আন্নার অনশনে পার্লামেন্টে লোকপাল নিয়ে বিতর্ক
ভারতের পার্লামেন্টে উত্থাপিত লোকপাল বিলকে দুর্বল বলে প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির বিরোধী দলগুলো। গতকাল মঙ্গলবার বহুল প্রত্যাশিত দুর্নীতিবিরোধী এ বিলটি পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ লোকসভায় উত্থাপন করা হয়। এদিকে দুর্বল লোকপাল বিলের প্রতিবাদে মুম্বাইয়ে মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের অনশন শুরু করেছেন দুর্নীতিবিরোধী সমাজকর্মী আন্না হাজারে। খবর এএফপি ও হিন্দুস্তান টাইমসের। পার্লামেন্টের শীতকালীন অধিবেশনের মেয়াদ তিন দিন বাড়িয়ে
মঙ্গলবার লোকপাল বিল উত্থাপন করা হয়। উত্থাপনের পর সরকারি দল ও বিরোধী দলগুলো বিলটি নিয়ে তীব্র বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হয়। বিরোধী দলগুলো বিলটি প্রত্যাহারের দাবি জানায়। অন্যদিকে সরকারি দল এটিকে একটি কার্যকর দুর্নীতিবিরোধী বিল বলে আখ্যায়িত করে।
বিল উত্থাপনের পর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বিলটি পাস করার আহ্বান জানিয়ে পার্লামেন্টকে বলেন, বিলটি তার প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। তিনি বলেন, বিলটি নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলতে পারেন, তবে নীতি প্রণয়নের সময় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমাদেরই। এর আগে বিলটি উত্থাপন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামীও বলেছিলেন, আমাদের এই হাউসের প্রতি মাথানত করতে হবে, অন্য কারও প্রতি নয়। মনমোহন সিং বলেন, কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআইকে সরকার ও লোকপাল উভয় থেকেই স্বাধীন থাকতে হবে। তবে তাকে জবাবদিহি করতে হবে উভয়ের কাছে। সরকার সেটিই করার চেষ্টা করেছে।
বিল উত্থাপনের পর পার্লামেন্টের বিরোধীদলীয় নেতা সুষমা স্বরাজ বিলটিকে 'দুর্বলতায় ভরা' আখ্যায়িত করে এটিকে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে ফেরত পাঠানোর আহ্বান জানান। আরজেডি দলের প্রধান লালু প্রসাদ বলেন, এ বিল সংবিধানের ফেডারেল কাঠামোর ওপর একটি আঘাত। লালু প্রসাদ বলেন, আন্না হাজারের চাপের মুখে সরকার তাড়াহুড়া করে বিলটি উপস্থাপন করেছে। তিনি বিলটি প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। এক পর্যায়ে এআইএডিএমকে ও বিজেপির এমপিরা দাঁড়িয়ে হৈচৈ ও সরকারবিরোধী স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। সুষমা স্বরাজের সমালোচনা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কপিল সিবাল বলেন, বিজেপি চায় বিলটি পাস না হোক, যাতে তারা আগামী নির্বাচনে এর সুবিধা নিতে পারে। কপিল বলেন, সরকার যে বিলটি এনেছে তা যথেষ্ট শক্তিশালী এবং তা যথেষ্ট কার্যকরভাবে দুর্নীতি মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে।
জনতার পার্লামেন্ট দিলি্লর পার্লামেন্ট থেকে বড়_ আন্না : মঙ্গলবার সকালে মুম্বাইয়ের মেট্রোপলিটন রিজিওনাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (এমএমআরডিএ) মাঠে অনশনে বসেছেন আন্না হাজারে। অনশনস্থলে জমায়েত জনতার উদ্দেশে আন্না বলেন, সরকারের উত্থাপিত লোকপাল বিলটি জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। যে পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলোয় তিনি সরকারবিরোধী প্রচারণা চালাবেন বলেও ঘোষণা দেন। এসব রাজ্যের ভোটাররা ভোটের মাধ্যমে সরকারকে প্রতারণার জবাব দেবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। তিনি বলেন, দিলি্লর পার্লামেন্টের চেয়েও জনগণের পার্লামেন্ট বড়।
