ভারতের জন্য পার্থে ‘সবুজ সম্ভাষণ’!
পার্থে ভারতীয়দের টিম হোটেলটা ওয়াকার ঠিক পাশ ঘেঁষে। হোটেলে পৌঁছে কাল সবাই বিশ্রামে কাটিয়েছেন, বিকেলে খানিকটা জিম। যদি মিনিট পাঁচেক হেঁটে মাঠে যেতেন, নিশ্চিত শিউরে উঠতেন মহেন্দ্র সিং ধোনিরা। সবুজ উইকেট বোঝাতে অনেক সময়ই বলা হয়, ‘মাঠ থেকে উইকেট আলাদা করা মুশকিল।’ ওয়াকার উইকেটকে আলাদা করা যাচ্ছে, ধোনিদের শিউরে ওঠার কারণও এটাই। মাঠের চেয়ে উইকেট যে আরও বেশি সবুজ! চাইলে ইন্টারনেটে একটা ছবিও
দেখে নিতে পারেন তাঁরা, ওয়াকার উইকেটের সবুজ ঘাসে যত্ন করে হাত বুলাচ্ছেন কিউরেটর ক্যামেরন সাদারল্যান্ড।
ম্যাচ শুরু ১৩ জানুয়ারি, সামনের দুই দিনে এই ঘাস নিশ্চয়ই অনেক ছাঁটাই করা হবে। তার পরও যেটুকু থাকবে, ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের পিলে চমকানোর জন্য যথেষ্ট হবে সেটুকুও। সাদারল্যান্ড তো জানিয়েই দিয়েছেন, এবারের উইকেট হবে গত অ্যাশেজের উইকেটের মতো।
গত অ্যাশেজের পার্থের কথা ভুলে গেলে মনে করিয়ে দেওয়া যাক। দুঃস্বপ্নের ওই সিরিজে এই পার্থই একমাত্র সুখস্মৃতি উপহার দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। সিরিজে ওই একবারই ইংল্যান্ডকে দুবার গুটিয়ে দিতে পেরেছিল অস্ট্রেলিয়া, জিতেছিল ২৬৭ রানে। ইংল্যান্ড দুই ইনিংসে তুলেছিল ১৮৭ ও ১২৩ রান। ৯ উইকেট করে নিয়েছিলেন রায়ান হ্যারিস ও মিচেল জনসন।
একসময় বিশ্বের সবচেয়ে গতিময় বলা হতো পার্থের উইকেটকে। তবে গত বছরের আগে পার্থের সেই গতি আর বাউন্স যেন হারিয়ে গিয়েছিল। এখানে টানা দুটি টেস্ট হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছিল ৪১৪ রান তাড়া করে, উইকেট ছিল অনেকটাই ব্যাটিং সহায়ক। গত অ্যাশেজ থেকেই পার্থের উইকেটকে পুরোনো চেহারা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। অস্ট্রেলিয়া চার পেসার খেলানোর সম্ভাবনা বেশ গুরুত্ব দিয়েই ভাবছে। চোটের কারণে জেমস প্যাটিনসন থাকছেন না এই পেস স্বর্গে, তবে ফিরছেন অ্যাশেজের নায়ক হ্যারিস। চতুর্থ পেসার হিসেবে খেলতে পারেন মিচেল স্টার্ক।
একদিক থেকে ভারতের জন্য বড় অনুপ্রেরণাও এই পার্থ। গত সিরিজে ২-০-তে পিছিয়ে থেকে এখানেই একমাত্র ম্যাচটি জিতেছিল অনিল কুম্বলের দল। তবে ধোনিদের জন্য শঙ্কার কথাটাও শুনিয়েছেন কিউরেটর সাদারল্যান্ড, ‘এখানে ভারতের গত ম্যাচের চেয়ে ব্যাটিং করা এবার আরও কঠিন হবে। গতবারের চেয়ে বেশি বাউন্স ও গতি আশা করছি আমরা। গতবার ছিল দারুণ ক্রিকেট উইকেট, এবার পেস ও বাউন্স অন্তত ২০ শতাংশ বেশি হবে।’
এই উইকেটে খেলেই বেড়ে উঠেছেন মাইক হাসি। গত অ্যাশেজের ওই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন ঘরের মাঠে। তবে উইকেট নিয়ে বেশি মাথা ঘামাতে নারাজ মি. ক্রিকেট। ভারতীয়রা যথেষ্টই লড়াই করবে বলে ধারণা তাঁর, ‘ওদের অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছেন, নিজেদের ক্রিকেট নিয়ে ওরা গর্ব করে। আমি নিশ্চিত, ওরা ঘুরে দাঁড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। এই মাঠের সবশেষ টেস্টে জয়টাও নিশ্চয়ই ওদের আত্মবিশ্বাস জোগাবে।’
