কলাপাড়া-তারিকাটা সড়ক ৪ শতাধিক গাছ কেটে নিচ্ছে প্রভাবশালীরা

লাপাড়ার নিশানবাড়িয়া-তারিকাটা সড়কের দু'পাশে গাছ নিধনের মহোৎসব শুরু হয়েছে। গত তিন দিনে সড়কের গামুরবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তারিকাটা বাজার পর্যন্ত চার কিলোমিটার রাস্তার বিভিন্ন প্রজাতির কয়েকশ' গাছ কেটে নিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের নিশানবাড়িয়া-তারিকাটা সড়কের গামুরবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে তারিকাটা বাজার পর্যন্ত ৩ দশমিক ৮৫


কিলোমিটার কার্পেটিং সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু করেছে এলজিইডি। সড়কের উভয়পাশে মেহগনি, চাম্বল, তাল ও খেজুরসহ প্রায় চারশ' গাছ রয়েছে। কিন্তু গত তিন দিন ধরে স্থানীয় প্রভাবশালীরা সড়কের নির্মাণ কাজের সুুযোগ নিয়ে এসব গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সরেজমিন দেখা যায়, ২৫-৩০ জন শ্রমিক গাছ কাটছেন। গাছ কাটা তদারকির দায়িত্বে
থাকা চাকামইয়া ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ফারুক হাওলাদার বলেন, আমিসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কয়েকজন মিলে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে গাছ নিলামে নিয়েছি।
তারিকাটা বাজারের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, শুনেছি এসব গাছ নাকি মাত্র ৫০ হাজার টাকায় ইউনিয়ন পরিষদ বিক্রি করে দিয়েছে। অথচ প্রতি গাছের দাম হবে ২-৩ হাজার টাকা।
এ ব্যাপারে চাকামইয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির কেরামত বলেন, পরিষদ থেকে একশ' গাছ নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। তাও যেসব জায়গায় রাস্তার কাজ করতে গাছ কাটার প্রয়োজন রয়েছে, কেবল সেই গাছ নিলামে দেওয়া হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগেই গাছগুলো লাগানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
কলাপাড়া বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা খন্দকার ইয়াকুব আলী জানান, এসব গাছ ইউনিয়ন পরিষদের লাগানো নয়। গাছ কাটার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলেও মন্তব্য করেন।
এ ছাড়া উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী প্রণব কুমার জানান, সড়কটির কাজ করতে দু'দিকের একটি গাছও কাটার প্রয়োজন নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

No comments

Powered by Blogger.