ঢাকা শিশু হাসপাতাল by আহমেদ শুভ
১৫ জানুয়ারি দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে ঢাকা শিশু হাসপাতালের ৩নং ওয়ার্ডের সামনে দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন বরিশাল থেকে আসা সুমন মিয়া। সুমন মিয়া কাঁদছিলেন আর এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করছিলেন। তার ৪ দিন বয়সী নবজাতকের খাদ্যনালিতে ইনফেকশন হয়েছে। একটু আগে হাসপাতালের এক ডাক্তার বলে গেছেন, শিশুটিকে অপারেশন থিয়েটারে নিতে হবে। নার্সদের কাছে কয়েকবার ধমক খেয়েও থামেননি সুমন মিয়া। কারণ কোনো বাবাই চান না চোখের সামনে
তার সন্তান মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ূক। অবশেষে এক ডাক্তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করলে শান্ত হন সুমন মিয়া। শুধু সুমন মিয়াই নয়, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো অভিভাবক তাদের নবজাতককে নিয়ে ছুটে আসেন এই হাসপাতালে। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, নবজাতকদের মধ্যে সাধারণত প্রি-ম্যাচিউরিটি, সেফটিসেমিয়া ও জন্মের প্রথম মিনিটে চিৎকার না দেওয়া রোগীর সংখ্যাই বেশি। হাসপাতালের ডাক্তারদের চিকিৎসা সেবা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও কিছু নার্সের বিরুদ্ধে রোগীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া যায়। ফরিদপুর থেকে আসা এক নবজাতকের মা জানান, ৪ দিনের শিশুকে নিয়ে এখানে ভর্তি হয়েছেন। তিনি সিজারের রোগী। তার নড়াচড়া করতে কষ্ট হয়। কিন্তু তার সঙ্গে কেউ থাকতে চাইলে কিছু নার্স খুবই দুর্ব্যবহার করে। শিশু হাসপাতাল হিসেবে যা মোটেও কাম্য নয়। এখানকার কিছু সিকিউরিটি গার্ডের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ করেন কয়েকজন নবজাতকের স্বজন। কুমিল্লা থেকে নাতির চিকিৎসার জন্য আসা হাফিজ তালুকদার জানান, ঢোকার সময় তাদের জনপ্রতি ২০ টাকা করে দিতে হয়। কিন্তু এ অভিযোগ অস্বীকার করলেন সিকিউরিটি সুপারভাইজার সাবি্বর আহম্মেদ। তিনি জানান, 'নিয়ম অনুযায়ী পাস দেখে ভেতরে ঢোকানো হয়, কারও কাছ থেকে কোনো টাকা নেওয়া হয় না।'
অন্যান্য হাসপাতালের তুলনায় এ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা ভালো বলেই জানালেন অধিকাংশ রোগীর অভিভাবক। এ ধরনের হাসপাতাল দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে প্রয়োজন বলেও জানান প্রায় সব শিশু রোগীর অভিভাবক। এ বিষয়ে এ হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা মুমূর্ষু নবজাতকরা আমাদের কাছে এসে পেঁৗছানোর আগেই মারা যায়। কেননা নবজাতকরা আমাদের মতো খাদ্য জমা রাখতে পারে না শরীরে। ফলে তারা রাস্তায়ই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এ জন্য প্রতিটি জেলা পর্যায়ে এ ধরনের হাসপাতাল থাকলে ভালো হয় বলেও জানান তিনি। ঁ
অন্যান্য হাসপাতালের তুলনায় এ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা ভালো বলেই জানালেন অধিকাংশ রোগীর অভিভাবক। এ ধরনের হাসপাতাল দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে প্রয়োজন বলেও জানান প্রায় সব শিশু রোগীর অভিভাবক। এ বিষয়ে এ হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, দেশের দূর-দূরান্ত থেকে আসা মুমূর্ষু নবজাতকরা আমাদের কাছে এসে পেঁৗছানোর আগেই মারা যায়। কেননা নবজাতকরা আমাদের মতো খাদ্য জমা রাখতে পারে না শরীরে। ফলে তারা রাস্তায়ই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এ জন্য প্রতিটি জেলা পর্যায়ে এ ধরনের হাসপাতাল থাকলে ভালো হয় বলেও জানান তিনি। ঁ
No comments