বিশ্ববাজারে ভারতের চালের সরবরাহ বাড়ছে-তুলনামূলকভাবে বাংলাদেশে দাম কম :ড. মাহবুব হোসেন by জাকির হোসেন
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চাল উৎপাদনকারী দেশ ভারতে বাম্পার ফলন হওয়ায় এ বছর তাদের চাল রফতানি দ্বিগুণ হতে পারে। প্রধান চাল সরবরাহকারী দেশ থাইল্যান্ডে বন্যা হওয়ায় বিশ্ববাজারে সম্ভাব্য সরবরাহ ঘাটতি ভারত পুষিয়ে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। সর্বভারতীয় চাল রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, ভারত থেকে তুলনামূলক বেশি রফতানি বিশ্ববাজারে চালের দাম কম রাখবে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বার্তা সংস্থা ব্লুমবার্গ গতকাল এ খবর প্রকাশ করেছে। ওই খবরের
ব্যাপারে মতামত জানতে চাইলে কৃষি অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ ও ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক ড. মাহবুব হোসেন সমকালকে বলেন, ভারত থেকে রফতানি বাড়লেও আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম তেমন কমবে বলে মনে হয় না। এ ছাড়া বর্তমানে বাংলাদেশে চালের দাম আন্তর্জাতিক বাজার এবং ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারের তুলনায় কম।
গত অর্থবছরে ভারতের চাল রফতানির পরিমাণ ছিল ২২ লাখ টন। সর্বভারতীয় চাল রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিজয় শেঠি জানিয়েছেন, চলতি অর্থবছরে (এপ্রিল ২০১১-মার্চ ২০১২) তাদের চাল রফতানি ৬০ লাখ টন হতে পারে। গত সেপ্টেম্বরে নন-বাসমতী চাল রফতানিতে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর এ পর্যন্ত ওই চাল রফতানি হয়েছে ১৮ লাখ টন। গত সপ্তাহে ভারতের খাদ্যমন্ত্রী কে ভি টমাস বলেছেন, অভ্যন্তরীণ বাজারে সন্তোষজনক মজুদ থাকলে ভারত চাল রফতানি কমাবে না। ভারতের আলমন্ডজ কমোডিটিজ লিমিটেডের অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট অজয় জেইন ব্লুমবার্গকে বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত স্থানীয় বাজারে দাম বাড়ার আশঙ্কা না থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভারত চাল রফতানি বন্ধের কথা ভাববে না বলে তার মনে হয়। ভারতে চালের উৎপাদন খুব ভালো হয়েছে এবং বিশ্ববাজারে এর দাম স্থিতিশীল থাকবে।
বিশ্ববাজারের সাম্প্রতিক প্রবণতা ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে মতামত জানতে চাইলে ড. মাহবুব হোসেন সমকালকে বলেন, ভারত স্বাভাবিকভাবে বছরে ৫০ লাখ টন চাল রফতানি করে থাকে। গত অর্থবছর তাদের রফতানি ঐতিহাসিক ট্রেন্ডের তুলনায় অনেক কম ছিল। সেই দুর্বল ভিত্তির ওপর এবার শতাংশের হিসাবে অনেক প্রবৃদ্ধি দেখাবে। সুতরাং, দ্বিগুণ চাল রফতানি বলতে তাদের সাধারণ গড়ের তুলনায় অনেক বেশি রফতানি নয়। ভারতের বিশাল জনগোষ্ঠী এখনও গরিব। তাদের জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। সেদেশের সরকার চাইবে না নিজেদের বাজারে চালের দাম বাড়ূক। সেক্ষেত্রে রফতানির ক্ষেত্রে তারা রক্ষণশীল হতে পারে।
ড. মাহবুব হোসেন আরও বলেন, বিশ্ববাজারের তুলনায় বাংলাদেশে চালের দাম কম রয়েছে। ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারের চেয়েও বাংলাদেশের চালের দাম এ মুহূর্তে কম। বিশ্ববাজারে থাইল্যান্ড থেকে যে পরিমাণ সরবরাহ কমবে, অন্যরা তা পূরণ করতে পারবে কি-না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বাংলাদেশে ধানের দাম কৃষকের উৎপাদন খরচ বিবেচনায় কম রয়েছে। তার ধারণা, বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারি-মার্চের দিকে ধানের দাম বাড়বে। ফলে চালের দাম কিছুটা বাড়তে পারে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) প্রাক্কলন