চট্টগ্রাম বন্দরে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতির উদ্বোধন-সন্ত্রাস দমনের মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করছি: প্রধানমন্ত্রী
চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার ব্যবস্থাপনায় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি (সিটিএমএস) এবং তেজস্ক্রিয়তা শনাক্তকরণ পদ্ধতির কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শহীদ মোহাম্মদ ফজলুর রহমান মুন্সী মিলনায়তনে ল্যাপটপে বোতাম টিপে তিনি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, এই দুটি প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর আজ ডিজিটাল বন্দরে উন্নীত হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আঞ্চলিক
ও আন্তর্জাতিক পরিসরে সন্ত্রাস দমনের মডেল হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছি। তেজস্ক্রিয়তা শনাক্তকরণ পদ্ধতির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দর আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি দেশকে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। আওয়ামী লীগ সরকার যেকোনো মূল্যে সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসীদের উৎখাত করতে চায়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সিটিএমএস ও আরডিএস নামে এই দুটি প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৭০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং বন্দরের অর্থায়নে সিটিএমএস প্রকল্পে ব্যয় হয় প্রায় ৬৮ কোটি টাকা। এ ছাড়া ইউএস মেগাপোর্ট ইনিশিয়েটিভের আওতায় আরডিএস প্রকল্পে ব্যয় প্রায় ১০৫ কোটি টাকা (১৫ মিলিয়ন ডলার)। যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই ব্যয় বহন করেছে।
অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তৃতা করেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান ও বন্দর চেয়ারম্যান কমোডর এম আনওয়ারুল ইসলাম। এ সময় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নূরে আলম চৌধুরী, নৌ-পরিবহন-সচিব আবদুল মান্নান হাওলাদার, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৩ জুলাই পরীক্ষামূলকভাবে তেজস্ক্রিয়তা শনাক্তকরণ পদ্ধতি চালু হয়। এর মাধ্যমে বন্দরের ফটকগুলোতে স্থাপিত যন্ত্রের মধ্য দিয়ে কনটেইনার আনা-নেওয়ার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত করা হয়। আর কনটেইনার ব্যবস্থাপনায় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি আংশিকভাবে চালু হয়েছিল গত ১০ অক্টোবর। এই পদ্ধতির মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি কনটেইনার খালাস ও সংরক্ষণের যাবতীয় দালিলিক কার্যক্রম অনলাইনে করা হয়।
নৌবাহিনীকে বিশ্বমানে উন্নীত করা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ নৌ একাডেমীতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সোয়াডস কমান্ডের বানৌজা ‘নির্ভিক’ ঘাঁটির নামকরণ ও নেভাল এভিয়েশনের উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করে বলেন, স্থানীয় ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বর্তমান আধুনিকায়ন পরিকল্পনার আওতায় ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রী, সাংসদ, তিন বাহিনীর প্রধান, পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মোজেনা ও ইটালির রাষ্ট্রদূত গিয়র গিও গুগলিলমিনু অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী নতুন নৌঘাঁটি কমান্ডার মাশুক হাসান আহমেদের কাছে ‘কমিশনিং ফরমান’ হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রী কমিশনপ্রাপ্ত মিডশিপম্যানদের অভিনন্দন জানান।
দুজন নারীসহ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২৪ জন, ফিলিস্তিনের সাতজন ও মালদ্বীপের একজন মিডশিপম্যানকে কমিশন প্রদান করা হয়। মিডশিপম্যান ও নৌ-ক্যাডেটদের একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। তিনি প্যারেড পরিদর্শন ও ক্যাডেটদের সালাম গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী প্রশিক্ষণ কোর্সে অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য মিডশিপম্যান সা’দত হুসাইনকে সোর্ড অব অনার ও নৌবাহিনীপ্রধান স্বর্ণপদক প্রদান করেন। একাডেমিক বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ায় মিডশিপম্যান শেখ মারুফ ইমরানকে ওসমানী স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মতবিনিময়: প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের পর মার্কিন রাষ্ট্রদূত মজিনা সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারিত্ব ও মেরিটাইম নিরাপত্তার ওপর জোর দেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে রপ্তানি হওয়া পণ্য এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি পণ্যে তেজস্ক্রিয়তা আছে কি না, তা শনাক্ত করা যাবে এই পদ্ধতিতে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বন্দরও সম্পৃক্ত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি দেশকে সন্ত্রাসী ও জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। আওয়ামী লীগ সরকার যেকোনো মূল্যে সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসীদের উৎখাত করতে চায়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সিটিএমএস ও আরডিএস নামে এই দুটি প্রকল্পে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৭০ কোটি টাকা। এর মধ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এবং বন্দরের অর্থায়নে সিটিএমএস প্রকল্পে ব্যয় হয় প্রায় ৬৮ কোটি টাকা। এ ছাড়া ইউএস মেগাপোর্ট ইনিশিয়েটিভের আওতায় আরডিএস প্রকল্পে ব্যয় প্রায় ১০৫ কোটি টাকা (১৫ মিলিয়ন ডলার)। যুক্তরাষ্ট্র সরকার এই ব্যয় বহন করেছে।
অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তৃতা করেন নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান ও বন্দর চেয়ারম্যান কমোডর এম আনওয়ারুল ইসলাম। এ সময় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি নূরে আলম চৌধুরী, নৌ-পরিবহন-সচিব আবদুল মান্নান হাওলাদার, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজিনা উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৩ জুলাই পরীক্ষামূলকভাবে তেজস্ক্রিয়তা শনাক্তকরণ পদ্ধতি চালু হয়। এর মাধ্যমে বন্দরের ফটকগুলোতে স্থাপিত যন্ত্রের মধ্য দিয়ে কনটেইনার আনা-নেওয়ার সময় স্বয়ংক্রিয়ভাবে তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত করা হয়। আর কনটেইনার ব্যবস্থাপনায় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতি আংশিকভাবে চালু হয়েছিল গত ১০ অক্টোবর। এই পদ্ধতির মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি কনটেইনার খালাস ও সংরক্ষণের যাবতীয় দালিলিক কার্যক্রম অনলাইনে করা হয়।
নৌবাহিনীকে বিশ্বমানে উন্নীত করা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ নৌ একাডেমীতে বাংলাদেশ নৌবাহিনী সোয়াডস কমান্ডের বানৌজা ‘নির্ভিক’ ঘাঁটির নামকরণ ও নেভাল এভিয়েশনের উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করে বলেন, স্থানীয় ও বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বর্তমান আধুনিকায়ন পরিকল্পনার আওতায় ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রী, সাংসদ, তিন বাহিনীর প্রধান, পদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা এবং বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মোজেনা ও ইটালির রাষ্ট্রদূত গিয়র গিও গুগলিলমিনু অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী নতুন নৌঘাঁটি কমান্ডার মাশুক হাসান আহমেদের কাছে ‘কমিশনিং ফরমান’ হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রী কমিশনপ্রাপ্ত মিডশিপম্যানদের অভিনন্দন জানান।
দুজন নারীসহ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ২৪ জন, ফিলিস্তিনের সাতজন ও মালদ্বীপের একজন মিডশিপম্যানকে কমিশন প্রদান করা হয়। মিডশিপম্যান ও নৌ-ক্যাডেটদের একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। তিনি প্যারেড পরিদর্শন ও ক্যাডেটদের সালাম গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী প্রশিক্ষণ কোর্সে অসাধারণ কৃতিত্বের জন্য মিডশিপম্যান সা’দত হুসাইনকে সোর্ড অব অনার ও নৌবাহিনীপ্রধান স্বর্ণপদক প্রদান করেন। একাডেমিক বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ায় মিডশিপম্যান শেখ মারুফ ইমরানকে ওসমানী স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মতবিনিময়: প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানের পর মার্কিন রাষ্ট্রদূত মজিনা সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এ সময় সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারিত্ব ও মেরিটাইম নিরাপত্তার ওপর জোর দেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে রপ্তানি হওয়া পণ্য এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি পণ্যে তেজস্ক্রিয়তা আছে কি না, তা শনাক্ত করা যাবে এই পদ্ধতিতে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম বন্দরও সম্পৃক্ত হয়েছে।
No comments