বিশ্বব্যাপী ঝুঁকিতে বনাঞ্চল-পরিবেশ by আবু এনএম ওয়াহিদ
গাছ মরে গেলে যত শিগগির সম্ভব মরা গাছকে কেটে সরিয়ে ফেলা অথবা পুড়িয়ে ফেলা উচিত। কারণ মরা এবং দুর্বল গাছেই প্রথম পোকামাকড়ের উপদ্রব দেখা দেয়। মূল গাছের সুস্বাস্থ্যের জন্য ঝোপঝাড়, লতাগুল্ম ও আগাছা নিয়মিতভাবে পরিষ্কার করে রাখা উচিত। পোকার আক্রমণ থেকে গাছকে রক্ষার জন্য গাছের কাটা অংশ স্বচ্ছ প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে
রাখা উচিত ইদানীং বেশ কয়েক বছর ধরে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা আগামীতে পৃথিবী, জীববৈচিত্র্য এবং মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে
রাখা উচিত ইদানীং বেশ কয়েক বছর ধরে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা আগামীতে পৃথিবী, জীববৈচিত্র্য এবং মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে
বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। কারণ নিবিড় বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণে দেখা যায়_ সর্বব্যাপী অতিরিক্ত ফসিল ফুয়েলের ব্যবহার, বাতাসে কার্বন নির্গমন, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, বায়ুমণ্ডলের ওজোন স্তর, কলকারখানার রাসায়নিক বর্জ্য নিক্ষেপ, স্বল্প বৃষ্টি, মাটির আর্দ্রতা হ্রাস ইত্যাদি কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের গভীর বনাঞ্চলে আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় দ্রুতগতিতে গাছপালা মরে যাচ্ছে। যেসব গাছ বেঁচে আছে সেগুলোর মধ্যে আবার দুর্বল এবং রোগাক্রান্ত বৃক্ষের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেউ কেউ বলছেন, ব্যাপক পোকার আক্রমণ গাছ নিধনের কারণ। কিন্তু পোকার জন্য গাছ মরছে না। বরং গাছ মরে গিয়ে শুকিয়ে যাওয়ার কারণেই গাছে পোকা হচ্ছে, রোগ ছড়াচ্ছে এবং আরও গাছ মরছে।
অধিকহারে যে বৃক্ষ নিধন হচ্ছে এর সুস্পষ্ট আলামত দেখা যাচ্ছে আমেরিকার দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে, কানাডার রকি মাউন্টেন এবং ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে, আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে, আলজেরিয়ার উত্তরে, দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন এবং রাশিয়ার সাইবেরিয়ার জঙ্গলে। আগামীতে এ প্রক্রিয়া কোন দিকে মোড় নেয় তার ওপর নির্ভর করবে পৃথিবীর পরিবেশ ও এই গ্রহে মানুষের বসবাস যোগ্যতার স্থায়িত্ব। বিশ্বের সর্বত্র যেভাবে নগরায়ন সম্প্রসারিত হচ্ছে তা থেকে সহজেই অনুমান করা যায়, অচিরেই শহরাঞ্চলে বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ বাস করবে। একাধিক কারণে শহরাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের জীবন গাছের ওপর আগের চেয়ে অনেক বেশি নির্ভরশীল। কীভাবে? তা আবার অনেকেই জানেন না। প্রতিনিয়ত মানুষ এবং মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফলে বায়ুমণ্ডলে যে পরিমাণ বিষাক্ত কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস নির্গত হয়, গাছই বাতাস থেকে সেটা শুষে নিয়ে মানুষের শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য বাতাসকে পরিশুদ্ধ করে রাখে।
