‘সেনাবাহিনীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব নেই’
মানবজমিন ডেস্ক: বিচার বিভাগের সঙ্গে আমাদের কোন দ্বন্দ্ব নেই। দ্বন্দ্ব নেই সেনাবাহিনীর সঙ্গেও। জিও টেলিভিশনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি। তিনি এমন এক সময়ে এ কথা বললেন যখন মেমোগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে তার অনেকটা দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে বলে মিডিয়ায় খবর এসেছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এর মাধ্যমে তিনি সেনাবাহিনীর সঙ্গে নিজের দূরত্ব কমানোর চেষ্টা করছেন। ২০০৮ সালে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেয়ার পর এই মেমোগেট কেলেঙ্কারিতে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মুখে রয়েছে। চারদিকে আলোচনা তার সরকার টিকে থাকবে তো। ওদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা হুসাইন হাক্কানির বিষয়ে নজরদারি করছে। মেমোগেট কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্ত চলছে। পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট এই তদন্ত করছে। তিন মাস আগে মেমোগেট কেলেঙ্কারির তথ্য ফাঁস হয়। ওই সময় পাকিস্তানি ব্যবসায়ী মানসুর ইজাজ ফিনান্সিয়াল টাইমসে একটি কলামে লিখেছিলেন- পাকিস্তানের একজন সিনিয়র কূটনীতিক তাকে অনুরোধ করেছেন পেন্টাগনে একটি মেমো পাঠিয়ে দিতে। এতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী যাতে ক্ষমতা দখল না করে সে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রকে ওই অনুরোধ করেছিলেন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি। ওদিকে দেশে ফিরলেই আদালতে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফকে। কিন্তু তাতে তিনি পরোয়া করেন না। পাল্টা বলে দিয়েছেন, আগামী ২৫ অথবা ২৭শে জানুয়ারি তিনি দেশে ফিরবেন। ওদিকে প্রসিকিউটররা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, পারভেজ মোশাররফ দেশে পৌঁছামাত্র গ্রেপ্তার করা হবে। এর কারণ সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত বলে অভিযুক্ত হয়েছেন তাদের অনুপস্থিতিতে তাদের পলাতক ঘোষণা করেছে আদালত। এ হিসেবে মোশাররফ ফেরারি অথবা পলাতক। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার প্রসিকিউটর চৌধুরী জুলফিকার আলী বলেছেন, এ জন্যই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। পারভেজ মোশাররফ পাকিস্তান ছেড়ে গিয়ে দুবাই এবং লন্ডনে স্বেচ্ছা নির্বাসনে রয়েছেন। সেখান থেকে তিনি সারা বিশ্বের ৫০০ থেকে ৬০০ ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তানে ফিরবেন। অন্যদিকে তার দল অল পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এপিএমএল) নেতারা আজ শাহরে কাইডিনে র্যালি করার অনুমতি চেয়ে সিন্ধু হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। আদালত সে আবেদনে কি সাড়া দিয়েছে তা জানা যায়নি। ওদিকে ভারত বিরোধী কার্ড হিসেবে পারভেজ মোশাররফ এখন ইসরাইলি কার্ড চালতে চান। তিনি ইসরাইলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদি লবিতে তিনি ইসলামাবাদকে খুব কাছে নিয়ে যেতে পারবে। ইসরাইলি দৈনিক পত্রিকা হারেটজ’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন মন্তব্য করেছেন। পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এর নেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ বেলুচিস্তানে সেনা অভিযান বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। বেলুচিস্তানের সমস্যা সমাধানে তিনি ইসলামাবাদে সর্বদলীয় সম্মেলনের আহ্বান জানিয়েছেন। এর মাধ্যমে তিনি বেলুচিস্তানের সমস্যার পেছনে পারভেজ মোশাররফের শাসনযন্ত্রের কোন বীজ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে বলেছেন।
No comments