‘বন্দিদের অধিকার নেই তাই ফিরছি না’
স্টাফ রিপোর্টার: ফেসবুক ‘অপরাধে’ দণ্ডিত অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি ছাত্র মুহাম্মদ খন্দকার অস্ট্রেলীয় সরকারের কাছে নিরাপত্তার আবেদন
পৃষ্ঠা ৮ কলাম ৫
করেছেন। তিনি তার আবেদনে বলেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চ গত সোমবার তাকে আদালত অবমাননার দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়ার ঘটনার পরে তিনি তার জীবনের নিরাপত্তার ব্যাপারে ভীত।
৫ই জানুয়ারি দি অস্ট্রেলিয়ান পত্রিকার সাংবাদিক আমান্দা হডজ খন্দকারের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। গতকাল দি অস্ট্রেলিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট মতে এতে তিনি দাবি করেন, তিনি যে বাংলাদেশের আদালতে দণ্ডিত হয়েছেন তা গতকাল সংবাদপত্রের খবর পাঠ করে প্রথম জানতে পারেন।
‘আমি জানতাম না যে, ওইদিন আদালতে আমার শুনানির তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু আজ (৫ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশী সংবাদপত্রে আমার দণ্ডের খবর দেখে আমি জানতে পারলাম যে, এটা এই সপ্তাহে ধার্য ছিল। এবং আমাকে ইতিমধ্যেই দণ্ডিত করা হয়েছে। আর এখন বাংলাদেশ সরকার অস্ট্রেলিয়ার সরকারকে বলছেন যে, আমাকে এখান থেকে ফেরত পাঠানো হোক।’
খন্দকার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি পার্থে অবস্থিত কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পিএইচডি ডিগ্রির জন্য বৃত্তিপ্রাপ্ত। তিনি দি অস্ট্রেলিয়ানকে বলেন, ‘যা ঘটেছে তা নিয়ে আমি মর্মাহত। এমন একটি ছোট্ট ভুলের জন্য আমি আমার জীবন হারাতে চাই না। আমরা আমাদের ব্যক্তিগত অনুভূতি ও ভাব আমাদের বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আদান-প্রদান করতে সক্ষম থাকতে চাই। এ ধরনের ব্যক্তিগত অনুভূতি গণমাধ্যমে আপনার বিরুদ্ধে ব্যবহূত হতে পারে না।
আমান্ডা লিখেছেন, মি. খন্দকারের ঝামেলা শুরু হয় গত আগস্টে, যখন তার ফেসবুকে একটি সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে অনুভূতির কথা মিডিয়ায় ফাঁস হয়ে যায়। বাংলাদেশের নন্দিত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ দুর্ঘটনায় মারা গেলে খন্দকার তার ফেসবুকে শোক প্রকাশ করেছিলেন। এসময় তিনি হাজার হাজার চালকদের ভুয়া লাইসেন্স প্রদানের কথা বলে সরকারের নিন্দা করেন।
বাংলাদেশ আদালতের কর্মকর্তারা এ সপ্তাহে অভিযোগ করেন যে, তিনি তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অযোগ্য চালকদের লাইসেন্স দেয়ার কারণে তারেক মাসুদ নিহত হয়েছেন। অনেকেই মারা যাচ্ছেন, শেখ হাসিনার কেন মৃত্যু ঘটছে না?’
খন্দকার বলেন, ওই মন্তব্য তিনি তার হতাশা থেকে করেছেন তবে তা সীমিত লোকজনের উদ্দেশে। কিন্তু আদালত সেটিকে তার যথাপরিপ্রেক্ষিত ছাড়া আমলে নিয়েছেন। এবং সেটা ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরে তিনি তার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগীর কাছ থেকে জেনেছেন, হাইকোর্ট শেখ হাসিনাকে উপহাস করার জন্য তাকে কেন শাস্তি দেয়া হবে না সে জন্য তার এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর রুল জারি করেছেন।
‘আমি অনুভব করলাম যে, বাংলাদেশে আমার ফিরে যাওয়া উচিত। কিন্তু আমি আমার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লাম। আমার বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যরা আমাকে দেশে না ফিরতে পরামর্শ দিলেন।’
খন্দকার আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে বন্দিদের কোন অধিকার নেই। যথাসময়ে তাদের খাবার দেয়া হয় না। কখনও সরকারি বাহিনী জেলে তাদের নির্যাতন করে। এবং কারাগারেই তাদের মৃত্যু ঘটে। আমি মনে করি না যে, আমি সেখানে বাঁচতে পারবো। আমি অস্ট্রেলিয়ার সরকারের কাছে সাহায্য চাই। যাতে আমার মানবাধিকার ও আমার জীবন নিরাপদ থাকে। অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ৫ই জানুয়ারি বলেন, তিনি মিডিয়ায় যেটুকু এসেছে সেটুকু ছাড়া এই মামলা সম্পর্কে সামান্যই জানতেন। এবং প্রত্যর্পণ প্রশ্নে অস্ট্রেলিয়া সরকারকে অনুরোধ জানাতে তিনি বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে কোন নির্দেশনা পাননি। বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