সম্প্রতি কোনো কোনো জায়গায় দেখা যায়, শীতকালে চিরসবুজ গাছের পাতা হলুদ বা লাল হয়ে পরে শুকিয়ে যাচ্ছে_ যেটা হওয়ার কথা নয়। মধ্য ও উত্তর আমেরিকার রকি অঞ্চলে লাল লাখ একর জমিজুড়ে পাইন গাছ মরে যাচ্ছে। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া এবং টেক্সাসের জঙ্গলে মরা এবং জীবিত গাছ জংলি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। রাশিয়ার সাইবেরিয়ার কাছে ঈনেইসি নদীর তীর বরাবর শুকনো ঘাস, লতাগুল্ম, ঝোপঝাড় এবং ছোট ছোট গাছ আগুনে পুড়ছে। নব্বইয়ের দশকে আলাস্কার কেনিন পেনিনসুলায় অসংখ্য সাদা স্প্রুস প্রজাতির গাছকে জংলি বিটল পোকায় খেয়ে ফেলছে। বিটল পোকার আক্রমণ আমেরিকার মন্টানা, কলোরাডো এবং কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে ব্যাপকভাবে দেখা যায়। এভাবে যদি বৃক্ষনিধন চলতে থাকে তাহলে বিজ্ঞানীদের ধারণা, বর্তমান শতাব্দীর মধ্যভাগে এসে আমরা দেখতে পাব পৃথিবীর অর্ধেক গাছপালা চিরতরে হারিয়ে গেছে।
অন্যান্যের মধ্যে গাছ মরে যাওয়ার একটি মূল কারণ হলো বৃষ্টির স্বল্পতা ও পানির অভাব। ২০০১ সালে পৃথিবীতে স্বাভাবিকের তুলনায় ১০ ইঞ্চি কম বৃষ্টি হয়েছে। গত বছর বৃষ্টির মৌসুম একটু ভালো ছিল। কিন্তু তারপর হেমন্ত, শীত, স্প্রিং এবং সামার শুকনোই ছিল। গাছপালার বেঁচে থাকার জন্য প্রচুর পরিমাণ পানির প্রয়োজন। গাছ প্রতিদিন শত শত গ্যালন পানি খায়। মাটিতে ধারণকৃত যেটুকু পানি থাকে বৃক্ষরাজি স্প্রিং এবং সামারে অর্থাৎ শুষ্ক মৌসুমে তার পুরোটাই শুষে নেয়। মাটির আর্দ্রতা শুকিয়ে গেলে গাছপালা বেঁচে থাকার জন্য মাটির সঙ্গে রীতিমতো সংগ্রাম শুরু করে। এ রকম অবস্থায় গাছ দুর্বল হয়ে যায়। গাছের রোগ প্রতিষেধক শক্তি কমে যায়। পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়ে। প্রথমদিকে পোকারা গাছের চিনিভর্তি ছাল-বাঁকল খায় এবং গাছে বিভিন্নমুখী টানেল তৈরি করে; যার ফলে ঝাঁঝরা হয়ে অবশেষে মরে যায়।
কিছু কিছু বিটল পোকা এক ধরনের বিষাক্ত ফাঙ্গাস বহন করে গাছের ওয়াটার কন্ডাক্টিং টিস্যুকে আক্রমণ করে। এতে গাছের সবুজ পাতা হলুদ হয়ে মরে যায় এবং গাছ সার্বিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। এ ধরনের গাছ বেশিদিন বাঁচে না। এ রকম অবস্থায় মানুষের করণীয় কী? শুকনো মাটিতে দুর্বল গাছে বিটল পোকার আক্রমণ হলে গাছ বাঁচানো সম্ভব নয় এবং এ অবস্থায় কারোরই তেমন কিছু করার সুযোগ নেই। বিশ্বে বড় বড় জঙ্গলে যেসব গাছ মরছে সেগুলোকে বাঁচানো এবং নতুন গাছ লাগানোর উদ্যোগ সংশ্লিষ্ট সরকার এবং বিশ্ব সংস্থাকে নিতে হবে। ইত্যবসরে লোকালয়ে ব্যক্তি উদ্যোগে নতুন করে বনায়নের চেষ্টা চালিয়ে যেত হবে।
শুষ্ক মৌসুমে সহজে মরে না অর্থাৎ পাইন প্রজাতির গাছ অধিক পরিমাণে লাগানো উচিত।
