এক সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ১৫০০ কোটি টাকা
অর্থনৈতিক রিপোর্টার: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরতে শুরু করেছে। গত সপ্তাহের বেশির ভাগ কার্যদিবসেই দেশের দুই বাজারে সূচক বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণও। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন বেড়েছে ৮৫ শতাংশ বা ১৫০০ কোটি টাকার বেশি। গত সপ্তাহের মধ্যে তিন দিনেই ডিএসই’র সূচক বেড়েছে। আর কমেছে দুই কার্যদিবসে। বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন, উদ্যোক্তা-পরিচালকদের শেয়ার কেনার ঘোষণা দেয়ার পর থেকে বাজার পরিস্থিতি অব্যাহত বেড়েই চলছে।
গত সপ্তাহের বাজার বিশ্লেণে দেখা গেছে, এক সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩ হাজার ৪৫৯ কোটি ৮২ লাখ টাকার কিছু বেশি লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৮৭০ কোটি ৭ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ৫৮৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকার বেশি। মোট লেনদেনের ৯৩ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটিগরির শেয়ারের দখলে। ‘এ’ ক্যাটাগরির মোট ৩ হাজার ২৪০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বাকি ৬ শতাংশের কিছু বেশি লেনদেন হয় অন্য ক্যাটিগরির শেয়ারের।
বাজার সংশ্লিষ্টরা মতে, গত বছরের ভয়াবহ ধসের পর বাজারে মৌলিক একটি পরিবর্তন দেখা গেছে। এটি হলো ভাল কোম্পানির শেয়ারের হাতবদল। গত বছর যারা বেশি লোকসান করেছে তারা সবাই দুর্বল কোম্পানির শেয়ার কিনেছেন। কিন্তু এখন বিনিয়োগকারীরা আর দুর্বল কোম্পানির শেয়ার কিনছেন না, যার প্রমাণ গত সপ্তাহেও দেখা গেছে। মোট লেনদেনের ৯৩ শতাংশের বেশি ছিল ভাল মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির শেয়ার দর। সাবেক অর্থ উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলামও একই ধরনের মন্তব্য করেছেন। তিনি জানান, সিন্ডিকেট করে দুর্বল কোম্পানির দর বাড়ানো হয়। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শেয়ারবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ছে। ফলে লেনদেনের পরিমাণও প্রতিনিয়ত বাড়ছে। গত সপ্তাহে বেশির ভাগ শেয়ারের দর বৃদ্ধির কারণে ডিএসই’র সব ধরনের সূচকও বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই’র সাধারণ সূচক ২০৯ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এটি আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ বেশি। আগের সপ্তাহে ডিএসই’র সাধারণ সূচক বেড়েছিল ২৫ পয়েন্ট। গত সপ্তাহে ডিএসই-২০ সূচক ১০৮ পয়েন্ট এবং সার্বিক সূচক ১৭৭ পয়েন্ট বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই’র বাজার মূলধন কমেছে ৯ হাজার ২২০ কোটি টাকারও বেশি।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৭২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ২২২টির, কমেছে ৪৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে দুটি কোম্পানির শেয়ারের দর। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৭২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছিল ১৩২টির, কমেছে ১৩১টির এবং অপরিবর্তিত ছিল তিনটি কোম্পানির শেয়ারের দর।
এর আগে শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষায় গত বছরের ২৩শে নভেম্বর এসইসি স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ২০ দফা পদক্ষেপ ঘোষণা করে। এর মধ্যে স্বল্পমেয়াদি দশটি পদক্ষেপ ঘোষণা করা হয়। ওই দশ দফায় মূলত প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়। এর মধ্যে উল্লেযোগ্য হচ্ছে- ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি কোম্পানির (মার্চেন্ট ব্যাংক) মূলধন শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হবে না। শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা আরও বাড়াতে শেয়ারে ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগ সীমার আওতার বাইরে হিসাব করা। শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ উদ্ভূত কোন ক্ষতির জন্য প্রভিশন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে গেইন লস নেট অফ করে প্রভিশন সংরক্ষণ করা যাবে। উল্লেখ্য, আগে শুধু নেট লসকে বিবেচনায় নেয়া হতো। এসব বিষয়ে এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া মার্চেন্ট ব্যাংক ও অন্যান্য সাবসিডিয়ারি কোম্পানির মূলধন বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছে এসইসি।
