শেখ জামাল ১: ০ ভিক্টোরিয়া; শেখ রাসেল ৩: ০ অগ্রণী ব্যাংক-শেষ আটে জামাল-রাসেল
কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে গত বিজয় দিবসে হয়েছিল কনসার্ট। মাঠের বারোটা বাজানোর জন্য এটাই যথেষ্ট ছিল। এমনিতেই জায়গায় জায়গায় ঘাস নেই, মাঠও অসমতল। এরপর কাল সকালের বৃষ্টিতে মাঠে জমল পানি। এমন কাদামাঠেই হলো ফেডারেশন কাপের ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচ। আর দুর্বল ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে জিততে ঘাম ঝরল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের। পেশাদার লিগের চ্যাম্পিয়ন দলটিকে গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৮৪ মিনিট পর্যন্ত।
একমাত্র গোলটি করেছেন নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার আজোবা অ্যালেন। টানা দুই ম্যাচজয়ী শেখ জামাল ৬ পয়েন্ট নিয়ে আবাহনীর সঙ্গী কোয়ার্টার ফাইনালে।
ফিট ছিলেন না বলে গত ম্যাচে এভারটনকে কোচ সাইফুল বারী তুলে নিয়েছিলেন দ্বিতীয়ার্ধে। কাল মাঠেই নামাননি এই ব্রাজিলিয়ানকে। আগের ম্যাচে চোখে আঘাত পাওয়া কেস্টারও খেলেননি। তবে এই সুযোগে ক্যামেরুনের স্ট্রাইকার ইয়োকো এবং আউককে তিনি পরখ করে নিতে পেরেছেন। ঘাড়ে ব্যথা পাওয়ায় প্রধান গোলরক্ষক আমিনুলও খেলেছেন প্রথম ৪৫ মিনিট। দ্বিতীয়ার্ধে খেলেছেন পিয়ারুজ্জামান (পিরু)। শেখ জামাল ম্যাচের প্রথমার্ধে বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ পেলেও সেগুলো কাজে লাগাতে পারেনি। ১৫ মিনিটের মধ্যে দু-দুটি সুযোগ নষ্ট করেন কোমল ও ইয়োকা। বিদেশি-নির্ভর শেখ জামালের চেয়ে বরং কাল নজর কেড়েছে বিদেশিহীন ভিক্টোরিয়া। রক্ষণদুর্গ সামলে পাল্টা আক্রমণে তারা যে কয়েকটি সুযোগ পেয়েছে, সেগুলো থেকে গোল আসেনি শুধু স্ট্রাইকারদের অনভিজ্ঞতায়। ভিক্টোরিয়ার ডিফেন্ডার মনসুরের ভুলে ৮৪ মিনিটে ধারার বিপরীতে গোল পায় শেখ জামাল। বক্সের বাইরে দাঁড়ানো রাজুর ক্রস থেকে অ্যালেনের নিরীহ একটা হেডে বল ঢুকে যায় জালে।
৩ পয়েন্ট পেলেও নিজের দলের খেলায় খুশি নন কোচ সাইফুল বারী। উল্টো প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ভিক্টোরিয়াকে, ‘বিদেশি ছাড়াও ওরা চমৎকার খেলেছে।’ ভিক্টোরিয়ার কোচ জান-ই-আলমের কথা, ‘হারলেও খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সে আমি খুশি। আমরা গোল পাইনি শুধু অনভিজ্ঞতার কারণে।’
শেষ আটে শেখ রাসেল: বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দিনের অন্য ম্যাচে শেখ রাসেল ৩-০ গোলে হারিয়েছে অগ্রণী ব্যাংককে। ৩ মিনিটে শেখ রাসেলকে প্রথম আনন্দের উপলক্ষ এনে দেন ক্যামেরুনিয়ান স্ট্রাইকার সিয়ানকাম এমাকো। ৩৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ইউসুফ। ৫৯ মিনিটে অগ্রণীর কফিনে শেষ পেরেকটি ঠোকেন এমাকোই। দুই জয় নিয়ে ‘বড় ভাই’ শেখ জামালের সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেল শেখ রাসেলও।
No comments