এ মাসেই সংশোধিত এডিপি চূড়ান্ত হচ্ছে by জাহাঙ্গীর শাহ
টাকা খরচ করতে না পারায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ছোট করার সেই পুরোনো পথেই হাঁটছে সরকার। এবার নতুন অনুষঙ্গ হিসেবে যোগ হয়েছে বিদেশি প্রতিশ্রুতির অর্থপ্রবাহ কমে যাওয়া। ফলে একটু আগেভাগেই শুরু হয়েছে সংশোধিত এডিপি প্রণয়নের কাজ। অর্থবছর অর্ধেক পেরিয়ে চলতি জানুয়ারি মাসেই এডিপির আকার ছোট করে ফেলা হচ্ছে। সংশোধিত এডিপির আকার ৪০ থেকে ৪২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। সাধারণত ফেব্রুয়ারি
কিংবা মার্চ মাসে এডিপি সংশোধন করা হয়। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। চলতি ২০১১-১২ অর্থবছরে ৪৬ হাজার কোটি টাকার এডিপি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়ন হার সন্তোষজনক না হওয়ায় অন্যবারের মতো এবারও এডিপি কাটছাঁট করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে এবার বিদেশি সহায়তার অর্থ বেশি বাদ দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে চার হাজার ২৩৭ কোটি টাকা কমানোর প্রস্তাব করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)।
সংশোধিত এডিপি অনুমোদনের জন্য ২৪ জানুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
ইতিমধ্যে পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ অগ্রাধিকার প্রকল্প চিহ্নিত করেছে। এর পাশাপাশি প্রতিবছরের মতো সংশোধিত এডিপি প্রণয়নের কাজ চলছে।
গত ডিসেম্বর মাস থেকে এডিপি সংশোধনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম হাতে নেয় পরিকল্পনা কমিশন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছে অগ্রাধিকার প্রকল্পের তালিকা সংগ্রহ করেছে পরিকল্পনা কমিশন।
প্রকল্পগুলো নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে আন্তমন্ত্রণালয় প্রোগ্রামিং কমিটির বৈঠক করছে পরিকল্পনা কমিশন। এসব বৈঠকে বছরের বাকি সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব হবে, জানতে চাওয়ার পাশাপাশি অগ্রাধিকার প্রকল্প সম্পর্কে অভিমত নেওয়া হচ্ছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সংশোধিত এডিপির একটি খসড়া তৈরি করতে চায় কার্যক্রম বিভাগ। তবে সংশোধিত এডিপির আকার নির্ধারণ করবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বাধীন বাজেট ব্যবস্থাপনা কমিটি।
পরিকল্পনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ভুঁইয়া সফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, চলতি জানুয়ারি মাসেই সংশোধিত এডিপির কাজ শেষ হবে। এখন কার্যক্রম বিভাগ সংশোধিত এডিপি প্রণয়নের কাজ করছে। তবে বিদেশি সহায়তা কিংবা দেশজ সম্পদের পরিমাণ কিংবা আনুপাতিক হার জানাতে পারেননি তিনি।
দাতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা শেষে বিদেশি সহায়তার চার হাজার ২৩৭ কোটি টাকা কমানোর সুপারিশ করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। চলতি এডিপিতে বৈদেশিক সাহায্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল ১৮ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা। এখন তা কমিয়ে ১৪ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকায় নামিয়ে আনার সুপারিশ রয়েছে।
অন্যদিকে এডিপি বাস্তবায়নের জন্য দেশজ উৎস থেকে ২৭ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। তবে সংশোধিত এডিপিতে দেশজ উৎসের অর্থ থেকে বাদ না দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু সরকারের অর্থ জোগানের প্রবাহ কম থাকায় শেষ পর্যন্ত কিছু অর্থ কমানো হবে বলে পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
এবার প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) এডিপি বাস্তবায়ন পর্যালোচনা করে একটি অগ্রাধিকার প্রকল্পের তালিকা প্রণয়নের কাজে হাত দেয় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। ইতিমধ্যে সেই তালিকাও প্রণয়ন করেছে পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ।
কার্যক্রম বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবারের এডিপিতে এক হাজার ৩৯টি প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ৫৩৩টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মূলত বিদ্যুৎ, সড়ক ও অবকাঠামো খাতের প্রকল্পই এতে প্রাধান্য পেয়েছে। এরপর ৩৯২টি মাধ্যম অগ্রাধিকার ও ১১৪টি কম অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
উচ্চ অগ্রাধিকার প্রকল্প নির্বাচনের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ, চলতি অর্থবছরে শেষ হবে এবং বিদেশি সহায়তাপুষ্ট—এমন প্রকল্পগুলোই উচ্চ অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
