বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-শিক্ষার্থী ভর্তিতে বেশি টাকা আদায় by মানসুরা
শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে সরকারি নীতিমালা মানছে না রাজধানীর অধিকাংশ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সরকার-নির্ধারিত ফির দ্বিগুণ বা তারও বেশি টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে আগে নীতিমালা ছিল না। এ জন্য সরকার নীতিমালা করে দিয়েছে, যাতে অভিভাবকদের ওপর চাপ না পড়ে।’
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এ নীতিমালা না মানলে এবং এ বিষয়ে অভিভাবক বা বিভিন্ন সূত্র থেকে অভিযোগ পাওয়া গেলে, তদন্ত করে মন্ত্রণালয় যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
বর্তমানে বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির মৌসুম চলছে। কোথাও ভর্তি শেষ হয়েছে, কোথাও চলছে ভর্তির প্রক্রিয়া। এ অবস্থায় সরকারি বিদ্যালয়ের পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৪ ডিসেম্বর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির বিষয়েও একটি নীতিমালা জারি করে। নীতিমালা অনুযায়ী মফস্বল এলাকায় সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকল্যে ৫০০ টাকা, পৌর (উপজেলা) এলাকায় এক হাজার, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় দুই হাজার, ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মহানগরে তিন হাজার এবং ঢাকা মহানগরে পাঁচ হাজার টাকার বেশি হবে না।
কিন্তু নামীদামি বিদ্যালয়গুলো ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা আদায় করছে। সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অভিভাবকেরাও নীরবে এই টাকা গুনছেন।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জু আরা বেগম জানান, এবার বাংলা মাধ্যমে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তিতে নেওয়া হচ্ছে ১২ হাজার ২০০ টাকা। ইংরেজি সংস্করণে এ খরচ ১৩ হাজারের মধ্যে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী সর্বসাকল্যে পাঁচ হাজার টাকা নিলে প্রতিষ্ঠান চালানো সম্ভব হবে না। কেননা, প্রায় সাড়ে ৬০০ শিক্ষক ও কর্মচারীর মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী মাত্র ১১০ জন। তিনি বলেন, আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিষ্ঠানের ভর্তি-প্রক্রিয়া শেষ হবে।
জানা যায়, কিন্ডারগার্টেন, ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন বিদ্যালয়ে নিয়ম-কানুনের বালাই নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মা প্রথম আলোকে বলেন, রাজধানীর একটি বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে তাঁর এক সন্তানকে ভর্তির সময় লেগেছে ১৩ হাজার ২০০ টাকা। আরেক সন্তানকে কেজি শ্রেণীতে ভর্তি করতে লেগেছে সাড়ে ১৩ হাজার টাকা। এর বাইরে বিদ্যালয়ের পোশাক, বই-খাতাসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক জিনিস কিনতে লাগবে আরও কয়েক হাজার টাকা।
রাজধানীর বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি-প্রক্রিয়া প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু সন্তান প্রত্যাশিত বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পাওয়ায় অভিভাবকদের দৌড়ঝাঁপ চলছেই।
বর্তমানে বিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির মৌসুম চলছে। কোথাও ভর্তি শেষ হয়েছে, কোথাও চলছে ভর্তির প্রক্রিয়া। এ অবস্থায় সরকারি বিদ্যালয়ের পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয় ১৪ ডিসেম্বর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির বিষয়েও একটি নীতিমালা জারি করে। নীতিমালা অনুযায়ী মফস্বল এলাকায় সেশন চার্জসহ ভর্তি ফি সর্বসাকল্যে ৫০০ টাকা, পৌর (উপজেলা) এলাকায় এক হাজার, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় দুই হাজার, ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মহানগরে তিন হাজার এবং ঢাকা মহানগরে পাঁচ হাজার টাকার বেশি হবে না।
কিন্তু নামীদামি বিদ্যালয়গুলো ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা আদায় করছে। সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অভিভাবকেরাও নীরবে এই টাকা গুনছেন।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জু আরা বেগম জানান, এবার বাংলা মাধ্যমে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তিতে নেওয়া হচ্ছে ১২ হাজার ২০০ টাকা। ইংরেজি সংস্করণে এ খরচ ১৩ হাজারের মধ্যে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী সর্বসাকল্যে পাঁচ হাজার টাকা নিলে প্রতিষ্ঠান চালানো সম্ভব হবে না। কেননা, প্রায় সাড়ে ৬০০ শিক্ষক ও কর্মচারীর মধ্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারী মাত্র ১১০ জন। তিনি বলেন, আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রতিষ্ঠানের ভর্তি-প্রক্রিয়া শেষ হবে।
জানা যায়, কিন্ডারগার্টেন, ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়সহ রাজধানীর বিভিন্ন বিদ্যালয়ে নিয়ম-কানুনের বালাই নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মা প্রথম আলোকে বলেন, রাজধানীর একটি বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে তাঁর এক সন্তানকে ভর্তির সময় লেগেছে ১৩ হাজার ২০০ টাকা। আরেক সন্তানকে কেজি শ্রেণীতে ভর্তি করতে লেগেছে সাড়ে ১৩ হাজার টাকা। এর বাইরে বিদ্যালয়ের পোশাক, বই-খাতাসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক জিনিস কিনতে লাগবে আরও কয়েক হাজার টাকা।
রাজধানীর বেশির ভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি-প্রক্রিয়া প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু সন্তান প্রত্যাশিত বিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পাওয়ায় অভিভাবকদের দৌড়ঝাঁপ চলছেই।
No comments