খালেদা জিয়ার উদ্দেশে শেখ হাসিনা-বিদ্যুৎ উৎপাদন না বাড়ালে রোডমার্চে আলোকসজ্জা চলল কীভাবে
বিদ্যুৎ উৎপাদন না বাড়ালে রোডমার্চে আলোকসজ্জা চলল কীভাবেপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার ২০১৪ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নিরক্ষরমুক্ত করার পদক্ষেপ নিয়েছে। আওয়ামী লীগ টানা ক্ষমতায় থাকলে এ লক্ষ্য অর্জন হতো অনেক আগেই। বিরোধী দলের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে তারা ক্ষমতায় এসে শুধু শিক্ষা ক্ষেত্রে নয়, সব ক্ষেত্রেই দেশকে পেছনের দিকে নিয়ে গিয়েছিল। খালেদা জিয়ার বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, বিদ্যুতের
উৎপাদন না বাড়ালে তার রোডমার্চ উপলক্ষে সাত দিন ধরে চট্টগ্রামে আলোকসজ্জা চলল কীভাবে? তার সমাবেশ উপলক্ষে নাকি চট্টগ্রামে ২০টি ডিজিটাল স্ক্রিন বসানো হচ্ছে। এটাও ডিজিটাল বাংলাদেশের ফল।
গতকাল সোমবার সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে 'জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০১২'-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। খবর বাসস, বিডিনিউজের।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিক শিক্ষা পদক বিতরণ করেন। এবারের জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে_ 'জাতির জন্য অহঙ্কার, একশ ভাগ শিক্ষার হার'।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে প্রতিটি শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের প্রথম পর্যায় এবং তার সরকার
চায় প্রতিটি শিশু সু-আদর্শ ও নীতির ভিত্তিতে বেড়ে উঠুক। এ প্রসঙ্গে তিনি পঞ্চম শ্রেণীতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার কথা উল্লেখ করে বলেন, এ নতুন ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের শিক্ষালাভে অনুপ্রেরণা জোগানোর পাশাপাশি কচি বয়সে তারা অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার মানসিকতাও গড়ে তুলছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা ের ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে তার সরকার ক্ষমতায় আসার সময় শিক্ষার হার ছিল ৪৬ শতাংশ। তাদের পাঁচ বছরের দেশ পরিচালনায় এ হার ৬৫.৫ শতাংশে উন্নীত হয়। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোটের পরবর্তী পাঁচ বছরের শাসনামলে এ হার ৪৫ শতাংশে নেমে আসে। তিনি বলেন, বিগত তিন বছরে শিক্ষার হার পুনরায় বৃদ্ধি পেয়ে ৫৫ শতাংশ হয়েছে এবং তার সরকার ২০১৪ সালের মধ্যে দেশকে নিরক্ষরতামুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ডা. এম আফছারুল আমীনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে একই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এম মোতাহার হোসেন, সচিব একেএম আবদুল আউয়াল মজুমদার ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শ্যামল কান্তি ঘোষ বক্তৃতা করেন।
'বর্তমান সরকার প্রাথমিক পর্যায়ে শতভাগ শিক্ষার্থী ভর্তি নিশ্চিতের সঙ্গে সঙ্গে ছাত্র ও শিক্ষকের আনুপাতিক হারের ব্যবধান কমাতে প্রাথমিক স্তরে ৪৫ হাজার নতুন শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করেছে' উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এরই মধ্যে শূন্য ও নতুন পদে ৬০ হাজার ৯৪৩ শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং অবশিষ্ট পদগুলোতে নিয়োগের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
তিনি শিক্ষকদের প্রতি শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের প্রতি সহনশীল ও মনোযোগী হওয়ার পাশাপাশি দায়িত্ব এবং কর্তব্যে অবহেলা পরিহার ও শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট কোচিং বা টিউশনে প্রলুব্ধ না করার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে শিক্ষা বহির্ভূত কর্মকা ে কৃতিত্বের জন্য ২৪ শিক্ষার্থী এবং দেশে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে অবদানের জন্য ২২টি প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক ও কর্মচারীদের পদক দেন। তিনি শিশুকল্যাণ ট্রাস্টের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের চেক প্রদান করেন এবং রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক হস্তান্তর করেন।
মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, কূটনীতিক এবং প্রাথমিক শিক্ষা খাতে সহায়তা প্রদানকারী আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
গতকাল সোমবার সকালে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে 'জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ-২০১২'-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। খবর বাসস, বিডিনিউজের।
ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিক শিক্ষা পদক বিতরণ করেন। এবারের জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে_ 'জাতির জন্য অহঙ্কার, একশ ভাগ শিক্ষার হার'।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা হচ্ছে প্রতিটি শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের প্রথম পর্যায় এবং তার সরকার
চায় প্রতিটি শিশু সু-আদর্শ ও নীতির ভিত্তিতে বেড়ে উঠুক। এ প্রসঙ্গে তিনি পঞ্চম শ্রেণীতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার কথা উল্লেখ করে বলেন, এ নতুন ব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের শিক্ষালাভে অনুপ্রেরণা জোগানোর পাশাপাশি কচি বয়সে তারা অন্যদের সঙ্গে প্রতিযোগিতার মানসিকতাও গড়ে তুলছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকা ের ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে তার সরকার ক্ষমতায় আসার সময় শিক্ষার হার ছিল ৪৬ শতাংশ। তাদের পাঁচ বছরের দেশ পরিচালনায় এ হার ৬৫.৫ শতাংশে উন্নীত হয়। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোটের পরবর্তী পাঁচ বছরের শাসনামলে এ হার ৪৫ শতাংশে নেমে আসে। তিনি বলেন, বিগত তিন বছরে শিক্ষার হার পুনরায় বৃদ্ধি পেয়ে ৫৫ শতাংশ হয়েছে এবং তার সরকার ২০১৪ সালের মধ্যে দেশকে নিরক্ষরতামুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ডা. এম আফছারুল আমীনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে একই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এম মোতাহার হোসেন, সচিব একেএম আবদুল আউয়াল মজুমদার ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শ্যামল কান্তি ঘোষ বক্তৃতা করেন।
'বর্তমান সরকার প্রাথমিক পর্যায়ে শতভাগ শিক্ষার্থী ভর্তি নিশ্চিতের সঙ্গে সঙ্গে ছাত্র ও শিক্ষকের আনুপাতিক হারের ব্যবধান কমাতে প্রাথমিক স্তরে ৪৫ হাজার নতুন শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করেছে' উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এরই মধ্যে শূন্য ও নতুন পদে ৬০ হাজার ৯৪৩ শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং অবশিষ্ট পদগুলোতে নিয়োগের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
তিনি শিক্ষকদের প্রতি শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীদের প্রতি সহনশীল ও মনোযোগী হওয়ার পাশাপাশি দায়িত্ব এবং কর্তব্যে অবহেলা পরিহার ও শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট কোচিং বা টিউশনে প্রলুব্ধ না করার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে শিক্ষা বহির্ভূত কর্মকা ে কৃতিত্বের জন্য ২৪ শিক্ষার্থী এবং দেশে প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে অবদানের জন্য ২২টি প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক ও কর্মচারীদের পদক দেন। তিনি শিশুকল্যাণ ট্রাস্টের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের চেক প্রদান করেন এবং রেজিস্টার্ড বেসরকারি প্রাথমিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক হস্তান্তর করেন।
মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, কূটনীতিক এবং প্রাথমিক শিক্ষা খাতে সহায়তা প্রদানকারী আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
No comments