গাছ মরে গেলে যত শিগগির সম্ভব মরা গাছকে কেটে সরিয়ে ফেলা অথবা পুড়িয়ে ফেলা উচিত। কারণ মরা এবং দুর্বল গাছেই প্রথম পোকামাকড়ের উপদ্রব দেখা দেয়। মূল গাছের সুস্বাস্থ্যের জন্য ঝোপঝাড়, লতাগুল্ম ও আগাছা নিয়মিতভাবে পরিষ্কার করে রাখা উচিত। পোকার আক্রমণ থেকে গাছকে রক্ষার জন্য গাছের কাটা অংশ স্বচ্ছ প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে রাখা উচিত। গাছের চারা বেশি ঘন হলে কিছু চারা উপড়ে ফেলে বনকে হালকা করে দেওয়া উচিত। যাতে গাছগুলোর গায়ে সহজে আলো-বাতাস লাগে। গাছের মরা ডাল সবসময় কেটে-ছেঁটে পুড়িয়ে ফেলা উচিত। মাটির আর্দ্রতা রক্ষার জন্য বাড়তি গাছ ও অগাছা তুলে ফেলে দেওয়া জরুরি। বৃষ্টি কম হলে পানি সেচের ব্যবস্থা রাখা দরকার। গাছের গোড়ায় মাটিতে বেশি কোদাল চালানো ঠিক নয়, কারণ মাটির নিচে প্রথম এক-দুই ফুটের মধ্যেই থাকে গাছের সব শিকড়। শিকড় কাটা পড়লে গাছ মরবে অথবা দুর্বল হবে। শুষ্ক মৌসুমে গাছের গোড়ায় সার দেবেন না। এতে গাছের পানির চাহিদা বেড়ে যায় অনেক গুণে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না পেলে গাছের জীবনীশক্তি বাড়ার বদলে কমে যাবে।
আবু এনএম ওয়াহিদ :অধ্যাপক, টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটি
এডিটর : জার্নাল অব ডেভেলপিং এরিয়াজ
awahid2569@gmail.com
অধিকহারে যে বৃক্ষ নিধন হচ্ছে এর সুস্পষ্ট আলামত দেখা যাচ্ছে আমেরিকার দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে, কানাডার রকি মাউন্টেন এবং ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে, আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলে, আলজেরিয়ার উত্তরে, দক্ষিণ আমেরিকার আমাজন এবং রাশিয়ার সাইবেরিয়ার জঙ্গলে। আগামীতে এ প্রক্রিয়া কোন দিকে মোড় নেয় তার ওপর নির্ভর করবে পৃথিবীর পরিবেশ ও এই গ্রহে মানুষের বসবাস যোগ্যতার স্থায়িত্ব। বিশ্বের সর্বত্র যেভাবে নগরায়ন সম্প্রসারিত হচ্ছে তা থেকে সহজেই অনুমান করা যায়, অচিরেই শহরাঞ্চলে বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ বাস করবে। একাধিক কারণে শহরাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষের জীবন গাছের ওপর আগের চেয়ে অনেক বেশি নির্ভরশীল। কীভাবে? তা আবার অনেকেই জানেন না। প্রতিনিয়ত মানুষ এবং মানুষের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফলে বায়ুমণ্ডলে যে পরিমাণ বিষাক্ত কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্যাস নির্গত হয়, গাছই বাতাস থেকে সেটা শুষে নিয়ে মানুষের শ্বাসপ্রশ্বাসের জন্য বাতাসকে পরিশুদ্ধ করে রাখে।
সম্প্রতি কোনো কোনো জায়গায় দেখা যায়, শীতকালে চিরসবুজ গাছের পাতা হলুদ বা লাল হয়ে পরে শুকিয়ে যাচ্ছে_ যেটা হওয়ার কথা নয়। মধ্য ও উত্তর আমেরিকার রকি অঞ্চলে লাল লাখ একর জমিজুড়ে পাইন গাছ মরে যাচ্ছে। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়া এবং টেক্সাসের জঙ্গলে মরা এবং জীবিত গাছ জংলি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। রাশিয়ার সাইবেরিয়ার কাছে ঈনেইসি নদীর তীর বরাবর শুকনো ঘাস, লতাগুল্ম, ঝোপঝাড় এবং ছোট ছোট গাছ আগুনে পুড়ছে। নব্বইয়ের দশকে আলাস্কার কেনিন পেনিনসুলায় অসংখ্য সাদা স্প্রুস প্রজাতির গাছকে জংলি বিটল পোকায় খেয়ে ফেলছে। বিটল পোকার আক্রমণ আমেরিকার মন্টানা, কলোরাডো এবং কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়া প্রদেশে ব্যাপকভাবে দেখা যায়। এভাবে যদি বৃক্ষনিধন চলতে থাকে তাহলে বিজ্ঞানীদের ধারণা, বর্তমান শতাব্দীর মধ্যভাগে এসে আমরা দেখতে পাব পৃথিবীর অর্ধেক গাছপালা চিরতরে হারিয়ে গেছে।
