ভারতে কাঁচা পাট রপ্তানি ৫০০ গুণ বেড়েছে, ৫ বছরে দু’দেশের বাণিজ্য বৈষম্য বৃদ্ধি দ্বিগুণ
স্টাফ রিপোর্টার: হু হু করে কাঁচা পাট যাচ্ছে ভারতে। বাংলাদেশ থেকে কাঁচা পাট রপ্তানি ৫০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৫৪ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে পৃষ্ঠা ১৭ কলাম ৪
। অন্যদিকে তৈরী পোশাক রপ্তানি ছিল ৮ মিলিয়ন ডলার। সেটা আগের চেয়ে মাত্র তিন গুণ বেড়ে গত বছরের এপ্রিল-সেপ্টেম্বরে ২২ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে কাপড় রপ্তানি হয়েছে আরও ২৭ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু অন্য কোন রপ্তানিই কাঁচা পাটকে টেক্কা দিতে পারেনি।
গত ৪ঠা জানুয়ারি টাইমস অব ইন্ডিয়া ‘বাংলাদেশে ভারতের ৩ হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে ওই তথ্য দিয়ে বলেছে, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক রাজনৈতিকভাবে উন্নত হওয়ার কারণে বাণিজ্যিক সম্পর্কে তার বিরাট প্রভাব পড়ছে।’
বাংলাদেশে যারা পাট নিয়ে কাজ করেন তাদের অনেকেই ভারতে কাঁচাপাটমুখী রপ্তানি প্রবণতা বৃদ্ধিতে শঙ্কিত। বাণিজ্য বৈচিত্র্যকরণ বলতে কোন কিছুই ঘটছে না। আগের মতো সুপরিচিত কয়েকটি পণ্যকে ঘিরেই রপ্তানি চলছে। ভারতে কাঁচা পাট রপ্তানি নিয়ে সরকারি ও বিশেষজ্ঞ মহলেও দ্বিমত রয়েছে। ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে কাঁচা পাট রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হলে রপ্তানিকারকরা হৈ চৈ করায় তা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এমন নিষেধাজ্ঞা সম্প্রতিও জারি করা হয়েছিল। তবে ১৫ থেকে ২০ দিনের বেশি তা টেকেনি। রপ্তানি লবিস্টদের চাপে সরকার তা তুলে নেয়।
তবে পাট বিশেষজ্ঞরা ইদানীং জোর দিয়ে বলছেন, বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে বিএনপি আমলে আদমজী বন্ধের সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল না। কারণ ওই সিদ্ধান্তের পরে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ভারত ও চীনে নতুন বৃহৎ পাটকল চালু হয়েছে। বিশ্ববাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের কদর কমে গেছে বলে যারা যুক্তি দিয়েছিলেন তারাও এখন দেখছেন, ওই দুটি দেশ বিশ্ব পাট বাজারের বড় খেলুড়ে হয়ে উঠেছে। ভারত এখন ‘বাংলাদেশী স্বর্ণ সূত্র’ আমদানি ও পাটজাত পণ্য তৈরি করে তা বিদেশে রপ্তানি করছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার গত ৪ঠা জানুয়ারির ওই প্রতিবেদন বলছে, ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি আগের চেয়ে ৮৫ ভাগ বাড়লেও বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানি সেভাবে বাড়েনি। অবশ্য ওয়াকিবহাল মহল বলেছেন, ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানির ঝুড়িটা বরাবরই তলানিতে ছিল। যখন শনৈঃ শনৈঃ উন্নতি হচ্ছে তখনও অবস্থাটা এই যে, বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানি প্রায় দেড় কোটি ডলার। আর ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি ধীরে ধীরে বাড়ছে। ২০০৬-০৭ সালে ছিল ২৮৯ মিলিয়ন ডলার। ৩৫৮ মিলিয়ন ডলার ছিল ২০০৭-০৮ সালে। ২০১০-২০১১ সালে বেড়ে এটা ৫০০ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের তিন বছরসহ গত পাঁচ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য বৈষম্য বাংলাদেশের প্রতিকূলে দ্বিগুণ হয়। ২০০৬-২০০৭ সালে দু’দেশের বাণিজ্য ঘাটতি ১৯৯৮.৫৮ মিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ২০১০-২০১১ সালে ৪,০৫৭ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়।