সিরিজ মাত্র মাঝপথে, তবে অনেকের চোখে ভাসতে শুরু করেছে ভারতের গত ইংল্যান্ড সফরের ছবি। তবে হাসির কথা, হোয়াইটওয়াশ নিয়ে মোটেও ভাবছেন না তাঁরা, ‘এটা নিয়ে আমাদের কোনো কথাই হয়নি। সিডনিতে অসাধারণ জয়টা আমরা উপভোগ করার চেষ্টা করেছি, এরপর ওই অধ্যায় স্রেফ বন্ধ করে দিয়েছি। সিরিজ ০-০ ধরে নিয়েই আমরা পার্থে নামব। আপাতত আমাদের লক্ষ্য এই ম্যাচ জিতে সিরিজ ৩-০ করা।’ ওয়েবসাইট।
ম্যাচ শুরু ১৩ জানুয়ারি, সামনের দুই দিনে এই ঘাস নিশ্চয়ই অনেক ছাঁটাই করা হবে। তার পরও যেটুকু থাকবে, ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের পিলে চমকানোর জন্য যথেষ্ট হবে সেটুকুও। সাদারল্যান্ড তো জানিয়েই দিয়েছেন, এবারের উইকেট হবে গত অ্যাশেজের উইকেটের মতো।
গত অ্যাশেজের পার্থের কথা ভুলে গেলে মনে করিয়ে দেওয়া যাক। দুঃস্বপ্নের ওই সিরিজে এই পার্থই একমাত্র সুখস্মৃতি উপহার দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। সিরিজে ওই একবারই ইংল্যান্ডকে দুবার গুটিয়ে দিতে পেরেছিল অস্ট্রেলিয়া, জিতেছিল ২৬৭ রানে। ইংল্যান্ড দুই ইনিংসে তুলেছিল ১৮৭ ও ১২৩ রান। ৯ উইকেট করে নিয়েছিলেন রায়ান হ্যারিস ও মিচেল জনসন।
একসময় বিশ্বের সবচেয়ে গতিময় বলা হতো পার্থের উইকেটকে। তবে গত বছরের আগে পার্থের সেই গতি আর বাউন্স যেন হারিয়ে গিয়েছিল। এখানে টানা দুটি টেস্ট হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছিল ৪১৪ রান তাড়া করে, উইকেট ছিল অনেকটাই ব্যাটিং সহায়ক। গত অ্যাশেজ থেকেই পার্থের উইকেটকে পুরোনো চেহারা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। অস্ট্রেলিয়া চার পেসার খেলানোর সম্ভাবনা বেশ গুরুত্ব দিয়েই ভাবছে। চোটের কারণে জেমস প্যাটিনসন থাকছেন না এই পেস স্বর্গে, তবে ফিরছেন অ্যাশেজের নায়ক হ্যারিস। চতুর্থ পেসার হিসেবে খেলতে পারেন মিচেল স্টার্ক।
একদিক থেকে ভারতের জন্য বড় অনুপ্রেরণাও এই পার্থ। গত সিরিজে ২-০-তে পিছিয়ে থেকে এখানেই একমাত্র ম্যাচটি জিতেছিল অনিল কুম্বলের দল। তবে ধোনিদের জন্য শঙ্কার কথাটাও শুনিয়েছেন কিউরেটর সাদারল্যান্ড, ‘এখানে ভারতের গত ম্যাচের চেয়ে ব্যাটিং করা এবার আরও কঠিন হবে। গতবারের চেয়ে বেশি বাউন্স ও গতি আশা করছি আমরা। গতবার ছিল দারুণ ক্রিকেট উইকেট, এবার পেস ও বাউন্স অন্তত ২০ শতাংশ বেশি হবে।’
এই উইকেটে খেলেই বেড়ে উঠেছেন মাইক হাসি। গত অ্যাশেজের ওই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন ঘরের মাঠে। তবে উইকেট নিয়ে বেশি মাথা ঘামাতে নারাজ মি. ক্রিকেট। ভারতীয়রা যথেষ্টই লড়াই করবে বলে ধারণা তাঁর, ‘ওদের অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছেন, নিজেদের ক্রিকেট নিয়ে ওরা গর্ব করে। আমি নিশ্চিত, ওরা ঘুরে দাঁড়াতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। এই মাঠের সবশেষ টেস্টে জয়টাও নিশ্চয়ই ওদের আত্মবিশ্বাস জোগাবে।’
সিরিজ মাত্র মাঝপথে, তবে অনেকের চোখে ভাসতে শুরু করেছে ভারতের গত ইংল্যান্ড সফরের ছবি। তবে হাসির কথা, হোয়াইটওয়াশ নিয়ে মোটেও ভাবছেন না তাঁরা, ‘এটা নিয়ে আমাদের কোনো কথাই হয়নি। সিডনিতে অসাধারণ জয়টা আমরা উপভোগ করার চেষ্টা করেছি, এরপর ওই অধ্যায় স্রেফ বন্ধ করে দিয়েছি। সিরিজ ০-০ ধরে নিয়েই আমরা পার্থে নামব। আপাতত আমাদের লক্ষ্য এই ম্যাচ জিতে সিরিজ ৩-০ করা।’ ওয়েবসাইট।
No comments