অন্যান্যের মধ্যে গাছ মরে যাওয়ার একটি মূল কারণ হলো বৃষ্টির স্বল্পতা ও পানির অভাব। ২০০১ সালে পৃথিবীতে স্বাভাবিকের তুলনায় ১০ ইঞ্চি কম বৃষ্টি হয়েছে। গত বছর বৃষ্টির মৌসুম একটু ভালো ছিল। কিন্তু তারপর হেমন্ত, শীত, স্প্রিং এবং সামার শুকনোই ছিল। গাছপালার বেঁচে থাকার জন্য প্রচুর পরিমাণ পানির প্রয়োজন। গাছ প্রতিদিন শত শত গ্যালন পানি খায়। মাটিতে ধারণকৃত যেটুকু পানি থাকে বৃক্ষরাজি স্প্রিং এবং সামারে অর্থাৎ শুষ্ক মৌসুমে তার পুরোটাই শুষে নেয়। মাটির আর্দ্রতা শুকিয়ে গেলে গাছপালা বেঁচে থাকার জন্য মাটির সঙ্গে রীতিমতো সংগ্রাম শুরু করে। এ রকম অবস্থায় গাছ দুর্বল হয়ে যায়। গাছের রোগ প্রতিষেধক শক্তি কমে যায়। পোকামাকড়ের উপদ্রব বাড়ে। প্রথমদিকে পোকারা গাছের চিনিভর্তি ছাল-বাঁকল খায় এবং গাছে বিভিন্নমুখী টানেল তৈরি করে; যার ফলে ঝাঁঝরা হয়ে অবশেষে মরে যায়।
কিছু কিছু বিটল পোকা এক ধরনের বিষাক্ত ফাঙ্গাস বহন করে গাছের ওয়াটার কন্ডাক্টিং টিস্যুকে আক্রমণ করে। এতে গাছের সবুজ পাতা হলুদ হয়ে মরে যায় এবং গাছ সার্বিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। এ ধরনের গাছ বেশিদিন বাঁচে না। এ রকম অবস্থায় মানুষের করণীয় কী? শুকনো মাটিতে দুর্বল গাছে বিটল পোকার আক্রমণ হলে গাছ বাঁচানো সম্ভব নয় এবং এ অবস্থায় কারোরই তেমন কিছু করার সুযোগ নেই। বিশ্বে বড় বড় জঙ্গলে যেসব গাছ মরছে সেগুলোকে বাঁচানো এবং নতুন গাছ লাগানোর উদ্যোগ সংশ্লিষ্ট সরকার এবং বিশ্ব সংস্থাকে নিতে হবে। ইত্যবসরে লোকালয়ে ব্যক্তি উদ্যোগে নতুন করে বনায়নের চেষ্টা চালিয়ে যেত হবে।
শুষ্ক মৌসুমে সহজে মরে না অর্থাৎ পাইন প্রজাতির গাছ অধিক পরিমাণে লাগানো উচিত।
গাছ মরে গেলে যত শিগগির সম্ভব মরা গাছকে কেটে সরিয়ে ফেলা অথবা পুড়িয়ে ফেলা উচিত। কারণ মরা এবং দুর্বল গাছেই প্রথম পোকামাকড়ের উপদ্রব দেখা দেয়। মূল গাছের সুস্বাস্থ্যের জন্য ঝোপঝাড়, লতাগুল্ম ও আগাছা নিয়মিতভাবে পরিষ্কার করে রাখা উচিত। পোকার আক্রমণ থেকে গাছকে রক্ষার জন্য গাছের কাটা অংশ স্বচ্ছ প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে রাখা উচিত। গাছের চারা বেশি ঘন হলে কিছু চারা উপড়ে ফেলে বনকে হালকা করে দেওয়া উচিত। যাতে গাছগুলোর গায়ে সহজে আলো-বাতাস লাগে। গাছের মরা ডাল সবসময় কেটে-ছেঁটে পুড়িয়ে ফেলা উচিত। মাটির আর্দ্রতা রক্ষার জন্য বাড়তি গাছ ও অগাছা তুলে ফেলে দেওয়া জরুরি। বৃষ্টি কম হলে পানি সেচের ব্যবস্থা রাখা দরকার। গাছের গোড়ায় মাটিতে বেশি কোদাল চালানো ঠিক নয়, কারণ মাটির নিচে প্রথম এক-দুই ফুটের মধ্যেই থাকে গাছের সব শিকড়। শিকড় কাটা পড়লে গাছ মরবে অথবা দুর্বল হবে। শুষ্ক মৌসুমে গাছের গোড়ায় সার দেবেন না। এতে গাছের পানির চাহিদা বেড়ে যায় অনেক গুণে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না পেলে গাছের জীবনীশক্তি বাড়ার বদলে কমে যাবে।
আবু এনএম ওয়াহিদ :অধ্যাপক, টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটি
এডিটর : জার্নাল অব ডেভেলপিং এরিয়াজ
awahid2569@gmail.com
No comments