বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক কূটনীতি চাইছে ভারত
স্টাফ রিপোর্টার: দিল্লি অবশেষে ঢাকার সঙ্গে ওয়াটার ডিপ্লোমেসি (পানি কূটনীতি) পরিত্যক্ত করে ইকোনমিক ডিপ্লোমেসি (অর্থনৈতিক কূটনীতি) ঘোষণা করতে চলেছে। ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। তিনি বাংলা-ভারত নতুন সম্পর্কের একজন মুখ্য রূপকারও বটে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে তিনি নানা বিষয়ে দরকষাকষির কাজেও অভ্যস্ত। এর আগে তিনি পৃষ্ঠা ৫ কলাম ৫ কলকাতায় ভারতীয় বাণিজ্য নেতাদের বৈঠকে যুক্তি দিয়েছিলেন যে, বাংলাদেশের কাছ থেকে কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হবে। গিভ অ্যান্ড টেক ডেপ্লোমেসি করতে হবে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে তিনি আর তিস্তা চুক্তির কথা অন্তত প্রকাশ্যে মুখেই আনছেন না। গত ৫ই জানুয়ারি নয়া দিল্লিতে তিনি শিল্পপতিদের এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন। এ সময় তিনি তার কথায়, বাংলা-ভারত নতুন সম্পর্কের উচ্চতা অনেক বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে একটি সিঙ্গেল মার্কেট গঠনের রূপরেখা তুলে ধরেন। গতকাল দি টেলিগ্রাফে প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয়েছে, পি চিদাম্বরম বলেছেন, হাতে হাত মিলিয়ে সীমান্তের দু’ধারে বাণিজ্য সম্প্রসারিত করার বিরাট সুযোগ আছে। আমি মনে করি, ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশ ও ভারতকে একটি একক বাজার হিসেবে গণ্য করতে পারেন। এটা হবে এমন একটি বাজার, যেখানে গুডস এবং সার্ভিসেস উৎপন্ন, ব্যবসায় ও বিনিময় করা সম্ভব হবে। সে কারণে বাংলাদেশকে ভারত একটি গিফট দিতে খুবই উৎসাহী। সেই গিফট হলো, বাংলাদেশকে মোস্ট প্রেফার্ড নেশন স্ট্যাটাস দেয়া। যাতে দুই দেশ সীমান্ত বাণিজ্য গড়ে তুলতে পারে। এর ফলে দু’দেশের বাণিজ্য হবে প্রায় শুল্কমুক্ত। পি চিদাম্বরম বলেন, দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের বিরাট উন্নতি সাধিত হয়েছে। আমি সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তার দূরদর্শিতা ও স্টেটসম্যানশিপ বা রাষ্ট্রনায়কত্ব প্রদর্শনের জন্য শ্রদ্ধা নিবেদন করি। অতীতের যে কোন সময়ের তুলনায় বাংলাদেশ ভারতের এখন এতটাই ঘনিষ্ঠ। আমরা হয়তো এতটাই কাছাকাছি এসেছি যে, যার সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীন হওয়ার দিনটির সঙ্গে তুলনা করা চলে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ গ্যাস সম্পদ দ্বারা আশীর্বাদপ্রাপ্ত। আর ভারতের রয়েছে উদ্যোক্তা ও পুঁজি। পি চিদাম্বরম বলেন, ‘ভারতের অর্থনীতি বাংলাদেশের চেয়ে বহুগুণ বেশি। সুতরাং এটা নয়া দিল্লির দায়িত্ব বাংলাদেশকে তার বাজারে প্রবেশাধিকার দেয়া।’ টাটা’র ন্যানো আসছে: ভারতের বহুল আলোচিত কম দামের মিনিকার ন্যানো বাংলাদেশে রপ্তানির খবর দিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। গত ৬ই জানুয়ারি পত্রিকাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, টাটা মোটরসের এমডি পি.এম. তেলাঙ গত শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, টাটা তার ন্যানো গাড়ি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় রপ্তানি করার পরিকল্পনা করেছে। আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে টাটা বিদেশে ন্যানো তৈরির দ্বিতীয় বৈদেশিক কারখানা স্থাপনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে। তবে সেটা কোন দেশে তার নাম উল্লেখ করা হয়নি। বর্তমানে তাদের দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি কারখানা রয়েছে।
No comments