সংশোধিত এডিপি বাস্তবায়নে কম অগ্রাধিকার প্রকল্পে বাদ না দিয়ে নামমাত্র বরাদ্দ দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হবে। আর অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোকে বরাদ্দ বাড়িয়ে দিয়ে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা হবে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) এডিপির মাত্র ২০ শতাংশ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। আলোচ্য সময়ে নয় হাজার ৩১৪ কোটি টাকা উন্নয়ন কর্মসূচিতে ব্যয় করা হয়েছে।
সংশোধিত এডিপি অনুমোদনের জন্য ২৪ জানুয়ারি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
ইতিমধ্যে পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ অগ্রাধিকার প্রকল্প চিহ্নিত করেছে। এর পাশাপাশি প্রতিবছরের মতো সংশোধিত এডিপি প্রণয়নের কাজ চলছে।
গত ডিসেম্বর মাস থেকে এডিপি সংশোধনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম হাতে নেয় পরিকল্পনা কমিশন। ইতিমধ্যে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছে অগ্রাধিকার প্রকল্পের তালিকা সংগ্রহ করেছে পরিকল্পনা কমিশন।
প্রকল্পগুলো নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে আন্তমন্ত্রণালয় প্রোগ্রামিং কমিটির বৈঠক করছে পরিকল্পনা কমিশন। এসব বৈঠকে বছরের বাকি সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কতটা সম্ভব হবে, জানতে চাওয়ার পাশাপাশি অগ্রাধিকার প্রকল্প সম্পর্কে অভিমত নেওয়া হচ্ছে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সংশোধিত এডিপির একটি খসড়া তৈরি করতে চায় কার্যক্রম বিভাগ। তবে সংশোধিত এডিপির আকার নির্ধারণ করবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বাধীন বাজেট ব্যবস্থাপনা কমিটি।
পরিকল্পনা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব ভুঁইয়া সফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, চলতি জানুয়ারি মাসেই সংশোধিত এডিপির কাজ শেষ হবে। এখন কার্যক্রম বিভাগ সংশোধিত এডিপি প্রণয়নের কাজ করছে। তবে বিদেশি সহায়তা কিংবা দেশজ সম্পদের পরিমাণ কিংবা আনুপাতিক হার জানাতে পারেননি তিনি।
দাতাদের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা শেষে বিদেশি সহায়তার চার হাজার ২৩৭ কোটি টাকা কমানোর সুপারিশ করেছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। চলতি এডিপিতে বৈদেশিক সাহায্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল ১৮ হাজার ৬৮৫ কোটি টাকা। এখন তা কমিয়ে ১৪ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকায় নামিয়ে আনার সুপারিশ রয়েছে।
অন্যদিকে এডিপি বাস্তবায়নের জন্য দেশজ উৎস থেকে ২৭ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। তবে সংশোধিত এডিপিতে দেশজ উৎসের অর্থ থেকে বাদ না দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু সরকারের অর্থ জোগানের প্রবাহ কম থাকায় শেষ পর্যন্ত কিছু অর্থ কমানো হবে বলে পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
এবার প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) এডিপি বাস্তবায়ন পর্যালোচনা করে একটি অগ্রাধিকার প্রকল্পের তালিকা প্রণয়নের কাজে হাত দেয় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। ইতিমধ্যে সেই তালিকাও প্রণয়ন করেছে পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগ।
কার্যক্রম বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এবারের এডিপিতে এক হাজার ৩৯টি প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ৫৩৩টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মূলত বিদ্যুৎ, সড়ক ও অবকাঠামো খাতের প্রকল্পই এতে প্রাধান্য পেয়েছে। এরপর ৩৯২টি মাধ্যম অগ্রাধিকার ও ১১৪টি কম অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
উচ্চ অগ্রাধিকার প্রকল্প নির্বাচনের ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ, চলতি অর্থবছরে শেষ হবে এবং বিদেশি সহায়তাপুষ্ট—এমন প্রকল্পগুলোই উচ্চ অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে।
সংশোধিত এডিপি বাস্তবায়নে কম অগ্রাধিকার প্রকল্পে বাদ না দিয়ে নামমাত্র বরাদ্দ দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা হবে। আর অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোকে বরাদ্দ বাড়িয়ে দিয়ে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা হবে।
চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে (জুলাই-নভেম্বর) এডিপির মাত্র ২০ শতাংশ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। আলোচ্য সময়ে নয় হাজার ৩১৪ কোটি টাকা উন্নয়ন কর্মসূচিতে ব্যয় করা হয়েছে।
No comments