প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ: বলের কারণে ইনজুরি আতঙ্কে ক্রিকেটাররা
স্পোর্টস রিপোর্টার: বাংলাদেশ ক্রিকেটের সঙ্গে বিড়ম্বনা শব্দটি এখন ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রতিদিনই কোন না কোন বিষয়েই থাকছে বিড়ম্বনা। আর এই বিড়ম্বনার নাম কখনও ক্রিকেটার, কখনও কর্মকর্তা, মাঠ, স্পন্সর আবার কখনও বলও। এই মওসুমে চলতে থাকা ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে অনেক বিড়ম্বনার সঙ্গে আরেকটি নাম যুক্ত হয়েছে বল। এবার প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ খেলা হচ্ছে ‘এসজি’ বল দিয়ে। আর এই বল নিয়ে আপত্তি উঠেছে ক্রিকেটারদের মধ্যেই। ৪ঠা জানুয়ারি প্রাইম ধলেশ্বরের বিপক্ষে নিজের বলে ক্যাচ ধরতে গিয়ে আবাহনীর ইলিয়াস সানির হাত ফেটে রক্ত ঝরেছে। তিনি এই ইনজুরির কারণে খেলতে পারবেন না অন্তত ১০ দিন। তিনিই অভিযোগ করে বলেছেন, ‘এসজি বলটি আগের কুকাবুরা বলের চেয়ে অনেক শক্ত আর ভারিও বেশি। যে কারণেই বল ধরতে গিয়ে ঘটছে অঘটন।’ এই বল দিয়ে শুধু ইলিয়াস সানিই নয় আহত হয়েছেন আরও অনেক ক্রিকেটারই। গত ২৯শে জানুয়ারি লীগের উদ্বোধনী ম্যাচে ফিরতি ক্যাচ ধরতে গিয়ে আঙুল ফেটে যায় ব্রাদার্স ইউনিয়নের তাপস ঘোষের। সেই সঙ্গে ব্যথা পেয়েছেন জাতীয় দলের বাঁহাতি স্পিনার আবদুর রাজ্জাক। অন্যদিকে, শুধু বোলাররা নন, ফিল্ডিং করতে গিয়ে নিয়মিত সমস্যায় পড়ছেন ক্রিকেটাররা। আর বাদ পড়ছেন না ব্যাটসম্যানরাও। ৫ই জানুয়ারি ব্রাদার্সের পাকিস্তানি পেসার সোহেল তানভিরের বলে আঘাত পেয়েছেন শেখ জামালের মুশফিকুর রহিম এবং দীপক জুনও। কিন্তু এমন ঘটনার পরও কেন এই বল ব্যবহার হচ্ছে? তা জানতে চাইলে সিসিডিএমের সদস্য সচিব ইকবাল ইউসুফ চৌধুরী নিকু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে বলেছেন, ‘আমরা আগে যে বলটি ব্যবহার করতাম তার নাম কুকাবুরা, যা মানের কারণে অনেক দামী একটি বল। এর বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় নয় হাজার টাকা। তখন আমরা একটি বল ব্যবহার করতাম পুরো ৫০ ওভারের জন্য। আর কুকাবুরা বলটি মানের কারণে ৫০ ওভার খেলা যেতো। এখন আমাদের বল ব্যবহার করতে হয় ২টি। তাই খরচ কমাতে এখন আমরা এই বল ব্যবহার করছি। কারণ এসজি বলের বাজার মূল্য মাত্র ২৬শ’ টাকা। এবার লীগের কোন স্পন্সর না থাকার কারণে খরচ আমাদের কমাতে হবেই’। কিন্তু খরচ কমাতে গিয়ে ক্রিকেটাররা পড়ছেন ইনজুরির শঙ্কায়। আর এই অভিযোগ ক্রিকেটারদের পক্ষ থেকেই। তাহলে এই বিষয়টি কি বিবেচনায় নেবে না সিসিডিএম? এমন প্রশ্নের জবাবে নিকু জানিয়েছেন, ‘আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়েছি। আশা করি, অচিরেই এই বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারবো।’
No comments