ডিসেম্বরে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাবই মূল্যস্ফীতিতে সবচেয়ে বেশি পড়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে বিবিএসের মহাপরিচালক শাহজাহান আলী মোল্লা বলেন, আবারও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হলে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। তবে কৃষিপণ্যের দাম কমালে ও সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতা বাড়ানো হলে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমতে পারে। পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে সরকারের সামগ্রিক নীতির ওপর।
No comments