অনুযায়ী ২০১১ সালে বিশ্বে চালের উৎপাদন মাত্র ৩ শতাংশ বেড়ে ৪৮ কোটি টনে দাঁড়াবে। ভারত ২০১১-১২ মৌসুমে ১০ কোটি ২০ লাখ টন পরিমাণ রেকর্ড চাল উৎপাদন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে থাইল্যান্ডে সাম্প্রতিক বন্যায় চাল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চলতি বছর থাইল্যান্ড থেকে চাল রফতানি ৯০ লাখ টনে দাঁড়াতে পারে। বন্যার আগে ১ কোটি টন চাল রফতানির প্রাক্কলন ছিল। বিশ্ববাজারে বর্তমানে চালের দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায়
বাড়তি রয়েছে।
গত অর্থবছরে ভারতের চাল রফতানির পরিমাণ ছিল ২২ লাখ টন। সর্বভারতীয় চাল রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিজয় শেঠি জানিয়েছেন, চলতি অর্থবছরে (এপ্রিল ২০১১-মার্চ ২০১২) তাদের চাল রফতানি ৬০ লাখ টন হতে পারে। গত সেপ্টেম্বরে নন-বাসমতী চাল রফতানিতে তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর এ পর্যন্ত ওই চাল রফতানি হয়েছে ১৮ লাখ টন। গত সপ্তাহে ভারতের খাদ্যমন্ত্রী কে ভি টমাস বলেছেন, অভ্যন্তরীণ বাজারে সন্তোষজনক মজুদ থাকলে ভারত চাল রফতানি কমাবে না। ভারতের আলমন্ডজ কমোডিটিজ লিমিটেডের অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট অজয় জেইন ব্লুমবার্গকে বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত স্থানীয় বাজারে দাম বাড়ার আশঙ্কা না থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভারত চাল রফতানি বন্ধের কথা ভাববে না বলে তার মনে হয়। ভারতে চালের উৎপাদন খুব ভালো হয়েছে এবং বিশ্ববাজারে এর দাম স্থিতিশীল থাকবে।
বিশ্ববাজারের সাম্প্রতিক প্রবণতা ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে মতামত জানতে চাইলে ড. মাহবুব হোসেন সমকালকে বলেন, ভারত স্বাভাবিকভাবে বছরে ৫০ লাখ টন চাল রফতানি করে থাকে। গত অর্থবছর তাদের রফতানি ঐতিহাসিক ট্রেন্ডের তুলনায় অনেক কম ছিল। সেই দুর্বল ভিত্তির ওপর এবার শতাংশের হিসাবে অনেক প্রবৃদ্ধি দেখাবে। সুতরাং, দ্বিগুণ চাল রফতানি বলতে তাদের সাধারণ গড়ের তুলনায় অনেক বেশি রফতানি নয়। ভারতের বিশাল জনগোষ্ঠী এখনও গরিব। তাদের জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসছে। সেদেশের সরকার চাইবে না নিজেদের বাজারে চালের দাম বাড়ূক। সেক্ষেত্রে রফতানির ক্ষেত্রে তারা রক্ষণশীল হতে পারে।
ড. মাহবুব হোসেন আরও বলেন, বিশ্ববাজারের তুলনায় বাংলাদেশে চালের দাম কম রয়েছে। ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারের চেয়েও বাংলাদেশের চালের দাম এ মুহূর্তে কম। বিশ্ববাজারে থাইল্যান্ড থেকে যে পরিমাণ সরবরাহ কমবে, অন্যরা তা পূরণ করতে পারবে কি-না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। বাংলাদেশে ধানের দাম কৃষকের উৎপাদন খরচ বিবেচনায় কম রয়েছে। তার ধারণা, বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারি-মার্চের দিকে ধানের দাম বাড়বে। ফলে চালের দাম কিছুটা বাড়তে পারে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) প্রাক্কলন অনুযায়ী ২০১১ সালে বিশ্বে চালের উৎপাদন মাত্র ৩ শতাংশ বেড়ে ৪৮ কোটি টনে দাঁড়াবে। ভারত ২০১১-১২ মৌসুমে ১০ কোটি ২০ লাখ টন পরিমাণ রেকর্ড চাল উৎপাদন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে থাইল্যান্ডে সাম্প্রতিক বন্যায় চাল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চলতি বছর থাইল্যান্ড থেকে চাল রফতানি ৯০ লাখ টনে দাঁড়াতে পারে। বন্যার আগে ১ কোটি টন চাল রফতানির প্রাক্কলন ছিল। বিশ্ববাজারে বর্তমানে চালের দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায়
বাড়তি রয়েছে।
No comments