বাংলাদেশ ২০১০-২০১১ সালে ভারত থেকে ৪৫৭০ মিলিয়ন ডলার আমদানি করেছে। রপ্তানি করেছে ৫১২ মিলিয়ন ডলার। ২০০৯-২০১০ সালে ভারতীয় পণ্য আমদানি ও সেদেশে বাংলাদেশী পণ্য রপ্তানির হার ছিল যথাক্রমে ৩২০২ মিলিয়ন ডলার এবং ৩০৪ মিলিয়ন ডলার। ২০০৬-২০০৭ সালে বাংলাদেশের ভারতীয় পণ্য আমদানি ছিল ২২৬৮ মিলিয়ন ডলার।
। অন্যদিকে তৈরী পোশাক রপ্তানি ছিল ৮ মিলিয়ন ডলার। সেটা আগের চেয়ে মাত্র তিন গুণ বেড়ে গত বছরের এপ্রিল-সেপ্টেম্বরে ২২ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ সময়ে কাপড় রপ্তানি হয়েছে আরও ২৭ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু অন্য কোন রপ্তানিই কাঁচা পাটকে টেক্কা দিতে পারেনি।
গত ৪ঠা জানুয়ারি টাইমস অব ইন্ডিয়া ‘বাংলাদেশে ভারতের ৩ হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগ’ শীর্ষক এক প্রতিবেদনে ওই তথ্য দিয়ে বলেছে, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক রাজনৈতিকভাবে উন্নত হওয়ার কারণে বাণিজ্যিক সম্পর্কে তার বিরাট প্রভাব পড়ছে।’
বাংলাদেশে যারা পাট নিয়ে কাজ করেন তাদের অনেকেই ভারতে কাঁচাপাটমুখী রপ্তানি প্রবণতা বৃদ্ধিতে শঙ্কিত। বাণিজ্য বৈচিত্র্যকরণ বলতে কোন কিছুই ঘটছে না। আগের মতো সুপরিচিত কয়েকটি পণ্যকে ঘিরেই রপ্তানি চলছে। ভারতে কাঁচা পাট রপ্তানি নিয়ে সরকারি ও বিশেষজ্ঞ মহলেও দ্বিমত রয়েছে। ২০০৯ সালের ডিসেম্বরে কাঁচা পাট রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হলে রপ্তানিকারকরা হৈ চৈ করায় তা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এমন নিষেধাজ্ঞা সম্প্রতিও জারি করা হয়েছিল। তবে ১৫ থেকে ২০ দিনের বেশি তা টেকেনি। রপ্তানি লবিস্টদের চাপে সরকার তা তুলে নেয়।
তবে পাট বিশেষজ্ঞরা ইদানীং জোর দিয়ে বলছেন, বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে বিএনপি আমলে আদমজী বন্ধের সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল না। কারণ ওই সিদ্ধান্তের পরে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ভারত ও চীনে নতুন বৃহৎ পাটকল চালু হয়েছে। বিশ্ববাজারে পাট ও পাটজাত পণ্যের কদর কমে গেছে বলে যারা যুক্তি দিয়েছিলেন তারাও এখন দেখছেন, ওই দুটি দেশ বিশ্ব পাট বাজারের বড় খেলুড়ে হয়ে উঠেছে। ভারত এখন ‘বাংলাদেশী স্বর্ণ সূত্র’ আমদানি ও পাটজাত পণ্য তৈরি করে তা বিদেশে রপ্তানি করছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার গত ৪ঠা জানুয়ারির ওই প্রতিবেদন বলছে, ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি আগের চেয়ে ৮৫ ভাগ বাড়লেও বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানি সেভাবে বাড়েনি। অবশ্য ওয়াকিবহাল মহল বলেছেন, ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানির ঝুড়িটা বরাবরই তলানিতে ছিল। যখন শনৈঃ শনৈঃ উন্নতি হচ্ছে তখনও অবস্থাটা এই যে, বাংলাদেশে ভারতের রপ্তানি প্রায় দেড় কোটি ডলার। আর ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি ধীরে ধীরে বাড়ছে। ২০০৬-০৭ সালে ছিল ২৮৯ মিলিয়ন ডলার। ৩৫৮ মিলিয়ন ডলার ছিল ২০০৭-০৮ সালে। ২০১০-২০১১ সালে বেড়ে এটা ৫০০ মিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের তিন বছরসহ গত পাঁচ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য বৈষম্য বাংলাদেশের প্রতিকূলে দ্বিগুণ হয়। ২০০৬-২০০৭ সালে দু’দেশের বাণিজ্য ঘাটতি ১৯৯৮.৫৮ মিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে ২০১০-২০১১ সালে ৪,০৫৭ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়।
বাংলাদেশ ২০১০-২০১১ সালে ভারত থেকে ৪৫৭০ মিলিয়ন ডলার আমদানি করেছে। রপ্তানি করেছে ৫১২ মিলিয়ন ডলার। ২০০৯-২০১০ সালে ভারতীয় পণ্য আমদানি ও সেদেশে বাংলাদেশী পণ্য রপ্তানির হার ছিল যথাক্রমে ৩২০২ মিলিয়ন ডলার এবং ৩০৪ মিলিয়ন ডলার। ২০০৬-২০০৭ সালে বাংলাদেশের ভারতীয় পণ্য আমদানি ছিল ২২৬৮ মিলিয়ন ডলার।
No comments