বছরের প্রথম বড় ধরনের দরপতন
দেশের শেয়ারবাজারে গতকাল সোমবার বড় ধরনের দরপতন ঘটেছে, যা বিনিয়োগকারীদের কাছে ছিল অপ্রত্যাশিত। এটি ছিল নতুন বছরের প্রথম বড় দরপতন। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক গতকাল এক দিনেই তিন শতাংশ বা ১৬৪ পয়েন্ট কমে গেছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক কমেছে প্রায় পৌনে তিন শতাংশ বা ৪১৯ পয়েন্ট। এ ছাড়া দুই বাজারে লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর
মধ্যে ডিএসইতে ৯৩ শতাংশ ও সিএসইতে ৯৪ শতাংশের দাম কমেছে। বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, সকালে লেনদেন শুরুর পর স্বাভাবিক ধারায় বাজারে কিছুটা মূল্য সংশোধন হলেও দুপুরের পর দ্রুতগতিতে শেয়ারের দাম ও মূল্যসূচক কমতে থাকে। এর ফলে বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। তাতে তালিকাভুক্ত বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ার ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়ে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, বিক্রেতা হিসেবে গতকালের বাজারে ব্যক্তিশ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ছিল সবচেয়ে বেশি।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি নিয়ে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার তথ্য-প্রতিবেদন এবং নতুন মুদ্রানীতিকে ঘিরে গতকাল বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা অনিশ্চয়তা ও ভীতি তৈরি হয়, যার প্রভাব বাজারচিত্রে ফুটে ওঠে।
সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়েরই এক প্রতিবেদনে দেশের বিদ্যমান অর্থনীতির সংকটের কথা তুলে ধরা হয়েছে। সংকটের জন্য ১৫টি কারণও তারা চিহ্নিত করেছে, যার মধ্যে টাকা ছাপিয়ে চাহিদা মেটানোর বিষয়টিও তুলে ধরে হয়।
এ ছাড়া রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আসিফ ইব্রাহীম উচ্চ মূল্যস্ফীতি, সরকারের উচ্চ ব্যয়েব্যাংক ঋণইত্যঅদি নিয়েউদ্বেগ প্রকাশকরেন। এসব খবর সোমবার দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচার করা হয়।
যোগাযোগ করা হলে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যখন আস্থার সংকট থাকে, তখন সামান্য কিছুতেই সেটি আরও নড়বড়ে হয়ে যায়। গত কয়েক দিন বাজারে ঊর্ধ্বগতি থাকলেও এ কথা বলা ঠিক হবে না যে, বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের পুরোপুরি আস্থা ফিরে এসেছে। বরং সরকারের নেওয়া নানা প্রণোদনা বা উদ্যোগেরই সুফল হিসেবে বাজার কয়েক দিন ঊর্ধ্বগতিতে ছিল। তাই যত দিন স্বাভাবিক ধারায় বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে না আসবে, তত দিন অস্বাভাবিক বা সামান্যতেই বাজারে উত্থান-পতন ঘটবে। তিনি আরও বলেন, দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির পরিপ্রেক্ষিতে আগামী মুদ্রানীতি আরও সংকোচনমূলক হবে—এটা অনুমান করা যায়। কিন্তু তাতে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ, বাজার এখনো বিনিয়োগযোগ্য অবস্থানে রয়েছে। ধৈর্য ধরে দীর্ঘমেয়াদে ভালো শেয়ারে বিনিয়োগ করলে তা থেকে মুনাফা আসবেই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, বিক্রেতা হিসেবে গতকালের বাজারে ব্যক্তিশ্রেণীর বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ ছিল সবচেয়ে বেশি।
বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি নিয়ে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার তথ্য-প্রতিবেদন এবং নতুন মুদ্রানীতিকে ঘিরে গতকাল বিনিয়োগকারীদের মধ্যে কিছুটা অনিশ্চয়তা ও ভীতি তৈরি হয়, যার প্রভাব বাজারচিত্রে ফুটে ওঠে।
সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়েরই এক প্রতিবেদনে দেশের বিদ্যমান অর্থনীতির সংকটের কথা তুলে ধরা হয়েছে। সংকটের জন্য ১৫টি কারণও তারা চিহ্নিত করেছে, যার মধ্যে টাকা ছাপিয়ে চাহিদা মেটানোর বিষয়টিও তুলে ধরে হয়।
এ ছাড়া রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আসিফ ইব্রাহীম উচ্চ মূল্যস্ফীতি, সরকারের উচ্চ ব্যয়েব্যাংক ঋণইত্যঅদি নিয়েউদ্বেগ প্রকাশকরেন। এসব খবর সোমবার দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রচার করা হয়।
যোগাযোগ করা হলে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যখন আস্থার সংকট থাকে, তখন সামান্য কিছুতেই সেটি আরও নড়বড়ে হয়ে যায়। গত কয়েক দিন বাজারে ঊর্ধ্বগতি থাকলেও এ কথা বলা ঠিক হবে না যে, বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের পুরোপুরি আস্থা ফিরে এসেছে। বরং সরকারের নেওয়া নানা প্রণোদনা বা উদ্যোগেরই সুফল হিসেবে বাজার কয়েক দিন ঊর্ধ্বগতিতে ছিল। তাই যত দিন স্বাভাবিক ধারায় বাজারের ওপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে না আসবে, তত দিন অস্বাভাবিক বা সামান্যতেই বাজারে উত্থান-পতন ঘটবে। তিনি আরও বলেন, দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির পরিপ্রেক্ষিতে আগামী মুদ্রানীতি আরও সংকোচনমূলক হবে—এটা অনুমান করা যায়। কিন্তু তাতে বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ, বাজার এখনো বিনিয়োগযোগ্য অবস্থানে রয়েছে। ধৈর্য ধরে দীর্ঘমেয়াদে ভালো শেয়ারে বিনিয়োগ করলে তা থেকে মুনাফা আসবেই।
No comments