পৃষ্ঠা ৮ কলাম ৫
করেছেন। তিনি তার আবেদনে বলেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একটি বেঞ্চ গত সোমবার তাকে আদালত অবমাননার দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়ার ঘটনার পরে তিনি তার জীবনের নিরাপত্তার ব্যাপারে ভীত।
৫ই জানুয়ারি দি অস্ট্রেলিয়ান পত্রিকার সাংবাদিক আমান্দা হডজ খন্দকারের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। গতকাল দি অস্ট্রেলিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট মতে এতে তিনি দাবি করেন, তিনি যে বাংলাদেশের আদালতে দণ্ডিত হয়েছেন তা গতকাল সংবাদপত্রের খবর পাঠ করে প্রথম জানতে পারেন।
‘আমি জানতাম না যে, ওইদিন আদালতে আমার শুনানির তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু আজ (৫ জানুয়ারি) সকালে বাংলাদেশী সংবাদপত্রে আমার দণ্ডের খবর দেখে আমি জানতে পারলাম যে, এটা এই সপ্তাহে ধার্য ছিল। এবং আমাকে ইতিমধ্যেই দণ্ডিত করা হয়েছে। আর এখন বাংলাদেশ সরকার অস্ট্রেলিয়ার সরকারকে বলছেন যে, আমাকে এখান থেকে ফেরত পাঠানো হোক।’
খন্দকার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনি পার্থে অবস্থিত কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পিএইচডি ডিগ্রির জন্য বৃত্তিপ্রাপ্ত। তিনি দি অস্ট্রেলিয়ানকে বলেন, ‘যা ঘটেছে তা নিয়ে আমি মর্মাহত। এমন একটি ছোট্ট ভুলের জন্য আমি আমার জীবন হারাতে চাই না। আমরা আমাদের ব্যক্তিগত অনুভূতি ও ভাব আমাদের বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আদান-প্রদান করতে সক্ষম থাকতে চাই। এ ধরনের ব্যক্তিগত অনুভূতি গণমাধ্যমে আপনার বিরুদ্ধে ব্যবহূত হতে পারে না।
আমান্ডা লিখেছেন, মি. খন্দকারের ঝামেলা শুরু হয় গত আগস্টে, যখন তার ফেসবুকে একটি সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে অনুভূতির কথা মিডিয়ায় ফাঁস হয়ে যায়। বাংলাদেশের নন্দিত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ দুর্ঘটনায় মারা গেলে খন্দকার তার ফেসবুকে শোক প্রকাশ করেছিলেন। এসময় তিনি হাজার হাজার চালকদের ভুয়া লাইসেন্স প্রদানের কথা বলে সরকারের নিন্দা করেন।
বাংলাদেশ আদালতের কর্মকর্তারা এ সপ্তাহে অভিযোগ করেন যে, তিনি তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অযোগ্য চালকদের লাইসেন্স দেয়ার কারণে তারেক মাসুদ নিহত হয়েছেন। অনেকেই মারা যাচ্ছেন, শেখ হাসিনার কেন মৃত্যু ঘটছে না?’
খন্দকার বলেন, ওই মন্তব্য তিনি তার হতাশা থেকে করেছেন তবে তা সীমিত লোকজনের উদ্দেশে। কিন্তু আদালত সেটিকে তার যথাপরিপ্রেক্ষিত ছাড়া আমলে নিয়েছেন। এবং সেটা ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরে তিনি তার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগীর কাছ থেকে জেনেছেন, হাইকোর্ট শেখ হাসিনাকে উপহাস করার জন্য তাকে কেন শাস্তি দেয়া হবে না সে জন্য তার এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর রুল জারি করেছেন।
‘আমি অনুভব করলাম যে, বাংলাদেশে আমার ফিরে যাওয়া উচিত। কিন্তু আমি আমার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়লাম। আমার বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সদস্যরা আমাকে দেশে না ফিরতে পরামর্শ দিলেন।’
খন্দকার আরও বলেন, ‘বাংলাদেশে বন্দিদের কোন অধিকার নেই। যথাসময়ে তাদের খাবার দেয়া হয় না। কখনও সরকারি বাহিনী জেলে তাদের নির্যাতন করে। এবং কারাগারেই তাদের মৃত্যু ঘটে। আমি মনে করি না যে, আমি সেখানে বাঁচতে পারবো। আমি অস্ট্রেলিয়ার সরকারের কাছে সাহায্য চাই। যাতে আমার মানবাধিকার ও আমার জীবন নিরাপদ থাকে। অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ৫ই জানুয়ারি বলেন, তিনি মিডিয়ায় যেটুকু এসেছে সেটুকু ছাড়া এই মামলা সম্পর্কে সামান্যই জানতেন। এবং প্রত্যর্পণ প্রশ্নে অস্ট্রেলিয়া সরকারকে অনুরোধ জানাতে তিনি বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে কোন নির্দেশনা পাননি। বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
No comments