সাফল্য-সাদা ফুলে রঙিন জীবন
ফুল ভালোবাসে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন। ফুলপ্রেমীদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয় গ্গ্নাডিওলাস এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ঢাকার ধামরাই উপজেলার ফুটনগর বংশী নদীর তীরে। এ ফুল চাষ বদলে দিয়েছে ফুলচাষি মোঃ আফসার উদ্দিনের জীবন। সাদা ফুলে এখন রঙিন জীবন তার। এলাকায় তার নাম ফুলরাজ। নিজেকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ফুলচাষি হিসেবে দাবি করেন এলাকায় ফুলরাজখ্যাত আফসার উদ্দিন (৪৬)। তিনি জানান, অসুস্থ হয়ে পড়ায়
অষ্টম শ্রেণীর গণ্ডিও পেরোতে পারেননি। এরপর ১৯৮৫ সালে ঠিকাদার হিসেবে মিরপুর চিড়িয়াখানায় খাদ্য সরবরাহের কাজ শুরু করেন। পাশেই বোটানিক্যাল গার্ডেনের ফুলবাগান দেখে আফসার উদ্দিনের আগ্রহ জাগে ফুলচাষের। ১৯৯০ সালে মানিকগঞ্জের বারইরচর গ্রামে প্রথমে গোলাপ চাষ শুরু করেন তিনি। শুরু করেছিলেন মাত্র দুই বিঘা জমিতে। এখন তা বেড়েছে ৭০ বিঘায়। পুরো জমিতেই এখন গ্গ্নাডিওলাস চাষ করছেন। তার বাগানে কাজ করেন ৪৫ শ্রমিক। বছরে তার লাভ হয় ছয় থেকে আট লাখ টাকা।
আফসার জানান, ফুল চাষ করে তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন। বাড়ি করেছেন ঢাকার মিরপুরে। স্ত্রী ও তিন সন্তানের সংসারে সুখেই আছেন তিনি।
আফসার উদ্দিন দুঃখ করে বলেন, ব্যাপক আকারে ফুলচাষ করে বিদেশে রফতানির উদ্দেশ্যে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার আবেদন জানিয়েছিলেন। কোনো সাড়া পাননি। তাছাড়া সরকারিভাবে ফুল বিক্রির জন্য কোনো মার্কেট বা বৈধ জায়গা না থাকায় ফুল বিক্রিতে নানা সমস্যায় পড়তে হয় তাদের। ফুলের বাগানে বিভিন্ন রোগ-বালাই দেখা দেয়। স্থানীয় কৃষি অফিসের কোনো সহায়তাও তিনি পান না। এ ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুস সালাম বলেন, ধামরাইয়ের ফুটনগরে
ব্যাপক ফুলের চাষ হচ্ছে তা আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে ফুলচাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা করবেন বলে জানান।
আফসার জানান, ফুল চাষ করে তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন। বাড়ি করেছেন ঢাকার মিরপুরে। স্ত্রী ও তিন সন্তানের সংসারে সুখেই আছেন তিনি।
আফসার উদ্দিন দুঃখ করে বলেন, ব্যাপক আকারে ফুলচাষ করে বিদেশে রফতানির উদ্দেশ্যে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার আবেদন জানিয়েছিলেন। কোনো সাড়া পাননি। তাছাড়া সরকারিভাবে ফুল বিক্রির জন্য কোনো মার্কেট বা বৈধ জায়গা না থাকায় ফুল বিক্রিতে নানা সমস্যায় পড়তে হয় তাদের। ফুলের বাগানে বিভিন্ন রোগ-বালাই দেখা দেয়। স্থানীয় কৃষি অফিসের কোনো সহায়তাও তিনি পান না। এ ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুস সালাম বলেন, ধামরাইয়ের ফুটনগরে
ব্যাপক ফুলের চাষ হচ্ছে তা আমার জানা নেই। খোঁজখবর নিয়ে ফুলচাষিদের সব ধরনের সহযোগিতা করবেন বলে জানান।
No comments