এসব সুবিধা দেয়ার পর ব্যাংকগুলো তাদের বিনিয়োগ বাড়াতে শুরু করে। একই সঙ্গে উদ্যোক্তারাও শেয়ার কিনতে শুরু করেছেন। এ ছাড়া লাইফ ফান্ডের প্রায় ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেয় সংশ্লিষ্ট বীমা কোম্পানি ও তাদের সংগঠন। তবে বিনিয়োগের শর্ত হিসেবে মার্চেন্ট ব্যাংকিং লাইসেন্সসহ তিনটি দাবি করে তারা। এসব দাবি পূরণ না হওয়ায় তাদের বিনিয়োগ আসেনি। বিষয়টি এখনো সুরাহা হয়নি।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের ভিত্তিতে প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো- গ্রামীণফোন, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, ন্যাশনাল ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, আরএন স্পিনিং মিলস লিমিটেড, ফু-ওয়াং সিরামিক, কেয়া কসমেটিকস, বেক্সিমকো, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও আফতাব অটোমোবাইলস।
দর বাড়ার শীর্ষ ১০টি কোম্পানি হলো- কেঅ্যান্ডকিউ, প্রথম বিএসআরএস মিউচুয়াল ফান্ড, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস, ফিনিক্স ফিন্যান্স, ন্যাশনাল হাউজিং, বেক্সিমকো সিনথেটিকস, ইস্টার্ন ইন্সুরেন্স, আইসিবি ও ইউনাইটেড ইন্সুরেন্স।
অন্যদিকে গত সপ্তাহে দর কমার প্রধান ১০ কোম্পানি হলো- তৃতীয় আইসিবি মিউচুয়াল ফান্ড, ফার্মা এইডস, সপ্তম আইসিবি মিউচুয়াল ফান্ড, ইবিএল এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড, জুট স্পিনার্স, ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স, উসমানিয়া গ্যাস, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি লিমিটেড, জনতা ইন্সুরেন্স ও মিথুন নিটিং।
গত সপ্তাহের বাজার বিশ্লেণে দেখা গেছে, এক সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩ হাজার ৪৫৯ কোটি ৮২ লাখ টাকার কিছু বেশি লেনদেন হয়েছে। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৮৭০ কোটি ৭ লাখ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ১ হাজার ৫৮৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকার বেশি। মোট লেনদেনের ৯৩ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটিগরির শেয়ারের দখলে। ‘এ’ ক্যাটাগরির মোট ৩ হাজার ২৪০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। বাকি ৬ শতাংশের কিছু বেশি লেনদেন হয় অন্য ক্যাটিগরির শেয়ারের।
বাজার সংশ্লিষ্টরা মতে, গত বছরের ভয়াবহ ধসের পর বাজারে মৌলিক একটি পরিবর্তন দেখা গেছে। এটি হলো ভাল কোম্পানির শেয়ারের হাতবদল। গত বছর যারা বেশি লোকসান করেছে তারা সবাই দুর্বল কোম্পানির শেয়ার কিনেছেন। কিন্তু এখন বিনিয়োগকারীরা আর দুর্বল কোম্পানির শেয়ার কিনছেন না, যার প্রমাণ গত সপ্তাহেও দেখা গেছে। মোট লেনদেনের ৯৩ শতাংশের বেশি ছিল ভাল মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির শেয়ার দর। সাবেক অর্থ উপদেষ্টা এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলামও একই ধরনের মন্তব্য করেছেন। তিনি জানান, সিন্ডিকেট করে দুর্বল কোম্পানির দর বাড়ানো হয়। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শেয়ারবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ছে। ফলে লেনদেনের পরিমাণও প্রতিনিয়ত বাড়ছে। গত সপ্তাহে বেশির ভাগ শেয়ারের দর বৃদ্ধির কারণে ডিএসই’র সব ধরনের সূচকও বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই’র সাধারণ সূচক ২০৯ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এটি আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ বেশি। আগের সপ্তাহে ডিএসই’র সাধারণ সূচক বেড়েছিল ২৫ পয়েন্ট। গত সপ্তাহে ডিএসই-২০ সূচক ১০৮ পয়েন্ট এবং সার্বিক সূচক ১৭৭ পয়েন্ট বেড়েছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসই’র বাজার মূলধন কমেছে ৯ হাজার ২২০ কোটি টাকারও বেশি।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৭২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছে ২২২টির, কমেছে ৪৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে দুটি কোম্পানির শেয়ারের দর। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৭২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের মধ্যে দর বেড়েছিল ১৩২টির, কমেছে ১৩১টির এবং অপরিবর্তিত ছিল তিনটি কোম্পানির শেয়ারের দর।
এর আগে শেয়ারবাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থরক্ষায় গত বছরের ২৩শে নভেম্বর এসইসি স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি ২০ দফা পদক্ষেপ ঘোষণা করে। এর মধ্যে স্বল্পমেয়াদি দশটি পদক্ষেপ ঘোষণা করা হয়। ওই দশ দফায় মূলত প্রাতিষ্ঠানিক ও বিদেশী বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়। এর মধ্যে উল্লেযোগ্য হচ্ছে- ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি কোম্পানির (মার্চেন্ট ব্যাংক) মূলধন শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ হিসেবে গণ্য হবে না। শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ সীমা আরও বাড়াতে শেয়ারে ব্যাংকের দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগকে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগ সীমার আওতার বাইরে হিসাব করা। শেয়ারবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগ উদ্ভূত কোন ক্ষতির জন্য প্রভিশন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে গেইন লস নেট অফ করে প্রভিশন সংরক্ষণ করা যাবে। উল্লেখ্য, আগে শুধু নেট লসকে বিবেচনায় নেয়া হতো। এসব বিষয়ে এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া মার্চেন্ট ব্যাংক ও অন্যান্য সাবসিডিয়ারি কোম্পানির মূলধন বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছে এসইসি।
এসব সুবিধা দেয়ার পর ব্যাংকগুলো তাদের বিনিয়োগ বাড়াতে শুরু করে। একই সঙ্গে উদ্যোক্তারাও শেয়ার কিনতে শুরু করেছেন। এ ছাড়া লাইফ ফান্ডের প্রায় ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেয় সংশ্লিষ্ট বীমা কোম্পানি ও তাদের সংগঠন। তবে বিনিয়োগের শর্ত হিসেবে মার্চেন্ট ব্যাংকিং লাইসেন্সসহ তিনটি দাবি করে তারা। এসব দাবি পূরণ না হওয়ায় তাদের বিনিয়োগ আসেনি। বিষয়টি এখনো সুরাহা হয়নি।
গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের ভিত্তিতে প্রধান ১০টি কোম্পানি হলো- গ্রামীণফোন, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ, ন্যাশনাল ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক, আরএন স্পিনিং মিলস লিমিটেড, ফু-ওয়াং সিরামিক, কেয়া কসমেটিকস, বেক্সিমকো, মার্কেন্টাইল ব্যাংক ও আফতাব অটোমোবাইলস।
দর বাড়ার শীর্ষ ১০টি কোম্পানি হলো- কেঅ্যান্ডকিউ, প্রথম বিএসআরএস মিউচুয়াল ফান্ড, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং, রংপুর ডেইরি অ্যান্ড ফুড প্রোডাক্টস, ফিনিক্স ফিন্যান্স, ন্যাশনাল হাউজিং, বেক্সিমকো সিনথেটিকস, ইস্টার্ন ইন্সুরেন্স, আইসিবি ও ইউনাইটেড ইন্সুরেন্স।
অন্যদিকে গত সপ্তাহে দর কমার প্রধান ১০ কোম্পানি হলো- তৃতীয় আইসিবি মিউচুয়াল ফান্ড, ফার্মা এইডস, সপ্তম আইসিবি মিউচুয়াল ফান্ড, ইবিএল এনআরবি মিউচুয়াল ফান্ড, জুট স্পিনার্স, ডেল্টা লাইফ ইন্সুরেন্স, উসমানিয়া গ্যাস, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল রিফাইনারি লিমিটেড, জনতা ইন্সুরেন্স ও মিথুন নিটিং।
No comments