অনশনে বসার আগে আন্না জহু বিচে মহাত্মা গান্ধীর ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অনশনস্থলে পেঁৗছার সময় তার যাত্রাপথ আটকে জনা বিশেক লোক তাকে কালো পতাকা প্রদর্শন করে।
বিল উত্থাপনের পর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বিলটি পাস করার আহ্বান জানিয়ে পার্লামেন্টকে বলেন, বিলটি তার প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। তিনি বলেন, বিলটি নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলতে পারেন, তবে নীতি প্রণয়নের সময় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমাদেরই। এর আগে বিলটি উত্থাপন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামীও বলেছিলেন, আমাদের এই হাউসের প্রতি মাথানত করতে হবে, অন্য কারও প্রতি নয়। মনমোহন সিং বলেন, কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআইকে সরকার ও লোকপাল উভয় থেকেই স্বাধীন থাকতে হবে। তবে তাকে জবাবদিহি করতে হবে উভয়ের কাছে। সরকার সেটিই করার চেষ্টা করেছে।
বিল উত্থাপনের পর পার্লামেন্টের বিরোধীদলীয় নেতা সুষমা স্বরাজ বিলটিকে 'দুর্বলতায় ভরা' আখ্যায়িত করে এটিকে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে ফেরত পাঠানোর আহ্বান জানান। আরজেডি দলের প্রধান লালু প্রসাদ বলেন, এ বিল সংবিধানের ফেডারেল কাঠামোর ওপর একটি আঘাত। লালু প্রসাদ বলেন, আন্না হাজারের চাপের মুখে সরকার তাড়াহুড়া করে বিলটি উপস্থাপন করেছে। তিনি বিলটি প্রত্যাহারের আহ্বান জানান। এক পর্যায়ে এআইএডিএমকে ও বিজেপির এমপিরা দাঁড়িয়ে হৈচৈ ও সরকারবিরোধী স্লোগান দেওয়া শুরু করেন। সুষমা স্বরাজের সমালোচনা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কপিল সিবাল বলেন, বিজেপি চায় বিলটি পাস না হোক, যাতে তারা আগামী নির্বাচনে এর সুবিধা নিতে পারে। কপিল বলেন, সরকার যে বিলটি এনেছে তা যথেষ্ট শক্তিশালী এবং তা যথেষ্ট কার্যকরভাবে দুর্নীতি মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে।
জনতার পার্লামেন্ট দিলি্লর পার্লামেন্ট থেকে বড়_ আন্না : মঙ্গলবার সকালে মুম্বাইয়ের মেট্রোপলিটন রিজিওনাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (এমএমআরডিএ) মাঠে অনশনে বসেছেন আন্না হাজারে। অনশনস্থলে জমায়েত জনতার উদ্দেশে আন্না বলেন, সরকারের উত্থাপিত লোকপাল বিলটি জনগণের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। যে পাঁচ রাজ্যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে সেগুলোয় তিনি সরকারবিরোধী প্রচারণা চালাবেন বলেও ঘোষণা দেন। এসব রাজ্যের ভোটাররা ভোটের মাধ্যমে সরকারকে প্রতারণার জবাব দেবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। তিনি বলেন, দিলি্লর পার্লামেন্টের চেয়েও জনগণের পার্লামেন্ট বড়।
অনশনে বসার আগে আন্না জহু বিচে মহাত্মা গান্ধীর ভাস্কর্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। অনশনস্থলে পেঁৗছার সময় তার যাত্রাপথ আটকে জনা বিশেক লোক তাকে কালো পতাকা প্রদর্শন করে।
No comments